দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কাশ্মীরি জাফরানে বঙ্গজাত গন্ধ! বিশেষ উদ্যোগ রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের। ড্রাগন ফ্রুট (Dragon Fruit) থেকে কাশ্মীরি আপেল (Apple) অথবা আঙুর ফলেছে এই রাজ্যের মাটিতে। রাঙামাটির মতো এলাকাতেও স্ট্রবেরির (Strawberry) ফলন চমকে দিয়েছে। এবার অশান্ত কাশ্মীরের অন্যতম মূল ফসল জাফরান (Saffron) বা ‘লাল সোনা’ও এবার চাষ করা হবে উত্তরবঙ্গের মাটিতে। মঙ্গলবার মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বিশেষ সেশনে এমনই জানালেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হর্টিকালচারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুব্রত গুপ্ত।
তিনি জানিয়েছেন, জাফরান চাষকে গুরুত্ব দিয়েই ভাবা হচ্ছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে ই-কমার্সের গুরুত্ব বাড়ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে মাংস, দুধের মতো কাঁচামালের যথেষ্ট উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি, রাজ্যে জাফরান উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এদিন তিনি কৃষকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সুব্রত গুপ্তর কথায়, “চাষিরা আমাদের দেশের সব থেকে বড় উদ্যোগপতি। বৃষ্টি, আমদানি-রপ্তানি কিছুই তাঁদের হাতে নেই। তবুও তাঁরা নিয়মিত ফসল ফলিয়ে চলেছেন। ক্রেতা হিসাবে আমাদের উচিত, তাঁদের ন্যায্য মূল্য দেওয়া।” তবে জাফরান চাষের জন্য কাশ্মীরের আবহাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। বঙ্গে শুধুমাত্র দার্জিলিং (Darjeeling) বা ডুয়ার্সে (Dooars) এর চাষ কিছুটা হলেও হতে পারে। সেই পরীক্ষায় নামবে সরকার।
রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই চাষিদের প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি হয়েছে চুঁচুড়া উৎকর্ষ কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রে নিয়মিত কৃষকদের চাষের আগের এবং পরবর্তী বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ দিনের আলোচনায় কৃষকদের প্রযুক্তির উপরেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়। রাজ্যে পিঁয়াজ সংরক্ষণে ইতিমধ্যেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেজন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে পিঁয়াজের হিমঘর।
সুব্রতবাবু ছাড়াও এদিনের সেশনে উপস্থিত ছিলেন মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আকাশ শাহ এবং এমসিসিআই-এর কাউন্সিল অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড প্রসেসিং—এর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল। এদিন আকাশবাবু বলেন, “গত দু’বছরে কোভিড (COVID-19), আমফান ও যশের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প।” মূলত চাষ ও কাঁচামাল সরবরাহে সমস্যার জেরেই এই শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে তাঁর মত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.