Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলা চাষেই লক্ষ্মীলাভ খনি এলাকার বাসিন্দাদের

আসানসোলের সালানপুরে মিলছে সাফল্য৷

Banana cultivation in Asansol
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 3, 2018 5:53 pm
  • Updated:December 3, 2018 5:53 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কলা চাষে বিকল্প আয়ের পথ দেখছেন খনি এলাকার বাসিন্দারা। পর্যাপ্ত রোদযুক্ত ও জল নিকাশের সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। উর্বর দো-আঁশ মাটি কলা চাষের জন্য উত্তম। খনি এলাকায় সমস্ত সুূবিধা রয়েছে। তাই বারাবনি-সালানপুর-রানিগঞ্জের মতো খনি এলাকার মাটিতে এবার কলা চাষের উপর জোর দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

[দেশি প্রজাতির বিকল্প ধানচাষে সাফল্য নারায়ণগড়ে]

খনি অঞ্চলে আয়ের অন্যতম উৎস কয়লা হলেও ধীরে ধীরে এই ছবি বদলের চেষ্টা চলছে সালানপুর, বারাবনি, রানিগঞ্জের একটি বড় এলাকায়। বিশেষ করে সালানপুরে চাষের উপর ভিত্তি করে ব্লকের দু’নম্বর ক্যাম্প, খুদিকা, মেলেকোলা, কল্লা, বৃন্দাবনী, আল্লাডি ক্রমশ কৃষিনির্ভর হয়ে উঠছে। কল্লা গ্রামের কৃষক হরিপদ ঘরামি তিনি বলেন, “নিজের দুই ছেলে অনিমেষ ও অতনুকে নিয়ে তিনি কলার চাষ করিয়ে সাফল্য পেয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “সালানপুরের ব্লক কৃষি আধিকারিক চন্দন কোনার তাঁর দপ্তর থেকে ৯০টি সিঙ্গাপুরি কলার চারা দিয়েছেন। কীভাবে কলা চাষ করতে হবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। সালানপুরের মতো জায়গার শুকনো মাটিতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সেই কলাগাছে এখন বড় বড় কাঁদি দেখা দিয়েছে।”

Advertisement

[টিস্যু কালচারে কলা চাষে সাফল্য, ব্যাপক আয় কৃষকদের]

ব্লক কৃষি আধিকারিক চন্দন কোনার বলেন, “হরিপদ ঘরামি সালানপুর ব্লকে উদাহরণ। তাঁর সাফল্যে অন্য কৃষকেরাও উৎসাহিত হচ্ছেন।” ব্লক কৃষি আধিকারিক জানান, সালানপুর ব্লকে ১ হাজার ৩৮৫ জন কৃষক সেচ ছাড়াই চাষ করে নজির সৃষ্টি করেছেন। সরকার এইসব কৃষকদের পাশে থাকবে। জানা গিয়েছে, হরিপদবাবু কৃষিরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন। শুধু কল্লাতে নয়, এমন কলাবাগান তৈরি হচ্ছে আল্লাডিতেও। পশ্চিম বর্ধমান জেলা কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা সাগর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কৃষকদের কাছে গিয়ে কিষান ক্রেডিট কার্ডের গুরুত্ব বোঝাচ্ছেন জেলার কৃষি আধিকারিকরা। গাছের চারা বিলি, রোগনাশক ওষুধ এবং চাষ সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হাতে ধরে বোঝাচ্ছেন তাঁরা। আয়ের বিকল্প পথের খোঁজ চলছে। কৃষি দপ্তরের উৎসাহে কেউ কেউ এগিয়েও আসছেন। ফলও মিলছে ভালো। ‘বারাবনি, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, ফরিদপুরে মুসুর ডালের ভালো চাষ হয়। সালানপুরে অড়হর ডালের উৎপাদনও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement