Advertisement
Advertisement

Breaking News

গমের পরিবর্তে মুসুর-সরিষা চাষই নয়া দিশা কৃষকদের

লক্ষ্মীলাভও যথেষ্ট হচ্ছে বালুরঘাটের কৃষকদের৷

Mustard cultivation in Balurghat
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 10, 2018 8:14 pm
  • Updated:November 10, 2018 8:14 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা জমিতে গমের বিকল্প চাষে উৎসাহ ও প্রচার চালাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি দপ্তর৷ মাটির প্রকারভেদ ও আবহাওয়ার দিকে নজর রেখেই বিকল্প মুসুর ও সরিষা চাষের কথা বলা হচ্ছে কৃষকদের। এবারও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পাঁচ কিলোমিটার দূরবর্তী ভারতীয় জমির কৃষকদের মুসুর ও সরিষা বীজ বিলি শুরু করেছে জেলা কৃষি দপ্তর। প্রতিবেশী বাংলাদেশের গমে ঝলসা রোগের প্রকোপ লক্ষ্য রেখেই সীমান্তবর্তী কৃষকদের বিকল্প চাষে উৎসাহ ও সহায়তা দানের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দেশের অন্যান্য রাজ্যের প্রধান ফসল গমকে বাঁচাতে গত দু’বছর ধরে এই পরিকল্পনা চলছে।

[বোরো চাষে জল খরচ কমাতে জমিতে ‘রেনগান’]

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের জমির গমে ছত্রাক জাতীয় ঝলসার রোগ প্রকোপ দেখা দেয়। ওই রোগের জীবণু হাওয়াতে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়াতে পারে। বিষয়টি জানা মাত্রই সীমান্ত লাগোয়া পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে গম চাষ নিষিদ্ধ আগেই করেছে রাজ্য সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শুধুমাত্র হরিরামপুর ও বংশীহারি বাদ দিয়ে বাকি ছ’টি ব্লকের সীমান্তবর্তী কৃষকদের গম চাষ করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত বছর থেকেই কৃষকরা সেই নির্দেশ মেনে গম চাষ করেননি। চাষিদের বিকল্প চাষের জন্য উৎসাহিত করেছিল রাজ্য সরকার। এবারও গম চাষে সেই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে সীমান্তবর্তী কৃষকদের জন্য। তবে কৃষকদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হওয়ার বিষয়টি চিন্তা করেছে রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তর। গতবারের মত এবারও সীমান্ত এলাকার কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সরিষা এবং মুসুর ডাল বীজ দেওয়া শুরু হল। জেলার সীমান্ত এলাকার পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের জন্য ৩৫ টন সরিষার বীজ দেওয়া হচ্ছে। ৫০০ হেক্টর জমিতে মুসুর ডাল চাষের জন্য ১৫ টন বীজ বরাদ্দ করা হয়েছে। সমগ্র জেলায় হাজার চারেক কৃষক এতে উপকৃত হবেন বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

[পেঁপে গাছের গোড়া পচা রুখতে ভরসা ‘পলিমালচিং’]

দক্ষিণ দিনাজপুরের কৃষি অধিকর্তা পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, এই রাজ্যে খুব সামান্য পরিমাণ গম চাষ হয়। কিন্তু অধিকাংশ রাজ্যে প্রধান ফসল গম। এখানকার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে যাতে পুরো দেশের গমে ওই রোগ না ছড়ায় তা দেখা হচ্ছে। কেন না গম চাষে ক্ষতি হলে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি মার খাবে অর্থনীতি। এখানে গমের বিকল্প মুসুর ও সরিষা। গত বছর থেকে তারা সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের এই সম্পর্কে বোঝাতে পেরেছেন। বিকল্প চাষে আগ্রহী হয়েছে সকলে। বিনামূল্যে এই বীজ পেয়ে খুশি কৃষকেরা। উল্লেখ্য, রাজ্যের ভারত-বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে ইতিমধ্যে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে মুসুর ডাল ও সরিষা চাষে উৎসাহ দিতে বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ-সহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement