অরূপ বসাক, মালবাজার: একে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। তার উপর আবার ধসা রোগ। সাঁড়াশি আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে বেগুন চাষ। বিঘার পর বিঘা জমিতে চাষ করা বেগুন পচে যাচ্ছে। মাথায় হাত মালবাজারের গজলডোবার ১০ এবং ১২ নম্বর এলাকার কৃষকদের। কীভাবে মহাজনদের ঋণ শোধ করবেন, তা ভেবেই হতাশ কৃষকরা।
প্রতি বছর গজলডোবার কৃষকেরা বেগুন চাষ করেন। কারণ এই এলাকাটি তিস্তা নদীর চরে অবস্থিত হওয়ায় সব ধরনের ফসলের পাশাপাশি বেগুন চাষও হয় খুবই ভাল। বেগুন চাষ করে প্রতি বছরই লাভবান হন স্থানীয় কৃষকেরা। তবে এবার এক্কেবারে উলটপুরাণ। চলতি বছর বেগুন চাষ করে এতটুকু লাভের মুখ দেখতে পাননি কৃষকরা।
সুনীল দাস, স্বপন বর্মনের মতো কৃষকরা বলেন, “এবছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে বেগুন লাগিয়েছিলাম। কিন্তু সেই বেগুনে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বেগুনে পোকা ধরে গিয়েছে। চড়া হারে সুদ নিয়ে চাষ করেও লাভ কিছুই হল না। কীভাবে ধার শোধ করব, তা বুঝতে পারছি না।” বেশ কয়েকজন কলেজ পড়ুয়াও এবার বেগুন চাষ করেছিলেন। তাঁদের অবস্থাও প্রায় একইরকম। ছাত্রদের বক্তব্য, “এই এলাকায় আমাদের মতো প্রায় এক-দেড় হাজার কৃষক বেগুন চাষ করেছিলেন। বেগুন পরিণত অবস্থায় দেখা গেল পচে গিয়েছে। পোকা ধরে গিয়েছে। তাছাড়া এবছর উৎপাদনও কম হয়েছে। কয়েকশো বিঘা জমির বেগুন নষ্ট হয়ে গিয়েছে।”
কিন্তু কেন এভাবে নষ্ট হয়ে গেল বেগুন? যদিও এর নেপথ্যে দুটি কারণকেই দায়ী করছেন কৃষকরা। প্রথমত, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেগুন চাষে ক্ষতি হয়েছে। আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে ধসা রোগ। জোড়া আক্রমণে বেগুন চাষে এমন ক্ষতি।
এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। সরকারি সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মধুমিতা ঘোষ বলেন, “এখনও পর্যন্ত কৃষকেরা গ্রাম পঞ্চায়েতে কিছু জানাননি। তবে আমরা এলাকা ঘুরে দেখব। কৃষকেরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায়, সে বিষয়ে উপর মহলে জানাবো।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.