গৌতম ব্রহ্ম: ধান সংগ্রহের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল পিছু ১৬৩ টাকা বাড়াল নবান্ন। দ্বিগুন হল ধান বিক্রির ঊর্ধ্বসীমা। এতদিন ধান ক্রয়ের সহায়কমূল্য ছিল কুইন্টাল পিছু ২,০৪০ টাকা। এবার তা বেড়ে হল ২,২০৩ টাকা। বাড়ানো হয়েছে ধান বিক্রির ঊর্ধ্বসীমাও। প্রত্যেক কৃষক এখন থেকে ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন। আগে তাঁরা ৪৫ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারতেন।
পাশাপাশি, সরলীকরণ করা হয়েছে ধান বিক্রির পদ্ধতিও। কৃষকরা তাঁদের নির্ধারিত দিনে বায়োমেট্রিক ছাড়াও আরও দুটি পদ্ধতিতে ধান বিক্রি করতে পারবেন। আধার লিংক করা মোবাইল নম্বরে অথবা নথিভুক্ত করা মোবাইল নম্বরে আসা ওটিপি দিয়েও কাজ চালানো যাবে। রাজ্যের চাষিদের স্বার্থেই খারিপ মরশুমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
বুধবার নবান্ন থেকে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যাতে উল্লেখ, প্রত্যেক ধান চাষিকে কুইন্টাল প্রতি দেওয়া হবে ২,১৮৩ টাকা। তবে যদি কোনও কৃষক তাঁর ধান খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্রে অথবা মোবাইল ক্রয়কেন্দ্রে এসে বিক্রি করেন তবে তিনি কুইন্টাল প্রতি বাড়তি ২০ টাকা করে পাবেন। সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে কুইন্টাল প্রতি মিলবে ২,২০৩ টাকা। সারা রাজ্যে ৫০০ টি স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও সব ধান উৎপাদনকারী ব্লকের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১ হাজারেরও বেশি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। ৫০টি মোবাইল বিক্রয়কেন্দ্রও আছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মরশুমে রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগৃহীত হয়েছে বলে খবর। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধানের গুণগত মান নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে কৃষকরা ১৮০০ ৩৪৫ ৫৫০৫ টোল ফ্রি নম্বর এবং ১৯৬৭ নম্বরে ফোন করে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। দপ্তরের পোর্টালে যে কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করা আছে তাঁর জেলার যে কোনও ধান ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারবেন। যাঁদের নাম তালিকায় নেই, তাঁরা ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জমি সংক্রান্ত নথি এবং ব্যাংকের পাশবুক দিলে নাম নথিভুক্ত হয়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.