বাংলার পার্বত্য ও সংলগ্ন তরাই অঞ্চলে প্রায় তিন হাজার একর জমিতে কমলালেবুর চাষ হত। এখন তা কমে এক হাজার একরে গিয়ে ঠেকেছে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের মতো পার্বত্য অঞ্চলে মূলত বাড়ি লাগোয়া পাহাড়ি ঢালে এই লেবুর চাষ হয়। এ ছাড়া তরাই অঞ্চলেও এই লেবুর চাষ হয়। সামগ্রিকভাবে পশ্চিমবঙ্গে কমলালেবুর উৎপাদনশীলতা অত্যন্ত কম। উৎপাদিত লেবুর গুণমানও ধীরে ধীরে অত্যন্ত খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই কমলালেবু চাষে বহুবিধ সমস্যা রয়েছে। লিখছেন বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রাকেশ পাশি।
পার্বত্য অঞ্চলে, খাড়া পাহাড়ের ঢালগুলিতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সময় পাথুরে মাটির উপরিভাগ ধুয়ে যায়। ফলে সেই জমির উৎপাদনশীলতা কমে যায়। বাগানগুলিতে সার প্রায় দেওয়াই হয় না। যেটুকু দেওয়া হয় তা হল কাঁচা গোবর। লেবুগাছগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে অত্যন্ত বয়স্ক, রুগ্ণ এবং অনুৎপাদক। পাঁচ-ছয় হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায়, পাহাড়ি ঢালের উপর গাছগুলির ডালপালা প্রায় ঝাঁটার কাঠির চেহারা নিয়েছে। এই উচ্চতায় নতুন লেবু বাগিচা না করাই ভাল। দু’-তিন হাজার ফুট উচ্চতার বাগিচাগুলি অপেক্ষাকৃত ভাল চেহারার। এ ছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের রোগ পোকার সমস্যা। এভাবে চলতে থাকলে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর চাষ বন্ধই হয়ে যাবে।
কী করা প্রয়োজন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.