রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: থাইল্যান্ডের ফল চাষ করেই বিপুল লাভ পাচ্ছেন বাংলার কৃষকরা৷ ক্যানসার প্রতিরোধক ‘ড্রাগন ফ্রুট’ ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে কালনার মাটিতেই। দেড়বছর আগেই পরীক্ষামূলকভাবে এই চাষ শুরু করেছিল উদ্যানপালন দপ্তর৷ সামান্য পরিশ্রমে মিলেছে সাফল্য। শুরু হয়েছে ফলনও। অতিরিক্ত অর্থলাভ হওয়ায় খুশির হাওয়া কৃষকমহলে৷
‘ড্রাগন ফ্রুট’ মূলত থাইল্যান্ডের ফল। মধ্য আমেরিকার মাটিতেই বেশি জন্মায় এই ফল। থাইল্যান্ডের বাণিজ্যিক আয়ের অধিকাংশই নির্ভর করে এই ফলের উপর৷ খেতে যথেষ্টই সুস্বাদু৷ ভিটামিন সি ও নানা উপকারি উপাদান থাকায় এই ফলের স্বাস্থ্যগুণও যথেষ্ট৷ চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে ড্রাগন ফ্রুট৷ বাজারে এই ফলের চাহিদাও প্রচুর।
উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কম খরচে অতিরিক্ত লাভের জন্য ড্রাগন ফ্রুটের কোনও বিকল্প নেই৷ তবে ভারতবর্ষে এই ফলের চাষ বিশেষ হয় না। মূলত বাইরে থেকেই আমদানি করা হয়৷ ফলে অনেক সময়ই জোগান দেওয়া সম্ভব হয় না৷ তাই কালনা উদ্যান পালন দপ্তরের উদ্যোগেই এই ক্যাকটাস জাতীয় ফসল চাষ শুরু হয়৷ কালনার দু’নম্বর ব্লকের পনেরোজন কৃষককে বিনামূল্যে চারা দেওয়া হয়েছিল৷ ড্রাগন ফ্রুট চাষের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্যও করা হয় কৃষকদের৷ বছরদেড়েক আগে শুরু হয় চাষ৷ মাসখানেক আগে গাছে গাছে দেখা দেয় ফল৷
কালনার পূর্ব সাতগাছিয়ার সতপটি মাঠের পাড়ার বাসিন্দা রহমতউল্লা শেখও ড্রাগন ফ্রুট চাষ করেন৷ তিনি বলেন,‘‘প্রথমবার ড্রাগন ফ্রুট চাষ করতে গিয়ে ভয় লেগেছিল৷ আদৌ লাভ হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম৷ গাছ বসানোর বছরখানেকের মধ্যেই গোলাপি এবং সাদা রঙের ফলে ভরে যায় গাছ৷ তা দেখে আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়৷’’ ৩০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হয় ড্রাগন ফ্রুট৷ কলকাতার মতো বর্ধমানের বাজারেও এই ফলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে৷ তাই কলকাতায় আমদানি করেও যেমন অর্থের মুখ দেখছেন কৃষকরা৷ তেমনই বর্ধমানের ব্যবসায়ীদের কাছেও ড্রাগন ফ্রুট বিক্রি করতে পারছেন তাঁরা৷ বিপুল অর্থলাভ হওয়ায় যথেষ্ট খুশি হয়েছেন কালনার কৃষকরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.