সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: একশো দিনের প্রকল্পে এবার ‘যৌথ খামার’। এই প্রকল্পের উষরমুক্তি প্লাসে উৎপাদক গোষ্ঠী সাধারণ মানুষের জীবন, জীবিকা উন্নয়নে চাষ করছে করলা (Bitter gourd)। কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের শ্যামবাজার মৌজার বাগানপাড়ায় প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে চলছে করলা চাষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে ওই জমিতে অর্জুন গাছের বাগান ছিল। পরে বন দপ্তর পাট্টা দেয় স্থানীয়দের। আদিবাসী ও স্থানীয় মহিলাদের নিয়ে ৫ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৫০ জন যুক্ত হন এই করলা চাষে। কেন্দ্রের একশো দিনের প্রকল্পের অন্তর্গত উষরমুক্তি প্লাস প্রকল্পে স্থানীয়দের জীবন, জীবিকার মান উন্নয়নে এই চাষে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কারিগরি সাহায্য দিচ্ছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিঘা প্রতি ৪০০ গ্রাম করলা বীজ রোপণে ২০০ বিঘা জমিতে করলা চাষ করতে বীরভূমের ইলামবাজার থেকে উন্নত প্রজাতির (মেঘনা ২) ৮০ কেজি করলা বীজ আনা হয়। খরচ প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা।
সরকারি দপ্তরগুলির সাহায্যে স্থানীয়দের মাটি শোধণ ও পরীক্ষা, বীজ শোধণ, যৌথ চাষে কীভাবে খরচা কম হয় এছাড়া জৈব সারের ব্যবহার নিয়ে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এখনও পর্যন্ত ৫.৫ কুইন্ট্যাল করলা ইলামবাজারের কিষাণ মান্ডিতে বিক্রি করা হয়েছে। মোট ৩০ থেকে ৪০ কুইন্ট্যাল করলা উৎপাদন হবে এই ‘যৌথ খামার’ থেকে। এই ব্যাপারে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আশাবাদী।
‘লোক কল্যাণ পরিষদ’-এর উষরমুক্তি প্লাসের টিম লিডার সত্য নারায়ণ সর্দার বলেন, “মানুষের জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে উৎপাদক গোষ্ঠী তৈরি করে আর্থিকভাবে স্থানীয় মানুষকে লাভবান করাই আমাদের লক্ষ্য।” তবে এই বিশাল এলাকাজুড়ে করলা চাষের প্রধান বাধা মূলত সেচের জল। এই ব্যাপারে কৃষি ও সেচ দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।” কাঁকসা ব্লকের কৃষি দপ্তরের সহকারী নির্দেশক অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন, “সেচের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সেচ দপ্তরের সঙ্গেও কথা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.