রাজা দাস: দেশ জুড়ে চাষের খরচ ক্রমাগত বাড়ছে। কিন্তু লভ্যাংশের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে। কৃষকদের এমন সমস্যার বিষয়টি সমাধানে সব সময় কৃষি দপ্তর তৎপর। এবার একই জমিতে তিন রকম ফসল চাষের মধ্যে দিয়ে কৃষকদের নতুন দিশা দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ জৈব সার ব্যবহার করে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মাহিনগর কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চলছে এই তিন ফসলি চাষ।
পরীক্ষামূলকভাবে এক বিঘে জমিতে কৃষি দপ্তর তিন ফসলি চাষ শুরু করেছে। কৃষি দফতরের উদ্যোগে শুরু হয়েছে মাটির নীচে বাদাম চাষ। মাটির উপরে ঝিঙে চাষ ও জমির চারপাশে ঢ্যাঁড়শ চাষ। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই চাষে রাসায়নিক সার নয়, জৈব সার প্রয়োগ করা হচ্ছে। একই জমিতে ঝিঙে ও বাদাম চাষ করে কৃষকরা অনেক বেশি লাভবান হতে পারেন বলে দাবি জেলা কৃষি দপ্তরের। কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডিরেক্টর সুশীলকুমার বিশ্বাস দাবি করেন, ওই পরিমাণ জমিতে সর্বোচ্চ ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে৷ কম খরচে বেশি লাভ হয় এমন চাষের উদ্যোগ নিয়েছে খোদ কৃষি দপ্তর। কীভাবে চাষ করে ফলন ও লাভের হার বাড়ে কৃষকদের সেই পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞরা৷ কৃষি বীজ, জৈব সার ও কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডিরেক্টর সুশীলকুমার বিশ্বাস জানান, পরীক্ষামূলকভাবে এখন বিঘা জমি সম্বলিত খামারে তিন রকমের ফসল চাষ করা হচ্ছে। চাষ করতে সব মিলিয়ে ২০হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঝিঙে ও ঢ্যাঁড়শ চাষের কয়েকদিনের মধ্যেই বিক্রি হয়। ফলে কৃষকদের তা থেকে সংসারের খরচ উঠে যায়। আর বাদাম বিক্রির সময় একবারে মোটা টাকা হাতে পাওয়া সম্ভব। পরীক্ষামূলকভাবে এখনও পর্যন্ত আংশিক সফল কৃষি বিভাগ। পুরোপুরি সাফল্য পেলে আগামী দিনে একই জমিতে তিন ফসলি চাষে কৃষকরা উৎসাহী হবেন বলে আশা কৃষি দপ্তরের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.