বাবুল হক, মালদহ: এবার মালদহ জেলাতেও শুরু হয়েছে মাশরুম চাষ। মালদহের জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুকান্ত সাহা জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের রোজগারের ক্ষেত্রে এই মাশরুম চাষ নতুন করে দিশা দেখাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে জেলার ইংরেজবাজার ব্লক প্রশাসন ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাশরুম চাষ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা এই মাশরুম চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। উৎপাদিত মাশরুম আবার মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাসপুর গ্রামে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাধ্যমে চলছে মাশরুম চাষ। এই মাশরুম তৈরি হয় গমের বীজ থেকে। গমের বীজে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে মাশরুমের বীজ প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেই বীজ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। বীজ নিয়ে মহিলারা একটি ঠান্ডা ঘরের মধ্যে খড়, চুন ও ব্লিচিং পাউডারের মিশ্রণ সিলিন্ডারে ছড়িয়ে দিয়ে তার মধ্যে বীজটি লাগানো হচ্ছে। পরে সেটিকে প্লাস্টিক দিয়ে জড়িয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ব্যাসপুর গ্রামের ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা জানান, এই মিশ্রণ সিলিন্ডার থেকেই এক-দেড় মাসের মধ্যে মাশরুম ফুটে বের হয়। সেই মাশরুম খাওয়ার উপযোগী হলে সেখান থেকে কেটে বিক্রি করা হয়। ব্যাসপুরের আরেক স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর সদস্য অঞ্জনা মণ্ডল জানিয়েছেন, এই মাশরুম চাষ করে আর্থিক লাভের দরুণ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা হচ্ছে। মিড-ডে মিলের মেনুতেও ইংরেজবাজারে যোগ হয়েছে মাশরুম।
ইংরেজবাজার ব্লকের বিডিও দেবর্ষি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাশরুমের ব্যাপক পুষ্টিগুণ রয়েছে। মাশরুম উৎপাদনও জেলায় করা হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেই তা করা হচ্ছে। বীজ তৈরি করে আমরা তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.