ফাইল ছবি।
কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: অনাবৃষ্টির জের। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) মাত্র তিন হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আমন ধান। যা নিয়ে উদ্বেগে জেলা কৃষি আধিকারিকরা।
খাতায়-কলমে বর্ষাকাল হলেও বৃষ্টির দেখা নেই। অনাবৃষ্টির জেরে আমন ধান চাষে বিপাকে পড়েছেন জেলার চাষিরা। বীজতলা রক্ষা করতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এক লক্ষ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। হেক্টর পিছু প্রায় সাড়ে তিন টন আমন ধান উৎপাদন হয় জেলায়। এবারও আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছিলেন চাষিরা। আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ এলেও বৃষ্টির দেখা নেই।
শক্তিপুরের কৃষক ধনঞ্জয় ঘোষ জানান, গত বছর ভাল বৃষ্টিপাত হয়েছিল। আমন ধান চাষ করতে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবার বিধি বাম। কবে বৃষ্টি হবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। নওদার কৃষক সালাম শেখ বলেন, “প্রায় দু’সপ্তাহ আগে বীজতলা তৈরির কাজ করেছিলাম। কিন্তু জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে জমি। ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আমন চাষ হবে না।” জেলা কৃষি উপ-অধিকর্তা মোহনলাল কুমার বলেন, “গত বছর অনেক আগেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে জুন মাসে মাত্র ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জুলাই মাসে মাত্র ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকই কম। গত জুন মাস থেকে বুধবার পর্যন্ত মাইনাস ৬২ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে। ফলে আমন ধানের চাষ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন জেলার কৃষকরা।”
জেলা কৃষি আধিকারিকরা জানান, এবছর জেলায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারাগাছ লাগানো হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই আমন ধান চাষ শুরু করার কথা। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে এবার চাষ শুরুই হয়নি। কৃষকদের কথা ভেবে এলাকার বিভিন্ন ডিপ টিউবওয়েল, স্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.