Advertisement
Advertisement

Breaking News

সেচের জল

বৃষ্টি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, চাষের জন্য এখনই কৃষিজমিতে সেচের জল ছাড়ছে না DVC

বুধবার এ নিয়ে ৫ জেলার সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

DVC will not release water for irrigation before July 30, decision taken at a meeting
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 16, 2020 12:26 pm
  • Updated:July 16, 2020 12:34 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: এবছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। তাই এখনই খরিফ শস্য চাষের জন্য সেচের জল ছাড়ার প্রয়োজন নেই। ৩০ জুলাই নাগাদ এই জল ছাড়া হতে পারে। বুধবার বর্ধমানের বিডিএ সভাকক্ষে পাঁচ জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিভিশনাল কমিশনার গোলাম আলি আনসারির নেতৃত্বে এদিন বৈঠক হয়। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়া জেলার প্রতিনিধিরা ছিলেন। তাঁরা সকলেই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে খবর। তবে ৩০ জুলাই সেচের জল ক্যানালে ছাড়া হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ২৫ তারিখ ফের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।

Irrigation-meet
৫ জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক DVC’র। ছবি: মুুকুলেসুর রহমান।

এবছর বর্ষার মরশুমে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে জেলায়। ফলে এখনই ক্যানেল সেচের জলের প্রয়োজন নেই বলে বৈঠকে মত প্রকাশ করেছেন কৃষি ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রতি বছরই খরিফ মরশুমে ডিভিসি ক্যানালে সেচের জল ছাড়া হয়। মূলত মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম থেকে সেচের জল দেওয়া হয় হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া – এই পাঁচ জেলার জন্য। জলাধারগুলিতে কত পরিমাণ জল রয়েছে, সেচের জলের প্রয়োজনীয়তা কতটা রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে ক্যানালে জল দিয়ে থাকে ডিভিসি (DVC)। এবারও সেই জল কবে থেকে ছাড়া হবে সেই বিষয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন ডিভিশনাল কমিশনার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাগরদিঘির কৃষি ফার্মে পরিচর্যার অভাবে মরছে আপেল গাছ! ক্ষোভপ্রকাশ কৃষকের]

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল জানান, প্রাথমিকভাবে ৩০ জুলাই থেকে সেচের জল ছাড়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত নয়। ২৫ জুলাই ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে এই বিষয়ে। এ দিনের বৈঠকে কৃষি ও সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই মরশুমে স্বাভাবিকের প্রায় দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেচের জলের প্রয়োজন এই মুহূর্তে নেই। বরং জল ছাড়লে তা অতিরিক্ত হয়ে যাবে। জল অপচয়ও হবে। তাই আরও কয়েকটা দিন দেখে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে অনেক মত প্রকাশ করেছেন।

[আরও পড়ুন: লক্ষ্য আর্থিক উন্নতি, কোচবিহারে ফল উৎপাদন বাড়াতে মরিয়া উদ্যানপালন বিভাগ]

বুধবারের বৈঠকে পূর্ব বর্ধমানের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ, জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, সেচ দপ্তরের আধিকারিক ভাস্করসূর্য মণ্ডল ছিলেন। এছাড়া বাঁকুড়া ও হুগলি জেলার সভাধিপতি, অন্যান্য জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ, উপ-কৃষি অধিকর্তা, সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement