স্টাফ রিপোর্টার: টানা বৃষ্টির জেরে সবজির দাম এমনিই বেড়েছে। তবে বাজারে এখন সব থেকে বেশি ঝাল ধরাচ্ছে কাঁচা লঙ্কা। বাজারভেদে কোথাও কোথাও তার দাম ডবল সেঞ্চুরির পথে। দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারেও।
প্রতি বছরই জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কাঁচালঙ্কার দাম ঊর্ধ্বমুখীই থাকে। বর্ষার সময় এবং গরমে বাংলায় লঙ্কার উৎপাদন কমে যায়। নির্ভর করতে হয় উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের লঙ্কার উপর। সেই নির্ভরতা এবছর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কারণ, যশ এবং তার পরবর্তী টানা বৃষ্টি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, ভাঙড়, ক্যানিং, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে লঙ্কার জমির অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সাধারণত দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ থেকে প্রচুর লঙ্কা আসে কলকাতার বাজারে। হলদিবাড়ি থেকেও আসে লঙ্কা। এবারে টানা বৃষ্টিতে লঙ্কাচাষ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সমস্ত কারণের জন্যই চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় লঙ্কার দাম বেড়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের লঙ্কার উৎপাদন মূলত অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময় বেশিরভাগ আচারের জন্য বড় লঙ্কা, বাংলার লঙ্কা বাইরে রপ্তানি হয়। আবার জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিবছরই ভিনরাজ্য থেকে ৫০ শতাংশ লঙ্কা আমদানি করতে হয়। তাই দাম বাড়ে। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যেও এবার আকাশছোঁয়া দাম।
পাইকারি থেকে খুচরো বাজারে লঙ্কার দামের পার্থক্য বরাবরই থাকে। কারণ খুচরো লঙ্কা ২৫/৫০/১০০ গ্রাম বিক্রি বেশি হয়। পাইকারি বাজার থেকে খুচরো বাজারে বিক্রির মধ্যে লঙ্কা শুকিয়ে ওজন কমে যায়। তাই দাম বাড়ে। এর ফলে পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারের লঙ্কার দামের তারতম্য বরাবরই থাকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ভাণ্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল দে বললেন, “বৃষ্টিতে লঙ্কাচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারেও। তবে খুচরো বাজারে দাম আরও বাড়ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.