Advertisement
Advertisement
আলু

মিলছে দ্বিগুণ দাম, হিমঘর এড়িয়ে মাঠ থেকে আলু তুলে সোজা বাজারে কৃষকরা

আলুর দাম পাওয়ায় চাষে উৎসাহ বাড়ছে কৃষকদের।

Farmers are happy to earn more money by potato cultivation
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 15, 2020 6:26 pm
  • Updated:January 15, 2020 6:26 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দু’বছর পরে এবারই আলুর দ্বিগুণ দাম পেয়েছেন বীরভূমের চাষিরা। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে এখনও আলু ঢোকেনি। মরশুমও পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে চড়া দামের বাজার ধরতে চাষিরা তড়িঘড়ি মাঠ থেকে আলু তুলেই তা নিয়ে আসছেন বাজারে। গত কয়েক বছরে আলুর ৫০ কেজির প্যাকেটের দাম ছিল ৪০০ টাকা। সেটাই এই মরশুমে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজেই আলু নিয়ে আর হিমঘরমুখো হচ্ছেন না চাষিরা।

হিমঘরের মালিক নির্মল মণ্ডল জানান, “আলু জমি থেকে তোলার পর ওই হিমঘরে রাখেন কৃষকরা। এখন মাত্র ২০ শতাংশ আলু উঠেছে। ৮০ শতাংশই তোলা বাকি। ফলে সময় আছে।” আলুর ভাল দাম মেলায় বীরভূমের চাষিরা খুশি। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।  কৃষকদের বক্তব্য, বাজারদর থাকায় তাঁরা মাঠ থেকে ফসল তুলে সরাসরি বাজারে দিচ্ছেন। তাছাড়া মাঠে রাখলে ফলন বাড়বে ঠিকই। কিন্তু কুয়াশার জেরে ধসা রোগ লেগে যাওয়ার ভয়ও থাকছে। হিমঘর খোলা থাকলেও চাষিরা আলু নিয়ে হাজির হচ্ছেন না। অন্যদিকে, আলু না পাকতেই তা তুলে আনা হচ্ছে বাজারে।

Advertisement

পুজোর পরে পরপর দু’বার নিম্নচাপের বৃষ্টি। তাতে আলুর জমি তৈরি করেও বীজ রোপন করতে পিছিয়ে যান চাষিরা। না হলে ডিসেম্বরের মাঝেই নতুন আলু চলে আসে বাজারে। আলুর বাজারদর কমে। বীরভূমে আলুর গড় হিসাবে পরিচিত ময়ূরেশ্বর-সাঁইথিয়া এলাকা। সেখানকার কিছু চাষি জানান, তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন চিপস কোম্পানির চুক্তি থাকে। ফলে উৎপাদনের সবটাই তারা নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আলুর গুণমান দেখা হয়। সাঁইথিয়া এলাকার আলু বিশেষজ্ঞ অভিষেক মণ্ডল জানান, তাঁরা প্রসেসিং আলুর চাষ করেন। যার সবটা ৪০০ টাকা প্যাকেট দরে কোম্পানি কিনে নিয়ে যায়। তিনি মনে করেন, চাষিরা এভাবে আলুর দাম পেলে তাঁদের উৎসাহ বাড়বে।

[আরও পড়ুন: জায়গার অভাবে শোওয়ার ঘরেই মাশরুম চাষ, বিপুল লক্ষ্মীলাভ বৃদ্ধ দম্পতির]

উল্লেখ্য, কলেজ পাশ করে অভিষেক ২০০৮ সালে সিমলার সেন্ট্রাল পটেটো রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে আলু চাষে প্রশিক্ষণ নেন। পরে পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে এমএসসি ও পরে এমবিএ করেন। অভিষেকবাবু জানান, “এখনও কিছুদিন এই বাজারদর থাকবে। তবে চাষিরা এই দাম পেয়ে খুশি।” হাতিম গ্রামের আলু চাষি শ্যামল মণ্ডল, বরিপুরের অশোক দত্ত, ওঁচপুরের সুশীল মণ্ডলরা জানান, “গতবারও কাঠা প্রতি আলুর ফলন হয়েছিল সাত প্যাকেট। এবার দেরি করে চাষ করেছি। আলু তোলার সময় এখনও কিছুদিন বাকি। কিন্তু বাজার ধরতে তড়িঘড়ি আমরা আলু তুলে দিচ্ছি। তাতে গড়ে চার প্যাকেট ফলন হচ্ছে।”  তবে হিমঘর মালিকরা জানান, পাকা আলু না আনলে অসুবিধা। এবছর আলু পাকতে কিছুটা সময় এখনও বাকি। তাই কৃষকদের নিয়ে আসা আলু এখনই হিমঘরে ঢোকাচ্ছি না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement