Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিলুপ্তপ্রায় কই মাছ চাষে বিপুল সাফল্য হলদিয়ায়

চার মাসে ১০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধিতে খুশি মৎস্য চাষিরা।

Cultivation of this rare fish making Haldia fisherman's laugh

ছবি: রঞ্জন মাইতি।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:October 22, 2018 3:31 pm
  • Updated:October 22, 2018 3:33 pm  

রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: যাকে বলে হাতেনাতে সাফল্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিলুপ্তপ্রায় কই মাছের চাষের দুটি প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি হয় হলদিয়া ব্লকে। আর তার সাফল্যেই মৎস্যচাষে নয়া দিগন্ত দেখছে দপ্তর। চার মাসেই ১-১.৫ গ্রাম ওজনের কই মাছের চারা এখন ১০০ গ্রামের উপরে ওজন দাঁড়িয়েছে। কই মাছ চাষের সাফল্য এসেছে বাড়ঘাসিপুর গ্রামের মাছ চাষি পবিত্র মুখোপাধ্যায় ও বাড়বাজিৎপুর গ্রামের তিন যুবকের (সুকদেব দাস,  শংরদাস ও অরুন কুমার দাস) যৌথ মৎস্য খামারে। বাড়বাজিৎপুর গ্রামের এই তিন যুবক কোনও চাকরির পিছনে না ছুটে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের (এমজিএন রেগা)  মাধ্যমে তৈরি নতুন পুকুর লিজ নেন। সেখানেই বাণিজ্যিকভাবে বিলুপ্তপ্রায় কই মাছ চাষ শুরু করেন। তাতেই এসেছে সাফল্য। এজন্য মাছ চাষিরা জেলার মৎস্য বিভাগ থেকে রীতিমতো প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।

মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা প্রায়শই এই চাষ প্রকল্পে এসে মাছের ওজন নিয়ে  বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়েছেন। হলদিয়া ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু ফিশারি ফার্মগুলি পরিদর্শন করেন। তিনি জানান,  কই মাছের চাষ সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণের বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে মৎস্য দপ্তর। পুকুর,  ডোবা অথবা ছোট জলাশয়ে কই মাছ চাষ অনায়াসেই করা যায়। সরকারি প্রদর্শনীর মাধ্যমে হাতে কলমে কই মাছের বাণিজ্যিক চাষ করে দেখানো হল। এর নেপথ্যে একটাই কারণ, এই দেখে জেলার অন্যান্য চাষিরা উৎসাহিত হয়ে বিলুপ্তপ্রায় কই মাছ চাষে এগিয়ে আসেন। এলাকার মাছ চাষিদের দাবি,  প্রযুক্তিগত কলা কৌশল সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণসহ এবং পরামর্শ দিচ্ছে মৎস্য দপ্তর। এর ফলে ব্যাপক হারে মাছচাষের সম্প্রসারণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

[স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছে লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলছে রঙিন মাছ]

কিন্তু লাভের অংশ?   এক একর জলাশয়ে ৬০,০০০ পোনা ছাড়লে ৬০,০০০ পোনা পাওয়া যাবে না। ধরে নিন ১৫-২০ % পোনা মরে যায়। তাহলে ৬০,০০০ পোনা ছাড়লে ৫০,০০০ কই মাছ পাওয়া যাবে। চার মাস পরে প্রতিটি কই মাছের ওজন হবে ১৫০-২০০ গ্রাম। কম করে ধরে , ৫০,০০০ হাজার মাছের মোট ওজন হবে (৫০,০০০×১৫০)= ৭৫০০ কেজি। বর্তমান সময়ে প্রতি কেজি কই মাছের বাজার দর ২০০-২৫০ টাকা। তবে,  পাইকারি বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা করে (৭৫০০×১৫০)= ১১,২৫,০০০ টাকা। নিট আয় =(১১,২৫,০০০-৭,৬৯,৭০০)= ৩,৫৫,৩০০ টাকা।

ছবি: রঞ্জন মাইতি

[আয় বাড়াতে পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিতে মাছ ছড়াল মৎস্য দপ্তর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement