Advertisement
Advertisement

ডেঙ্গু রোধে ব্রহ্মাস্ত্র গাপ্পি মাছ, পাইলট প্রজেক্ট চন্দ্রকোণায়

১০০ দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই পাইলট প্রজেক্ট৷

Guppy fish effective for control dengue
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 5, 2018 4:26 pm
  • Updated:December 5, 2018 4:33 pm

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: মশাখেকো গাপ্পি মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লক প্রশাসন৷ ইতিমধ্যেই একশো দিনের কাজের প্রকল্পে একটি পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে ব্লক প্রশাসন থেকে৷ গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে বংশ বিস্তারে বাধা দেবে৷ ফলে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর হাত থেকে রেহাই পাবেন মানুষজন৷ এমনটাই মনে করছে ব্লক প্রশাসন৷ ব্লকের বিডিও অভিষেক মিশ্র বলেন,“গাপ্পি মাছ মূলত মশার লার্ভা খেয়ে বেঁচে থাকে৷ এই মাছ চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমরা একটি পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি৷ একশো দিনের কাজের প্রকল্পের আইবিএস (ইনডিভিজুয়াল বেনিফিট স্কিম)-তে আমরা দু’জনকে নির্বাচন করেছি৷ মাছ চাষ হয়ে গিয়েছে৷ খুব শীঘ্রই বাজারে বিক্রি শুরু হবে৷”

[কই মাছ চাষে বিপুল লক্ষ্মীলাভ হলদিয়ার মৎস্যচাষীদের]

ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর হাত থেকে রেহাই পেতে চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লক প্রশাসন যেমন সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে তেমনই গাপ্পি মাছ চাষেও উৎসাহ দিতে শুরু করেছে৷ জানা গিয়েছে, গাপ্পি মাছ মূলত মশার লার্ভা খেয়ে বেঁচে থাকে৷ ডোবা, নর্দমা বা পচা পুকুরে গাপ্পি মাছ চাষের উপযুক্ত জায়গা৷ ব্লক প্রশাসনের যুক্তি, যত বেশি গাপ্পি মাছ চাষ হবে মশার উপদ্রব ততই কমবে৷ তাই একশো দিনের কাজের প্রকল্পে একটি পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে ব্লক প্রশাসন৷ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দুই মহিলাকে নির্বাচন করে গাপ্পি মাছ চাষ শুরু করা হয়েছে৷ পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গাপ্পি মাছের চারা আনা হয়েছে৷ ৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট দু’টি চৌবাচ্চা তৈরি করা হয়েছে৷ প্রতিটি চৌবাচ্চায় ৩২০টি গাপ্পি মাছ চাষ করা হয়েছে৷ চৌবাচ্চা তৈরি থেকে শুরু করে মাছের খাবার প্রভৃতি বাবদ খরচ পড়েছে ৬০ হাজার টাকা৷ এক একটি স্ত্রী গাপ্পি মাছ এক মাসের মাথায় ৩০-৪০টি মাছের জন্ম দেবে৷ ফলে এক মাসের মধ্যে প্রচুর গাপ্পি মাছ পাওয়া যাবে৷ প্রতিটি গাপ্পি মাছের বাজারে মূল্য পাঁচ থেকে ছয় টাকা৷ এই মাছ বিক্রি করে সহজেই একজন স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন বিডিও অভিষেক মিশ্র৷

Advertisement

[আয় বাড়াতে পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিতে মাছ ছড়াল মৎস্য দপ্তর]

কী বলছেন পাইলট প্রজেক্টের দুই উপভোক্তা কাষন্ড গ্রামের সাবিনা ইয়াসমিন ও হেমতপুর গ্রামের সান্ত্বনা ঘোষ? সাবিনা ইয়াসমিন চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর মহাসংঘের সম্পাদিকাও৷ তিনি বলেন, “গাপ্পি মাছ খুব সহজেই চাষ করা যায়৷ পচা ডোবা বা নর্দমায় এই মাছ ভাল জন্মায়৷ আমার চৌবাচ্চায় প্রায় তিন হাজার গাপ্পি মাছ জন্মেছে৷ দু-এক দিনের মধ্যে মাছ বিক্রি শুরু করা হবে৷ ব্লক প্রশাসন থেকে আমাদের দারুণ সহযোগিতা করেছে৷” বিডিও অভিষেক মিশ্র বলেন, “ইতিমধ্যে অনেকেই আমাদের সঙ্গে মাছ কেনার জন্য যোগাযোগ করেছেন৷ এমনকী, বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানও বিশেষ করে পুরসভা, পঞ্চায়েত থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ আমরা গাপ্পি মাছ চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে বলেছি৷ যত বেশি এই মাছ চাষ হবে তত বেশি মশার উপদ্রব কমবে৷” এই প্রকল্প সফল হলে জেলার অন্যান্য ব্লকেও গাপ্পি মাছ চাষ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকেও নজর রাখা হয়েছে বলে অভিষেকবাবু জানান৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement