অরূপ বসাক, মালবাজার: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের (Dooars) আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। প্রায় সারাদিনই আকাশের মুখ ছিল ভার। দুপুর হতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে থাকে ডুয়ার্সের মাল মহকুমা(mal mahakuma) এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে। রাত নামতেই মাল ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক স্থানে প্রবল শিলাবৃষ্টির সঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। শিলাবৃষ্টিতে বেশকিছু বাড়ি ও আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় কারওর প্রাণহানি বা খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হলেও চাষের জমির ক্ষতি হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিলাবৃষ্টিতে ডুয়ার্সের অন্যান্য এলাকায় সেভাবে প্রভাব না পড়লেও, ব্যাপক আকার নেয় মাল ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপুছাপুর বসতি, কান্তদিঘি কুমারপাড়া এলাকায়। শুক্রবার সকালে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা নেপুছাপুর বস্তিতে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান দেখে এসেছেন। সেখানকার কিছু বাড়ির টিনের চাল শিলাবৃষ্টিতে ফুটো হয়ে গিয়েছে, মাটির দেওয়াল ধসে গিয়েছে, অ্যাসবেস্টসের চালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু বাড়িঘর নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শশা, ঝিঙের খেতও। গাছগুলি নরম হওয়ার জন্য মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ উরাও ও গঙ্গারাম উরাও জানান প্রায় ৫০টি বাড়ির চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গল উরাও(Mangol Urao) জানান, নেপুছাপুর বস্তির ২০/১৫১ ও ২০/১৫৫ নম্বর পার্টে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বহু বাড়ির চালে ফাটল দেখা গিয়েছে। মেরামত না করলে বর্ষার সময় কষ্ট বাড়বে গৃহস্থের। বাসিন্দাদের বেশিরভাগ পরিবারই দরিদ্র। তাই সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য তারা দরখাস্ত করবেন বলে ঠিক করেছেন।
কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের (Kumlai gram panchayat) সদস্য তথা তৃণমূল কিষাণ খেত মজদুর সংগঠনের সভাপতি বাদশা আহমেদ বলেন, “নেপুছাপুর বস্তি ও কান্তদীঘি কুমারপাড়া এলাকায় বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছি।”
মালবাজারের মহকুমা শাসক শান্তনু বালা বলেন, “কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতির হিসেব নিকেশ করছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.