সিএডিসির অযোধ্যা পাহাড় প্রকল্পে বছরভর আমের ফলন। ছবি: অমিতলাল সিং দেও
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ভরা বর্ষা হোক বা শীত কিংবা এই পুজোর সময়। রুখাশুখা পুরুলিয়ায় ১২ মাসই ফলছে আম। একথায় খানিকটা অবাক লাগলেও একেই সত্যি করেছে সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ বা সিএডিসির অযোধ্যা পাহাড় প্রকল্প।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়তলির বলরামপুরের কুমারীকাননে সিএডিসির (CADC) ফার্মে তাইল্যান্ড থেকে আনা ‘তাইল্যান্ড বারোমাসী’ ও ‘রয়েল স্পেশাল’ নামে দুই প্রজাতির আমে সারা বছরই এই ফলের রসনাতৃপ্তি হচ্ছে। এই প্রজাতির আম গাছের মূল বৈশিষ্ট্য হল, প্রায় সারা বছরই এই গাছগুলিতে ফল ও মুকুল থাকে। সাধারণত গ্রীষ্মে আমের মরশুমে প্রথমে কাঁচা আম তার পর পাকা আম পাওয়া যায়। বা কিছু কিছু প্রজাতির গাছে এক সময় পাকা আম আর বছরের অন্য সময় কাঁচা আম থাকে। এগুলো দোফলা বারোমাসী।
কিন্তু এখানে সম্পূর্ণ উলটো। বছরভর পাকা আমের ফলন হয়। আমের আকৃতিগুলো একটু অন্যরকম। তাইল্যান্ড বারোমাসী লম্বাটে হয়। এর ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম। রয়েল স্পেশালের আকৃতি গোল। ওজন হয় ২৫০ গ্রাম। বছরে তিনবার ফলন হয়ে থাকে এই দুই প্রজাতির আম। ফলে কার্যত সারা বছরই আমের মুকুল থাকে। সিএডিসির অযোধ্যা পাহাড় প্রকল্প আধিকারিক সুশান্ত খাটুয়া বলেন, “তিন বছর হল আমরা এই দুই প্রজাতির আম নিয়ে এসে চাষ শুরু করেছি। ফলন হতে শুরু করেছে। কলম শুরু হয়েছে। বছর দুয়েকের মধ্যে এটা বাজারে আসবে। আমরা এই প্রজাতির আমগুলোকে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ১৫০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দেব।”
সিএডিসি জানিয়েছে, বছর দুয়েকের মধ্যে এই প্রজাতির আম তারা রপ্তানি করতে পারবে। এই এলাকায় যেমন বিক্রি হবে, তেমন কলকাতা ও শহরতলিতে রপ্তানি করা হবে। এই আমের বাজার দর হবে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। সিএডিসিতে এক ফসলি আমেরও চাষ হচ্ছে। এর কাঁচা আম ব্যাপকভাবে বিক্রি হয় অনুষ্ঠান বাড়িতে চাটনির জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.