Advertisement
Advertisement

Breaking News

Singur

সিঙ্গুরে কারখানার জন্য প্রস্তাবিত জমিতে মাছ চাষের উদ্যোগ, তৈরি হচ্ছে ভেড়ি

শীঘ্রই মাছ ছাড়া হবে।

Fish farming mulled on land acquired for factory in Singur | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 31, 2022 2:39 pm
  • Updated:January 31, 2022 2:39 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মোটরগাড়ি তৈরির কারখানার জন্য ২০০৬ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার অধিগ্রহণ করেছিল প্রায় হাজার একর চাষের জমি। বহুফসলি জমি কারখানা তৈরির জন্য তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করে সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনে নামে রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল।  আন্দোলনের ফলস্বরূপ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিঙ্গুরের সেই জমি চাষিদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর ফলনক্ষমতা হারানো সেই জমিতে উল্লেখ করার মতো চাষবাসও হচ্ছিল না। পড়ে থাকা সেই জমির একাংশেই গড়ে উঠতে চলেছে ভেড়ি। সরকারের ‘আত্মী’ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভেড়ি করতে ইচ্ছুক চাষিদের জমিতেই পুকুর কেটে মাছের চারা ছাড়ার বন্দোবস্ত শুরু হয়েছে জোরকদমে।

ইতিমধ্যেই সিঙ্গুরের গোপালনগর মৌজায় বনমালী মাইতি নামে জনৈক চাষি তাঁর ৩ একর ৬২ শতক জমিতে পুকুর খুঁড়ে মাছের ভেড়ি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বনমালীর দেখাদেখি ভেড়ি তৈরিতে ইচ্ছুক বহু চাষি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু, চাষের জমি ফেরত পেয়ে চাষ না করে ভেড়ি তৈরির ভাবনা কেন? উত্তরে বনমালী মাইতি জানান, “সরকার জমি ফেরত দিয়েছিল চাষের জন্য। কিন্তু চাষযোগ্য করে সেখানে ফসল ফলাতে গেলে যে খরচ তা অনেক বেশি। তাই ১০ বিঘা জমিতে ভেড়ি করে মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত।” এর জন্য গোপালনগর পঞ্চায়েত থেকে তিনি প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েছেন।

Advertisement
ফাইল ছবি।

[আরও পড়ুন: শীতের মরশুমে খেজুর রস থেকে গুড় তৈরি করে মোটা টাকা আয়ের সুযোগ, জানুন পদ্ধতি]

গোপালনগর মৌজার আরেক চাষি সৌরভ মাইতি জানালেন, তিনিও তাঁর পাঁচ বিঘা জমিতে মাছের ভেড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর মতে, এখন চাষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল শ্রমিক পাওয়া। তার উপর জমি চাষযোগ্য করে সেখানে ধান বা আলু চাষ করাটা অত্যধিক ব্যয়সাপেক্ষ। তাই তিনি ভেড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দুধকুমার ধাড়া বলেন, “যাঁদের তিন বিঘা বা তার বেশি জমি রয়েছে তাঁদের সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন করে দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেরকম মাছ চাষ হবে অন্যদিকে পুকুরের জল চাষের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এতে ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পের উদ্দেশ্যও অনেকটাই বাস্তবায়িত হবে।”

এদিকে, চাষের জমিতে ভেড়ি করাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তিন ফসলি, চার ফসলি জমিতে ভেড়ি হবে। আসলে সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে এখন তা প্রমাণ হল।” পালটা সিঙ্গুর কৃষিজমি আন্দোলনের নেতা তথা বর্তমান মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “সিঙ্গুরের মানুষ সব দেখছেন। পুরভোটের আগে মিথ্যে অভিযোগ তুলে এখন দিলীপবাবুরা প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন।”

[আরও পড়ুন: দলে পুরনো কর্মীদের অবদান কী? বিদ্রোহ-কাঁটায় তুলেই ধরতে পারল না বঙ্গ বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement