টিটুন মল্লি, বাঁকুড়া: চাহিদা বাড়ছে নাসিকের পিঁয়াজের, ফলে দাম তলানিতে ঠেকেছে বাংলার দেশি আনাজের। বাঁকুড়ায় এই উৎসবের মরশুমেও খোলা বাজারে পিঁয়াজের দাম নেমেছে প্রতি কেজি ১০ টাকায়। চাষিরা তা বিক্রি করছেন পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায়! ফলে তাঁদের মাথায় হাত।
বাঁকুড়ায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে রবি মরশুমে সুখসাগর পিঁয়াজের চাষ করা হয়েছিল। অধিকাংশ জমির পিঁয়াজ উঠে গেলেও দাম মিলছে না বলে অভিযোগ করছেন চাষিরা। অথচ ভিনরাজ্যের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। জেলা উদ্যান পালন দপ্তর জানাচ্ছে, ফলন ভাল হলেও দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। ৫ থেকে ৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। কারণ, এজেলায় পিঁয়াজ সংরক্ষন করার তেমন গুদামঘর নেই। কৃষকদের কথায় পেঁয়াজ সংরক্ষনের জন্য বিশেষ ধরনের গুদাম প্রয়োজন। যেখান পিঁয়াজকে ঝুলিয়ে রাখা যায়।
বাঁকুড়ার ছাতনা, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, জয়পুর, কোতুলপুর ব্লকে পিঁয়াজ হয় সবচেয়ে বেশি। অর্থকরি ফসলের মধ্যে ধান, আলুর পরেই বিগত কয়েক বছর ধরে এ জেলার কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করছেন। কিন্তু তিনমাসে এত খরচ করে চাষ করে কেজি পিছু মাত্র চার-পাঁচ টাকায় পিঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়ে চোখের জল ফেলছেন অনেক চাষি। বড়জোড়ার এক চাষি বলেন, আর কয়েকদিন বাদেই ইদ, গত ১৫ দিন ধরে রমজান মাস চলছে। উৎসবের মুখে পিঁয়াজের ভালে ফলন দেখে খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কোথায় কী, এক কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি।
খুজরো বিক্রেতারা বলছেন, এখন পিঁয়াজের জোগান খুব বেশি। নাসিকের পিঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ভাল। স্থানীয় পিঁয়াজ তেমন নিতে চাইছেন না মানুষজন। এবিষয়ে বাঁকুড়া জেলা কৃষি বিপনণ দপ্তরের আধিকারিক মহঃ আকবর আলি বলছেন, “ভিন রাজ্যের পিঁয়াজের চাহিদা রয়েছে বাজারে। স্থানীয় পেঁয়াজের তেমন চাহিদা না থাকাতেই দাম তলানিতে ঠেকেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.