Advertisement
Advertisement
পঙ্গপাল

গুরুগ্রামে ধেয়ে আসছে পঙ্গপালের দল, ভয়ে ঘরবন্দি স্থানীয়রা

পঙ্গপালের হানায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে ফসল।

Locust attack in Gurugram, native staying home in close door
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 27, 2020 1:49 pm
  • Updated:June 27, 2020 2:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্বাভাস ছিলই, অপেক্ষা ছিল শুধু হানা দেওয়ার। সেই মতোই শুক্রবার গুরুগ্রামে (Gurugram) হানা দিল পঙ্গপালের দল। এই রাক্ষুসে পতঙ্গের হানায় ক্ষেতের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

আকাশ ঘন কালো করে গুরুগ্রামে প্রবেশ করছে পঙ্গপালের (Locust) দল। শুক্রবার বেলা গড়াতে গুরুগ্রামে হানা দিল এই রাক্ষুসে পতঙ্গের ঝাঁক। দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে পঙ্গপালের হানার একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন স্থানীয়রা। পঙ্গপালের হানায় প্রচুর পরিমাণ ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন গুরুগ্রামের চাষিরা। তবে পঙ্গপালের হানার সম্ভাবনা জেনে আগাম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল প্রশাসন। সেইমতো গুরুগ্রামের কৃষি দপ্তরের কর্মীদের বিভিন্ন গ্রামে পাঠিয়ে সচেতনতার বার্তা প্রচার করতে শুরু করা হয় । এই সংক্রান্ত একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। সেখান থেকেই পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘অর্ধসত্য বলতে ওস্তাদ বিজেপি’, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ‘অনুদান’ ইস্যুতে পালটা চিদম্বরমের]

গত মাসেই ভারতের পশ্চিম প্রান্ত ধরে যথাক্রমে গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ হয়ে বাংলার দিকে হানা দিয়েছিল পঙ্গপালের দল। তাই সেই সময় থেকেই রাক্ষুসে পতঙ্গদের মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন হরিয়ানার মুখ্যসচিব কেশনি আনন্দ অরোরা। কৃষি দপ্তর ও প্রতিটি জেলার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, “পঙ্গপালের হানার খবর পেলেই আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে। যেভাবেই হোক রাজ্যে ফসলের ক্ষতি কমাতে হবে। এই কাজে রাজ্য সরকারের তরফে সব রকমের সাহায্য করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি।”

[আরও পড়ুন:‘অনেকের ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভারতে বাড়ছে সুস্থতার হার’, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর]

জানা যায়, পঙ্গপালের একটি ঝাঁক মহেন্দ্রগড় জেলায় প্রবেশ করেছে। খুব তাড়াতাড়ি এই ঝাঁক রেওয়ারি সীমান্তেও পৌঁছে যাবে বলে মনে করছে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কী কী করা উচিত, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এই পরিস্থিতিতে গুরুগ্রাম প্রশাসনের তরফে সব বাসিন্দাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, বাড়ির জানলা-দরজা যতটা সম্ভব বন্ধ রাখতে হবে। সেইসঙ্গে পঙ্গপাল এলেই থালা, বাসন, টিন, ঢোল, যা পাবেন তা বাজাতে হবে। তাহলেই পঙ্গপালের দল এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকতে পারবে না। পাশাপাশি গুরুগ্রামের কৃষকদের জীবাণুনাশক স্প্রে করার পাম্পও প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। পঙ্গপাল এলেই কোনও উঁচু জায়গায় উঠে তা স্পে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চাষিদের।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement