Advertisement
Advertisement
Rain

মিটেছে ঘাটতি, বৃষ্টির ধারাপাতে আমন চাষ নিয়ে আশাবাদী কৃষক মহল

মরশুমের প্রথম খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ধানখেতগুলিতে। এবার টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আনন্দে ধানের চারা রোপন করছেন চাষিরা।

Farmers are hopeful to grow paddy well as no scarcity in rain right now

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 24, 2024 9:50 pm
  • Updated:August 24, 2024 9:53 pm  

সম্যক খান, মেদিনীপুর: ভাদ্রের শুরুতেও তুমুল বৃষ্টি জেলায় জেলায়। ফলে বৃষ্টির ঘাটতি কিছুটা হলেও কমছে। এই মুহূর্তে লাগাতার বর্ষণে খুশি আমন চাষিরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে এই মুহূর্তে যত বেশি বৃষ্টিপাত হবে, তা সহায়ক হবে আমন চাষে। তাই বৃষ্টিকে সঙ্গী করে ধান রোয়ার কাজ চলছে জোরকদমে। আবহাওয়া দপ্তরেরও পূর্বাভাষ অনুযায়ী, ভারী বর্ষণ এখন চলবে। ফলে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি পূরণ হয়ে চাষ ভালো হবে বলে আশাবাদী কৃষক মহল।

উল্লেখ করা যেতে পারে, মাত্র এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের (Rain) ঘাটতি ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ। এক কৃষিকর্তার কথায়, চলতি আমন চাষের (Agriculture) মরশুমে প্রথমদিকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হওয়ায় সকলের মধ‌্যেই উদ্বেগ কাজ করছিল। তবে গত কয়েকদিন লাগাতার বর্ষণ সেই চিন্তা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ধান (Paddy) রোয়ার হারও বেড়ে গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নজরে ছাত্র আন্দোলন, ২৭-এ ‘নিশ্ছিদ্র দুর্গ’ নবান্ন, নিরাপত্তার দায়িত্বে ৯৭ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা]

প্রতি বছর জেলায় গড়ে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার হেক্টর আমন চাষ হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৫ শতাংশ জমিতে চারা রোপন হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই গড় লক্ষ‌্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী কৃষি দপ্তর (Agriculture Depaartment)। উল্লেখ করা যেতে পারে,  প্রতি বছর বর্ষার সময়কালে জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত গড়ে ১২০০ থেকে ১৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় সারা জেলায়। এই মরশুমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অথচ এই সময়কালে ৬০০ থেকে ৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে যাওয়ার কথা।

[আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ নিয়ে মুখ খোলা ‘নিষেধ’, নারী-অপরাধের তদন্তে ১৮ দফা নির্দেশিকা]

কৃষক নেতা প্রভঞ্জন জানা বলছেন, ”আমন চাষের শুরুর দিকে একপ্রকার খরা (Drought) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মাঠে সেরকম জল ছিল না বললেই চলে। ধান রোয়ার জন‌্য চাষিদের চড়া দামে সেচের জল পর্যন্ত কিনতে হয়েছে। কিন্তু এখন বৃষ্টিপাতের ফলে চাষে বেশ কিছুটা সুরাহা হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement