সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ সমস্ত যান চলাচল। আর তাতেই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পানচাষিরা। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপ-সহ মগরাহাট ১ নম্বর ব্লকের শেরপুর এলাকার পানচাষিদের মাথায় হাত।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপ এবং মগরাহাট ১ নং ব্লকের শেরপুর এলাকায় এক বিরাট অংশের মানুষের জীবিকা পানচাষ। বিশেষ করে সাগরদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমার ৭৫ শতাংশ মানুষ পান চাষের উপর নির্ভরশীল। লকডাউন চলায় এই ক’দিনেই ওই পানচাষিরা প্রাণান্তকর অবস্থা। মাত্র কয়েকদিনে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন তাঁরা। আগামী দিনগুলিতে কীভাবে সংসার চালাবেন তা ভেবেই আতঙ্কিত তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত সাগরদ্বীপের পানচাষি প্রবীর মণ্ডল বলেন, “গঙ্গাসাগর এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পান চাষের উপর নির্ভরশীল। প্রচুর ফলন হলেও লকডাউনের কারণে জলপথ ও স্থলপথ পুরোপুরি বন্ধ। তাই চাষের ফসল বাজারজাত করতে পারছি না। বরোজেই পচে নষ্ট হচ্ছে পানের পাতা।”
পানচাষিদের কেউ কেউ জানান, সাগরদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমা এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে মিঠে পাতা ও বাংলা পান পাতার চাষ হয়। সেই পাতা রাজ্যের বিভিন্ন পাইকারি বাজার ছাড়াও দিল্লি, মুম্বই এমনকি বাংলাদেশেও রপ্তানি করা হয়। লক্ষ-কোটি টাকার ব্যবসা চলে তাঁদের। কিন্তু দেশজুড়ে চলা লকডাউনের জেরে বন্ধ গাড়ি চলাচল। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া আর কিছুই বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে না। বন্ধ পানের পাইকারি বাজারগুলিও। তার ফলে মন্দা চলছে।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে কীভাবে তাঁদের সংসার চলবে তা ভেবেই আতঙ্কিত ওই পানচাষিরা। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই পথে বসতে হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.