ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব যাতে কৃষিকাজের উপর না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে এবার অস্ট্রেলীয় প্রযুক্তির সাহায্য নেবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে চলবে কৃষিজাত পণ্যের আদানপ্রদান। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবিষয়ে বৈঠক করেন ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার ফিলিপ গ্রিন-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা। সেখানে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই কৃষিমন্ত্রী এই বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পরিবেশবান্ধব যন্ত্রের ব্যবহার, মহিলা এবং পুরুষ উভয়কেই সমানভাবে কৃষিকাজে যুক্ত করা, দুটি ফসলের মাঝে বিকল্প চাষ, এমন একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া তার ২০ সহযোগী দেশকে সঙ্গে নিয়ে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়নের কাজ করছে। এই প্রকল্পের অধীনে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গঙ্গানদীর দুপারে কৃষিকাজের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বৈঠক শেষে এদিন কৃষিমন্ত্রী জানান, প্রতিনিয়ত আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে কৃষিক্ষেত্রকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তার মোকাবিলায় কী ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য পাওয়া যেতে পারে মূলত তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। হাই কমিশনার ফিলিপস গ্রিন এরাজ্যের উন্নত কৃষিকাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। যে প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে প্রতিটি কৃষককে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সেগুলোরও প্রশংসা করেছেন তিনি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার যে সব কাজ করছে, সেগুলোতেও সাফল্য এসেছে। ফসলের উৎপাদন ৪ থেকে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকদের আয় বেড়েছে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ। সেই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে জ্বালানির ব্যবহার। দূষণের মাত্রাও কমেছে। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের চার জেলায় কাজ করছে। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ান এই সংস্থা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কৃষি উন্নয়নে কাজ করছে। মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে এখন এই কাজ চলছে। শুধু তাই নয়, কৃষিকাজে যুক্ত মহিলাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও এই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.