সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বোরো ধান কাটায় কর্মী সংকট ছিলই। সংকট বেড়েছিল ভিনারাজ্য থেকে ধান ঝারাইয়ের যন্ত্র (হার্ভেস্টর মেশিন) ও তার অপারেটর এবং খালাসি আনার অনুমতি না মেলায়। চরম সমস্যায় পড়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ধান চাষিরা। শেষ পর্যন্ত ভিনরাজ্য থেকে হার্ভেস্টর অপারেটর ও খালাসি আনার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সে সব জেলার জেলা শাসকদের এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল রাজ্য থেকে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, ওইদিন রাতে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, “বাইরের রাজ্য থেকে অপারেটর বা খালাসি বা হার্ভেস্টর আনতে কোনও বাধা নেই। রাস্তায় কোথাও আটকানো হবে না তাঁদের।”
ধান উৎপাদনে দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে এই জেলা। শস্যগোলাও বলা হয়ে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার কয়েকদিন আগে বর্ধমানে এসে জানিয়েছিলেন ভিনরাজ্য থেকে হার্ভেস্টর ও অপারেটর আনার জন্য রাজ্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার তার অনুমোদন মিলেছে। বোরো ধান ইতিমধ্যেই পেকে গিয়েছে। লকডাউনের কারণে শ্রমিকও মিলছে কম। আবার ভিনরাজ্য থেকে অপারেটর আনতে না পারায় অনেক জায়গায় ধান কাটাও শুরু করা যাচ্ছিল না। আবার কালবৈশাখীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই জেলার কোন না কোনও জেলায় পাকা ধানে কার্যত মই দিচ্ছিল। এবার হার্ভেস্টর ও ভিনরাজ্যের অপারেটর আনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ওঠায় স্বস্তিতে চাষিরা।
আবার যাঁরা হার্ভেস্টর ভাড়া খাটান তাঁরাও স্বস্তি পেয়েছেন। রেড জোন ব্যতীত অন্য জেলা থেকে শ্রমিক আনার ক্ষেত্রে আগেই ছাড়পত্র দিয়েছিল রাজ্য। এবার ভিনরাজ্য থেকেও অপারেটর আনার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হল। জেলায় এবার লক্ষাধিক হেক্টের বোরো চাষ হয়েছে। ধান না উঠলে সহায়ক মূল্যে তা কিনতে পারছে না রাজ্য। আবার ধান না পেলে রাইস মিলগুলিও চাল সরকারকে দিতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতেত এই ছাড়পত্র পাওয়া খুবই জরুরি ছিল। রাজ্যের সিদ্ধান্তে লকডাউনেও খুশির হাওয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.