রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: থাইল্যান্ডের অর্কিড ফুটছে পূর্ব বর্ধমানে পূর্বস্থলীর বাগানে। শুধুমাত্র অর্কিড বিক্রি করেই সাফল্য পেয়েছেন থাইল্যান্ডের কৃষকরা। যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকেন তাঁরা। সেই অর্কিড পূর্ব বর্ধমানের মাটিতে ফুটিয়ে এবার আর্থিক লাভের অপেক্ষায় কৃষকরা। থাইল্যান্ডের জলবায়ুতে বেড়ে উঠলেও, এদেশের জলবায়ুর সঙ্গে মানানসই হতে পারে ভেবেই থাই-অর্কিড চাষের উদ্যোগ নেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা উদ্যান পালন দপ্তর।
পূর্বস্থলীর একাধিক নার্সারিকে পরীক্ষামূলকভাবে চাষের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে অর্কিডগুলিকে বেছে নেওয়া হয়। কয়েকটি নার্সারিতে ৩০০টি করে গাছের চারা দেওয়া হয় কৃষকদের। সেই পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য এসেছে বলেই দাবি নার্সারি মালিকদের। ইতিমধ্যেই রঙ-বেরঙয়ের অর্কিড ফুটতে শুরু করেছে নার্সারিগুলিতে। পূর্বস্থলীর এক বৃহৎ নার্সারির মালিক শঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘এখন মাসে তিনশো অর্কিড গাছ থেকে প্রচুর ফুল মিলছে। প্রথমে বোঝা যায়নি, এই জলবায়ুতেও অর্কিড ফুটতে পারে। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে এখানেও অর্কিড ফোটানো সম্ভব এবং তা বাণিজ্যিকভাবেও সফল হতে পারে।’’
পরীক্ষামূলকভাবে সফল হওয়ার পর এখন তাঁরা ব্যবসায়িক পদ্ধতিতে চাষের কথা ভাবছেন। তবে আগামিদিনে তাঁদের পরিকল্পনা এই অর্কিড ফুটিয়েই স্থানীয় কৃষকরা মোটা টাকা লাভ করতে পারবেন। উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিকরা সকলেই জানান, পূর্বস্থলীতে অর্কিড ব্যবসায়িকভাবে চাষ করা যেতে পারে। যা নিয়ে ভাবনাচিন্তাও শুরু করা হয়েছে বলে জানান কালনা মহকুমার উদ্যান পালন আধিকারিক পলাশ সাঁতরা। এই ফুল চাষে আগ্রহী স্থানীয় কৃষকরাও। একটি বাগানের উপরে পলিথিনের চালা ঘেরা ও তার ভিতরে মাচা করে অল্প জায়গাতেই একাধিক ফুল গাছ চাষ করা যেতে পারে বলে জানান পলাশবাবু। তাঁর সঙ্গে সামান্য জৈব সার ও সপ্তাহে মাত্র দু’বার করে জল প্রয়োগ করলেই হবে। রোগ বা পোকামাকড়ের উৎপাতও অবশ্য এই সমস্ত গাছে খুব বেশি হয় নয়। একটি গাছ লাগানোর দু’বছর পর থেকেই মাসে দশ হাজার টাকার বেশি আয় করা সম্ভব বলেই দাবি কৃষি দপ্তরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.