সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিকল্পক, অভিনেতা, চিত্রকলায় সুনিপুণ। আক্ষরিক অর্থেই শিল্পের সাধক উদয়শঙ্কর। এমন মানুষের জন্মদিন ৮ ডিসেম্বর। ঠিক তার আগেই ৬ ও ৭ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে আয়োজিত হয়েছে উদয়শঙ্কর নৃত্যোৎসব। দুই দিনের এই উৎসবের আয়োজনে ওয়েস্টবেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশন। সহায়তায় ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা শঙ্কর। ছিলেন পার্বতী গুপ্ত, চন্দ্রোদয় ঘোষ, জোনাকি সরকার, প্রদীপ্ত নিয়োগি, অমিত অধিকারীর মতো বিশিষ্টজন। কলকাতার মধুসূদন মঞ্চে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর উদয়শঙ্কর নৃত্যোৎসব চলছে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে।
রাজ্যের মোট ২৪টি নৃত্য সংগঠন এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে। এর আগে দুবার নৃত্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সাফল্যের পরই শান্তিনিকেতনের এই উদ্যোগ এবং সৃজনী শিল্প গ্রামে আয়োজিত হয়েছিল ‘আলমোরা’। উদ্যোক্তা ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশন সহযোগিতায় ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার।
প্রথম দিন পারফর্ম করে মমতা শঙ্কর ডান্স কোম্পানি, ডান্সার্স গিল্ড, আনন্দধারা, শিল্প বিতান, সূচনা-সহ আরও অনেকে। দ্বিতীয় দিন ছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশন, নৃত্য উপাসনা, আনন্দধ্বনি, স্টেপস অ্যান্ড রিদম-সহ একাধিক দলের পারফরম্যান্স। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার নৃত্যসংস্থা এই বর্ণাঢ্য উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে বলেই খবর। আগামী দিনে ফেডারেশনের উদ্যোগ আরো জেলায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা শঙ্কর বলেন, “কলকাতার বাইরেও ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশনের কাজের প্রচার, প্রসার এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কলকাতার বাইরেও অনেক গুণী শিল্পী, নৃত্যসংস্থা আছে যারা সবসময় কলকাতায় এসে তাদের নৃত্য পরিবেশন করতে পারে না, আবার অনেক কলকাতার সংস্থা আছে যারা কলকাতার বাইরে গেলে সেখানকার দর্শক তাদের কাজ দেখার সুযোগ পান। তাই, কলকাতার বাইরেও এই আয়োজনের গুরত্ব অপরিসীম।”
বাবা উদয়শঙ্করের স্মৃতিকথাও সেদিন শোনান মমতা শঙ্কর। তারকা বলেন, “ছেলেবেলায় সাইড উইংসে বসে বাবার নাচ দেখতাম। কোনও গ্রাম্য দৃশ্য থাকলে আমায় কোলে নিয়ে মঞ্চে একপাক ঘুরে নিতেন। অভিনয়টা বাবার থেকেই পেয়েছি। ছোটোবেলায় কোনও কিছু ভালো না লেগে কিছু বললে বাবা বলতেন এই কথাটা কতরকম ভাবে বলতে পারো বলো। ওটা ছিল একটা এক্সারসাইজ। আমি খুব পুণ্য করেছিলাম গত জন্মে যে এরকম বাবা-মাকে পেয়েছিলাম।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.