‘স্বর্গের আপেল’ নামে অভিহিত কলা মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম প্রাচীন কৃষিজাত পণ্যগুলির একটি। কলাগাছের বিভিন্ন অংশ যেমন ফল, ছদ্মকাণ্ড বা সিউডোস্টেম এমনকি, পুরুষ ফুল (মোচা) খাদ্য হিসাবে পরিগণ্য। কলাগাছের অনেক অংশ বস্ত্রশিল্প, কাগজশিল্পে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে কলাচাষের প্রধান বাধা হল রোগ ও পোকার সংক্রমণ। যে কারণে সারা দেশের কৃষকবন্ধুরা প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে বাধ্য হন। এতে চাষের খরচ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়। ক্রেতা সুরক্ষার ক্ষেত্রেও প্রশ্নচিহ্ন থেকে যায়। লিখেছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের গবেষক সাইনী দে এবং অয়ন প্রামাণিক।
কলা বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত উষ্ণ ও আর্দ্রতা সম্পৃক্ত জায়গাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে কলা উৎপন্ন হয়। কলা গাছের বিভিন্ন অংশ যেমন ফল, ছদ্মকাণ্ড বা সিউডোস্টেম এমনকি পুরুষ ফুল (মোচা) পর্যন্ত খাদ্য হিসেবে পরিগণ্য। এছাড়াও কলাতে রয়েছে বিভিন্ন মানব দেহপোযোগী ভিটামিন (এ, বি, সি, ডি), খনিজ (বিশেষত পটাসিয়াম @ ৩৫৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম @ ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস @ ২২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম @ ৫ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম @ ১ মিলিগ্রাম ইত্যাদি প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী কলাতে), ফাইবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা। সাধ্যের মধ্যে থাকা এই ফল যেমন খুব কম খরচে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দিতে পারে তেমনই এর ওষধিগুণ উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর সমস্যা, হৃদযন্ত্রের সমস্যা বা অবসাদের মতো ঘাতক ব্যাধিগুলির হাত থেকে রক্ষা করে। খাবার হিসেবে ছাড়াও কলাগাছের অনেক অংশ বস্ত্রশিল্প, কাগজশিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ‘স্বর্গের আপেল’ নামে অভিহিত এই ফল মানবসভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম প্রাচীন কৃষিজাত পণ্যগুলির একটি।
এমনকি বাংলার সুপ্রাচীন খনার বচনেও উল্লেখ রয়েছে এর চাষ পদ্ধতির-“কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড়, তাতেই ভাত’ (অর্থ: কলাগাছের রোপণের পর পরই পাতা না কাটলে তাতে ফলন ভাল হয়) কিংবা ‘ভাদরে করে কলা রোপণ, স্ববংশে মরিল রাবণ” (অর্থ: ভাদ্র মাসে কলা রোপণ অনুচিত)। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় লোকাচারের সাথে কলা গাছের বিভিন্ন অংশের ব্যবহার অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৪০ টিরও বেশি দেশে কলা চাষ করা হয়। কিন্তু এই সমগ্র উৎপাদনের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রায় ৩২ শতাংশই হয় ভারতে। ভারতের আসাম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, কেরালা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যগুলিই প্রধান কলা উৎপাদনকারী অঞ্চল।
সারা পৃথিবীতে কলা ভারতে সবথেকে বেশি উৎপন্ন হলেও, আমাদের দেশে রপ্তানিযোগ্য কলার পরিমাণ প্রায় নগণ্য। এর মূল কারণ আন্তর্জাতিক রপ্তানি ব্যবস্থায় নির্ধারিত ফাইটোস্যানিটারি (phytosanitary: উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত) গুণমানগুলি পূরণ করতে না পারা, যেমন কলাতে যথেচ্ছভাবে কীটনাশকের ব্যবহার। তাই এই তথ্য থেকেই সহজেই অনুমেয় যে উপযুক্ত আবহাওয়া থাকা স্বত্বেও আমাদের দেশে কলার চাষের প্রধান বাধা হল রোগ ও পোকার সংক্রমণ। যে কারণে সারা দেশের কৃষক বন্ধুরা প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে বাধ্য হন।
এতে যেমন চাষের খরচ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়, তেমনি ক্রেতা সুরক্ষা ক্ষেত্রেও প্রশ্নচিহ্ন থেকে যায়। সমগ্র বিশ্বব্যাপী কলার চাষ বিধ্বস্ত হচ্ছে যে রোগগুলির কারণে পানামা রোগ, সিগাটোকা দাগ বা পাতা পোড়া, আনথ্রাকনোস, ব্যাকটিরিয়া জনিত কন্দ পচা, গুচ্ছমাথা রোগ ইত্যাদি। যেহেতু নতুন রাসায়নিক প্রয়োগের সাথে সাথে রোগের জীবাণুগুলিও বিবর্তনের দ্বারা আরও প্রতিরোধী এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তাই শুধুমাত্র রাসায়নিক ব্যবস্থার উপর আস্থা না রেখে, সামগ্রিকভাবে সুসংহত শস্যসুরক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করে ফসলের গুণমান বজায় রাখা যেতে পারে। এখানে কলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগ এবং তাদের সম্ভাব্য প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হল:
পানামা রোগ
কৃষিজ ফসলের রোগব্যাধির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন কয়েকটি রোগের মধ্যে কলার পানামা রোগ অন্যতম। ছত্রাকঘটিত (c. o. Fusarium oxysporum f.sp. cubense) এই রোগটি অর্থনৈতিক ক্ষতির নিরিখে একদম প্রথম সারিতে রয়েছে। সমগ্র বিশ্ব জুড়ে প্রায় সবকটি উন্নতমানের ফলনশীল কলার জাতগুলি কমবেশি এই রোগের শিকার হয়। বেশ কয়েকটি পর্যায়ক্রমে গাছ এই রোগে আক্রান্ত হয়। সর্বপ্রথম মূলে সংক্রমণ শুরু হয়, যা বাইরে থেকে শনাক্ত করা যায় না। এরপর পাঁচ থেকে ছয় মাস বয়সি গাছের নিচের দিকের পূর্ণবয়স্ক ৪-৫টি পাতা ক্রমশ কিনারা থেকে মধ্যশিরার দিকে হলুদ হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এই পাতাগুলি গোড়ার দিক থেকে ভেঙে গিয়ে নিচ দিকে ঝুলতে থাকে।
এতে দূর থেকে মনে হয় গাছের নিম্নভাগের এক-চতুর্থাংশে ফ্যাকাশে হলুদ পাতাগুলো আধাভাঙ্গা হয়ে গাছটিকে স্কার্টের মতো ঘিরে রয়েছে। আক্রান্ত গাছের নতুন পাতাগুলি ছোট, বিকৃত হয়। এছাড়া আক্রান্ত গাছের ছদ্মকাণ্ড মাঝে মাঝে উল্লম্বাকারে ফেটে যায়। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় নালিকা বাণ্ডিল গুলি বাদামি বর্ণ ধারণ করেছে। অনেকসময় পানামা রোগে আক্রান্ত গাছ মারা যাওয়ার আগে প্রচুর পরিমাণে সাকার (তেউড়) উৎপাদন করে। এমনকি এই সাকারগুলিরও নালিকা বান্ডিল ১-২ মাসের মধ্যেই ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হয়। রসথালি, মন্থন, কদলী, কাপুরভালী জাতের কলা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
মৃত্তিকাজাত (soil borne) এই ছত্রাকটি সাধারণত আক্রান্ত রাইজোমের মাধ্যমে অথবা সেচের জল দ্বারা অন্য জমিতে ছড়িয়ে পরে। একই জমিতে বারবার সংবেদনশীল (Susceptible) জাতের চাষ হলে পানামা রোগ অবশ্যম্ভাবী। এই ছত্রাকটি জমির মাটিতে প্রায় ৩০-৪০ বছর বা তারও বেশি সময় বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে, তাই এর মাধ্যমে কলাচাষ ভীষণভাবে ব্যাহত হয়। প্রধানত আম্লিক প্রকৃতির ঝুরঝুরে মাটিতে এই রোগের তীব্রতা বেশি হয়। কোনও গাছে কৃমির সংক্রমণ থাকলে তাতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রবল সম্ভবনা থাকে।
প্রতিকার
পানামা রোগের কারণ যেহেতু জমিতেই লুকিয়ে থাকে, তাই কৃষক বন্ধুদের কলাচাষ মনস্থির করার পর থেকেই জমির সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। কেবল একটি বা দুটি ব্যবস্থা নয়, সামগ্রিক পরিচর্যার মাধ্যমে রোগ সংক্রমণের হার একদম কমিয়ে আনা সম্ভব।
১) আক্রান্ত জমি থেকে উৎপন্ন তেউড় ব্যবহার না করাই শ্রেয়। তার পরিবর্তে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে তৈরি রোগমুক্ত চারা ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) চাষের জন্য প্রতিরোধী জাত নির্বাচন করতে হবে এবং একই জমিতে বারবার কলাচাষ করা যাবে না।
৩) যেহেতু অধিক নাইট্রোজেন সার প্রয়োগে রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়, তাই জমিতে সুপারিশ অনুযায়ী রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। আম্লিক মাটিতে ডিএপি ব্যবহার করতে হবে।
৪) কোনও জমিতে যদি আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে পানামা রোগ আক্রমণ হওয়ার ইতিহাস থাকে, সেক্ষেত্রে ওই জমিতে কলা চাষ না করাই শ্রেয়। একান্তই করতে হলে সেখানে শস্য আবর্তন পদ্ধতিতে প্রথমে ২-৩ বছর ধরে কলার সাথে ধান, আনারস, সোয়াবীন চাষ করা যেতে পারে। এই ধরনের জমিতে দ্বিতীয়বার কলাচাষের পূর্বে ১-৩ মাস যাবৎ বারবার জল ধরে রাখতে হবে, যাতে অক্সিজেনহীন অবস্থায় ছত্রাকের বিস্তারকারী অংশগুলি মারা যায়।
৫) জমিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আগাছামুক্ত রাখতে হবে। আক্রান্ত গাছের পাতা, কান্ড সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। চাষের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রদি রোগগ্রস্থ গাছে প্রয়োগ করা
হলে অবসশই জীবাণুমুক্তকরণ (Disinfection) করতে হবে।
৬) তেউড় বসানোর আগে এবং রোপণের ৩ মাস পরে মোট ২ বার জমির মাটিতে উপকারী ব্যাকটিরিয়া ব্যাসিলাস সাবটিলিস ২.৫ কেজি প্রতি হেক্টর হিসেবে ৫০ কেজি এফওয়াইএম-এর সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৭) আক্রান্ত জমির চারপাশে পরিখা খনন করে সেখান থেকে জল অন্য জমিতে ঢোকার ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে।
৮) পারিঙ (Paring) এবং প্রালিনেজ (Pralinage) পদ্ধতিতে প্রথমে রোপণের জন্য ব্যবহৃত কন্দগুলির উপরের দিকের কিছু শুকনো ছাল ও শিকড় তুলে ফেলে দিতে হবে। এরপর ছেঁটে দেয়া অংশ সহ সাকারটিকে ০.২% কার্বেন্ডাজিম দ্রবণে (@২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে) ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর সাকারটির কন্দ অংশ ‘কাদামাটির কাই’ (clay slurry) তে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে তুলে নেয়ার পর তার উপর দিয়ে ঘন করে কার্বোফিউরান দানা @২০-২৫ গ্রাম প্রতি কন্দ হিসেবে ছিটিয়ে দিতে হবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে কৃমি এবং পানামা রোগ দুইয়ের হাত থেকেই রক্ষা পাওয়া যায়।
৯) আক্রান্ত এবং সুস্থ দুরকম গাছেই রোপণের পর থেকে তৃতীয়, পঞ্চম এবং সপ্তম মাসে সিউডোস্টেম ইনজেকসনের মাধ্যমে ০.২% ব্যাভিস্টিন দ্রবণ ৩ মিলি প্রতি গাছ হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে।
১০) ০.১% কার্বেন্ডাজিম দ্রবণ দিয়ে গাছ ও তার সংলগ্ন মাটি ভাল ভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। এটি গাছ লাগানোর ৫ মাস পর থেকে প্রতি মাসে অন্তত দুবার করে করতে হবে।
১১) কোনও গাছ আক্রান্ত হলে সেটিকে তুলে ফেলে ১-২ কেজি চুন প্রতি গর্তে প্রয়োগ করতে হবে।১২) বেশ কিছু জৈব ছত্রাকনাশক যেমন ট্রাইকোডার্মা, সিউডোমোনাস জমির মাটিতে আগে থেকে মিশিয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়। অথবা ‘corm’-গুলিকে রোপনের আগে তাতে একটি ১০ সেমি পরিধির ছিদ্র করে ১ টি (৬০ মিলিগ্রাম) করে ব্যাসিলাস সাবটিলিস ক্যাপসুল পুরে দেয়া যেতে পারে।
সিগাটোকা দাগ
Mycosphaerella নামক ছত্রাকের দুটি প্রজাতি এই রোগের কারণ। কলাতে প্রধানত দু’ধরণের সিগাটোকা দেখতে পাওয়া যায়; যথাক্রমে কালো ও হলুদ সিগাটোকা। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে হলুদ সিগাটোকার প্রকোপই বেশি। এই রোগে প্রথমে অর্ধ উন্মুক্ত তৃতীয় বা চতুর্থ পাতার নিচের তলে ১-২ মি.মি. দৈর্ঘ্যের হালকা হলুদ বা সবুজাভ বাদামি রঙের অসংখ্য ছোট ছোট ছোপ দেখতে পাওয়া যায়। বৃষ্টিযুক্ত আর্দ্র আবহাওয়া থাকলে পাতার উপরের তলেও ছোট ছোপগুলি একসাথে মিশে গিয়ে পাতার কিনারা থেকে প্রায় মধ্যভাগ পর্যন্ত বিস্তারিত চোখের আকৃতির বড় দাগে (৩-৪ সেমি দৈর্ঘ্যের) পরিণত হয়।
এই বিশেষ আকৃতির দাগগুলি সাধারণত শিরার সাথে সমান্তরালে তৈরি হয় এবং মাঝখানের অংশ ধুসর রঙের হলেও, একে কেন্দ্র করে থাকে গাঢ় বাদামি বা কালচে রঙের পরিধি। কলার জাতের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে এই দাগগুলির চারপাশে উজ্জ্বল হলুদ রঙের বলয় (Halo) লক্ষ্য করা যায়। এভাবে সমগ্র পাতাটি ক্রমশ এই বিশেষ ধরণের দাগে ভরে যায় এবং ধীরে ধীরে শুকিয়ে মারা যায়। দূর থেকে দেখলে আক্রান্ত পাতাগুলিকে পোড়া পোড়া মনে হয়। সিগাটোকার কারণে প্রধানত গাছের সালোকসংশ্লেষ ব্যাপক হারে ব্যাহত হয়। উৎপন্ন কলার কাঁদি ছোট হয় এবং ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। জমির মাটির উর্বরতা কম হলে কিংবা জলনিকাশী ব্যবস্থা খারাপ থাকলে সিগাটোকার প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পায়। জমিতে পড়ে থাকা পচা, আক্রান্ত পাতাগুলি ছত্রাকটিকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। তারপর ছত্রাকের স্পোরগুলি হাওয়ার সাথে পরিবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.