টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এবার পশুপালন ও মৎস্য চাষের জন্যও মিলতে পারে ঋণ। তবে বিষয়টি এখনও বাঁকুড়ার পশুপালক ও মৎস্যচাষিদের অধিকাংশই জানেন না! যার জেরে সরকারি সাহায্যের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।
দাদনের হাত থেকে দুঃস্থ কৃষকদের মুক্তি দিতে ১৯৯৮ সালে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবস্থা শুরু হয়। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই কৃষকদের সুবিধায় বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে এই কার্ড কৃষকদের হাতে পৌঁছে দিতে তোড়জোড় শুরু করে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিলেই কৃষকরা সরাসরি ফসল বিমা যোজনার আওতায় চলে আসেন। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা যে কোনও কারণে ফসল নষ্ট হলে বিমা কোম্পানির মাধ্যমে সহজেই ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যান। একইভাবে মৎস্যচাষি ও পশুপালকদের জন্যও ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে এই কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে। কিন্তু এখনও বাঁকুড়া জেলার প্রত্যন্ত মৎস্যচাষি ও পশুপালকদের মধ্যে এ-বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। এ-বিষয়ে নাবার্ডের ডিডিএম সোমনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া জেলায় কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২৬৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পশুপালক এবং মৎস্যচাষিদের মধ্যে এনিয়ে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।” ওন্দার রামসাগরের ডিম পোনা ব্যাবসায়ী শিবদাস নন্দী, মধুসূদন নন্দীরা বলেন, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এত সুযোগ-সুবিধা যে মেলে এটা কেউ তাঁদের জানাননি।
কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হয় এই কিষান ক্রেডিট কার্ড? যাঁদের চাষযোগ্য জমি রয়েছে তাঁরাই এই কার্ড পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। সেই সঙ্গে জমির দলিল, সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র, আধার কার্ড, ব্যাংকের পাশবই প্রয়োজন। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রথম বছর বাজারে চলতি সুদের থেকে দুই শতাংশ কম অর্থাৎ সাত শতাংশ হারে সুদ নেওয়া হয়। প্রথম বছর ঠিক ভাবে এবং সময় মতো ঋণ শোধ করলে পরবর্তী সময়ে সুদের হার আরও তিন শতাংশ কমে চার শতাংশে দাঁড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.