চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: এবার পরিত্যক্ত কয়লা খাদানে মাছ চাষের উদ্যোগ নিল প্রশাসন। সেই উদ্দেশ্যে ছাড়া খাদানের জলে মাছের চারা ছাড়া হল। মঙ্গলবার ইসিএলের ছ’টি খোলামুখ খনিতে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে ৫২ হাজার ৫০০ টি চারা মাছ ছাড়া হল। সালানপুর ব্লকের ছয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই মাছের চারা দেওয়া হয়। তাঁরাই মাছের চারাগুলি খাদানে ছাড়েন।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি, সুশান্ত হেমব্রম-সহ অন্য পঞ্চায়েত আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বনবিড্ডি এলাকার বাউরী পাড়া অঞ্চলে সাড়ে সাত হাজার ইউনিট করে পাঁচটি গোষ্ঠীকে মাছের চারা ভাগ করে দেওয়া হয়। একটি গোষ্ঠীকে দেওয়া হয় ১৫ হাজার চারা। ইসিএলের বন্ধ পড়ে থাকা সামডি সংগ্রামগড় খনির জন্য শিবশংকর গোষ্ঠীকে দেওয়া হয় ১৫ হাজার মাছের চারা, আলকুশা ২ খোলামুখ খনির জন্য আলকুশা এফপিজি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সাড়ে ৭ হাজার মাছেরা চারা দেওয়া হয়। আলকুশা ৩ খোলামুখ খনিতে সাড়ে ৭ হাজার মাছ ছাড়া হবে। মা রক্ষাকালীর নামাঙ্কিত স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই দায়িত্ব পেয়েছে। ধুন্দাবাদা খনিতে মাছ ছাড়ার জন্য পাহাড়িবাবা গোষ্ঠী পেয়েছে সাড়ে সাত হাজার মাছের চারা। বনবিড্ডি বাউরি পাড়া খোলামুখ খনিতে ছাড়া হবে সাড়ে সাত হাজার মাছ। মাছগুলি বীনাপানি সংঘ ক্লাবকে দেওয়া হয়। ডালমিয়া কোলিয়ারির জন্য বরাদ্দ সাড়ে সাত হাজার মাছ। খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী সেখানে মাছের চাষ করবে।
জেলা কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান বলেন, “গত তিন বছর ধরে মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে এই কাজ করা হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বিনামূল্যে জাল, হাঁড়ি, ঝুড়ি ও মাছ চাষের অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য, গত একবছরে জেলায় ইসিএলের ২০ টি জল ভরতি পরিত্যক্ত খনি থেকে ৮৬ টন মাছ উঠে আসে। শুধু খনি নয়, জেলার ৩৭৫টি পুকুরে মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০০টি পুকুর রয়েছে।
ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.