অরূপ বসাক, মালবাজার: সুগন্ধী চায়ের উৎপাদক হিসাবে দার্জিলিংয়ের পরিচিতি রয়েছে৷ কালিম্পং আলাদা হওয়ার পর জেলার আর্থিক উন্নতি এবং আলাদা পরিচিতি লাভের আশায় কফি চাষে গুরুত্ব দিয়েছে জিটিএ। এই উদ্যোগকে সফল করতে জিটিএ’র পক্ষ থেকে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷
কালিম্পং জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গত এক বছর ধরে স্থানীয় কৃষকদের অনুপ্রাণিত করা হয়। দেওয়া হয় বীজ। বীজের অঙ্কুরোদগম করতেও সক্ষম হয়েছেন বহু কৃষক৷ সফলভাবে গাছ তৈরি করতে সক্ষম কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কৃষি সরঞ্জাম৷ কালিম্পংয়ের গরুবাথানের কুমানী এলাকায় ১৪৯ জন কৃষককে জলের ট্যাঙ্ক ও পাইপ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালিম্পংয়ের কৃষি দপ্তরের আধিকারিক প্রেম্বা তামাং, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ৪৪ নম্বর সমষ্টির সভাপতি হরকামান ছেত্রী, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ লামা ইয়াঞ্জন৷
সরঞ্জাম দেওয়ার পর প্রেম্বা তামাং বলেন, ‘‘কালিম্পং জেলার মাটি ও জলবায়ু কফি চাষের জন্য উপযোগী। এই কারণে জিটিএ’র পক্ষ থেকে কফি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ১৪৯জন কৃষককে নিয়ে ২৬ টি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে৷ গত বছর এই এলাকায় কৃষকদের বীজ দেওয়া হয়। সেই বীজ থেকে যাঁরা গাছ তৈরি করতে সক্ষম, তাঁদের পাইপ এবং ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়।
কফি উৎপাদক প্রীতি বাহাদুর রাই এবং ধনবাহাদুর রাই বলেন, ‘‘গত বছর আমাদের বীজ দেওয়া হয়। কিছু নষ্ট হলেও প্রায় কয়েকশো গাছ বড় হয়েছে। শুনেছি কফি চাষে লাভ হয়। ট্যাঙ্ক ও পাইপ পাওয়ায় আমাদের সুবিধা হবে।’’ কৃষকদের সাহায্যের জন্য ৪৪ নম্বর সমষ্টির পক্ষ থেকে জিটিএ’র সভাপতি অনিত থাপা ও উপদেষ্টা বিনয় তামাংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সভাপতি হরকামান ছেত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.