ধীমান রায়, কাটোয়া: এবার আমন চাষের মরশুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আমন ধান ওঠা দু-একদিনের মধ্যেই শুরু হবে। তারপর আসছে বোরো চাষের মরশুম। বিশেষ করে বোরো চাষে ও রবিশস্য চাষে কম জল ব্যবহার করতে কৃষকদের উৎসাহিত করছে কৃষি দপ্তর। জল কম খরচ করতে ‘রেনগান’ মেশিন বসানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শুধু পরামর্শই নয়, সরকারিভাবে নিখরচায় মাঠে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই রেনগান মেশিন। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সাবমার্সিবল পাম্পের সঙ্গেই নয়, কাছাকাছি জলের উৎস থাকলে সেখান থেকেই রেনগান মেশিন ব্যবহার করা যাবে। ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ২ ব্লকে আটটি রেনগান মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
[পেঁপে গাছের গোড়া পচা রুখতে ভরসা ‘পলিমালচিং’]
রেনগান মেশিনের কাজ হল, জল টেনে নিয়ে চারপাশের জমিতে ছিটিয়ে দেওয়া। ভাতার ব্লকের কৃষি অধিকর্তা বিপ্লব প্রতিহার বলেন, “একটি রেনগান মেশিন যেখানে বসানো থাকবে সেই যন্ত্রের চারপাশে প্রায় এক একর জমিতে সেচ দিতে সক্ষম একটি রেনগান মেশিন।” জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফসল সিঞ্চাই যোজনায় ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কৃষকদের নিখরচায় মাঠে গিয়ে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই রেনগান মেশিন। এক একটি মেশিন বসাতে খরচ প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। শুধুমাত্র জিএসটি বাবদ হাজার চারেক টাকা কৃষকদের থেকে নেওয়া হচ্ছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। বিপ্লববাবু বলেন, “রেনগান মেশিন ব্যবহার করলে জলের অপচয় কম হবে। সাবমার্সিবল পাম্পের সঙ্গে রেনগান মেশিন জমিতে থাকলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে ধানজমি বা রবিফসলের জমিতে গাছের ওপরে জল ছিটিয়ে সেচ দেওয়ার ফলে রোগ-পোকা তাড়ানোও সহজ হবে। তাতে ফলন বাড়বে।”
জানা গিয়েছে, প্রতিটি ব্লকে কৃষকদের রেনগান মেশিনের উপকারিতা সম্পর্কে বোঝাচ্ছেন কৃষি আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে কোন ব্লকের কতজন কৃষক মেশিন বসাতে ইচ্ছুক তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই তালিকা অনুযায়ী কৃষি দপ্তর থেকে মেশিন বসিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ দেশ-বিদেশের দু’শোর বেশি প্রজাতির জবার সংরক্ষণ কেন্দ্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.