Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bankura

রবি শস্যের ফলন এবার বাংলাতেও, বাঁকুড়ার একাধিক ব্লকে চাষের উদ্যোগ

২০২৩ সাল 'আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ' উপলক্ষে এই উদ্যোগ।

Bankura distrcict agriculture department takes initiative to produce millet in Bengal | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 23, 2023 9:23 pm
  • Updated:March 24, 2023 8:31 am  

টিটুন মল্লিক,বাঁকুড়া: ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্ষুদ্র কৃষকদের এই রবি শস্য চাষে উৎসাহ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narandra Modi)। সেই নির্দেশ মেনে এবার বাঁকুড়ায় ৫০০ একর জমিতে জোয়ার , বাজরা-সহ জাতীয় শস্য চাষ করা হবে। এমনই জানিয়েছেন বাঁকুড়া (Bankura) জেলা কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর রায়। তিনি বলেন,”চলতি বছর প্রথম এই জেলায় জোয়ার, বাজরার মতো পুষ্টিগুণে ভরা মিলেট জাতীয় শস্য চাষ করবেন জেলার কৃষকরা।”

প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশে বাজরার চাষ হয়ে আসছে। তবে বাংলায় মিলেট (Millet) জাতীয় ফসলের চাষ তেমন হয় না বলে জানাচ্ছে কৃষি দপ্তর। কারণ, স্থানীয় মানুষজনের জাছে মিলেট জাতীয় শস্যের চাহিদা তেমন নেই। তাই বাঁকুড়া জেলা-সহ এ রাজ্যের অন্যান্য কৃষি সমৃদ্ধ জেলাতেও জোয়ার, বাজরার মতো মিলেট জাতীয় ফসলের চাষ হয় না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী মন্দার মাঝেই আশার আলো, চলতি বছরে ভারতীয়দের বেতন বাড়তে পারে ১০.২ শতাংশ]

সরকারি সহায়তায় এরাজ্য বাদে দেশের অন্যান্য রাজ্যে মিলেট জাতীয় শস্যের উৎপাদন বেড়েছে গত কয়েক বছরে। কিন্তু এ রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে এই চাষে তেমন কোনও উৎসাহ দেখা যায়নি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫-১৬ সালে প্রতি টন ১৪.৫২ শতাংশ থেকে ২০২০-২১ সালে কর বেড়েছে টন প্রতি ১৭.৯৬ শতাংশ। ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে উৎপাদন প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এদেশে। দেশজুড়ে কৃষকদের মধ্যে এই মিলেট জাতীয় শস্য চাষে আগ্রহ দেখে এ রাজ্যেও কৃষকদের মধ্যে এই শস্য চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি দপ্তর (Agriculture department)।

[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপসের ‘এজেন্ট’ মৌসুমী কয়াল, বিস্ফোরক কুন্তল]

সেই কারণে রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো বাঁকুড়া জেলাতেও চলতি বছর থেকে কৃষকদের দিয়ে এই মিলেট জাতীয় শস্য চাষ করানো হবে বলে জানাচ্ছেন দীপঙ্করবাবু। কিন্তু এই চাষ হবে কোথায়। কৃষি বিশেষজ্ঞদের সাফ বক্তব্য, এই শস্য চাষের জন্য খুব কম পরিমান জলের প্রয়োজন। সেই কারনেই বাঁকুড়ার রুখাশুখা ব্লকগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছে শালতোড়া, হীড়বাঁধ এবং জঙ্গলমহলের রানিবাঁধ এবং বাঁকুড়া ২ এবং ছাতনার মতো ব্লকগুলি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement