রাজা দাস, বালুরঘাট: বিকল্প হিসাবে মাদুরকাঠি চাষ করে উল্লেখযোগ্যভাবে সফল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তার জেরেই স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। ১১ জানুয়ারি দিল্লিতে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের পুন্ডরি, শিরসি এবং বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৯টি পরিবারকে ১০০ দিনের প্রকল্পে মাদুরকাঠি চাষে যুক্ত করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। চলতি মরশুমে ৮২৫টি শ্রমদিবস ছিল। পাশাপাশি আরও ৪০০টি পরিবারকে ওই প্রকল্পে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ১০০ দিনের প্রকল্পে মাদুরকাঠি চাষ করানো হয়। উৎপাদিত কাঠি বা শন দিয়ে মাদুরের পাটি, আসন, ব্যাগ-সহ নানা ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ দিল্লিতে একশো দিনের প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে প্রশংসিত হয়েছে। এরপরেই স্কচ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার দেওয়া হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, গতানুগতিক চাষের পাশাপাশি কৃষকদের মাদুরকাঠি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। সেই কাঠি নানা সামগ্রী তৈরিতে লাগানো হচ্ছে। তাতে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। মাদুরকাঠি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ওই তিনটি অঞ্চলের পরিবারগুলির সঙ্গে হ্যান্ডলুম দপ্তরকে যুক্ত করা হয়। এরপরই মাদুরকাঠি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হরিরামপুরের ওই তিনটি অঞ্চলের প্রতিটি পরিবার তাদের জমিতে ধান ও অন্য ফসল চাষের পাশাপাশি ১০ শতক করে জমিতে মাদুরকাঠি চাষ করেন। মোট ৯৯০ শতক জমি মাদুরকাঠির চাষের আওতায় আনা হয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পে শ্রমদিবসের মজুরি হিসাবে প্রতিটি পরিবার পেয়েছেন ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.