পুরনো ঝাঁজ আগের মতোই। নীলাঞ্জনাও রয়েছে কলকাতায়, তবে সে শতাব্দী রায় নয়। দীর্ঘ পঁচিশ বছরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নচিকেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ আড্ডায় গৌতম ভট্টাচার্য৷
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা দেখে কী মনে হল?
হ্যাঁ দেখলাম। ঠিকই আছে।
ঠিকই আছে মানে? মনে হল না আমার নামটা থাকলে ভাল হত?
না মনে হয়নি। আমাকে অনেকবার বলেছিল দাঁড়াতে। এবারও অফার ছিল। টোটাল বোধহয় ছ’বার হবে।
দাঁড়ালেন না কেন?
রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না বলে। আমি রাজনীতির পক্ষে বড্ড বেশি বদরাগী।
তাহলে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে যান কেন?
ওটা যাই মমতাদির সঙ্গে অন্য রকম সম্পর্ক আছে বলে। আর একটা কথা বলি। ‘আপনি’ বলাটা বন্ধ করো। আমাদের বন্ধুত্ব পঁচিশ বছরেরও বেশি।
ওকে। সবাই লোকসভায় চলে যাচ্ছে দেখলে সত্যি কোনও লোভ হয় না?
হয় না, কারণ আমি ফুল টাইম সিংগার থাকতে চাই। রাজনীতিতে গেলে পার্ট টাইম সিংগার হয়ে যেতে হবে।
পঁচিশ-ছাব্বিশ বছর আগে যে দামাল ছেলেটা জীবনমুখী গান নিয়ে বিপ্লব করবে ভেবেছিল, তাকে মনে পড়ে?
অবশ্যই পড়ে।
সেই বিপ্লবের পরিণতি কী হল?
পরিণতি কিছুটা সফল। কিছুটা নয়। গান পৌঁছেছে অনেক বেশি মানুষের কাছে। সে বিপ্লব অনেক কিছু দিয়েছে। আবার সেই বিপ্লব এই বাস্তবেরও আজ মুখোমুখি হয়েছে যে, গান গেয়ে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়। আসলে চারপাশের মানুষ অনেক বদলে গেছে। ‘বৃদ্ধাশ্রম’ লেখা তাহলে ব্যর্থ বলছ যে, ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী আর অ্যালসেশিয়ান, বাবার জন্য আমার জায়গা বড়ই কম। এটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। তুমি জানো কি না জানি না, ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটা সেই নব্বই দশকে গাওয়া। আমি শুনেছি অনেকে এর পর অনুতপ্ত হয়ে বৃদ্ধাশ্রম থেকে তাদের বাবা-মাকে ফেরত নিয়ে গেছে।
কিন্তু অনেকে তো আজও পাঠাচ্ছে।
পাঠাচ্ছে তো। সে জন্যই তো বললাম কিছু সফল, কিছু সফল নয়।
একটু পিছিয়ে যাচ্ছি ১৯৯৩-তে। তোমরা চার বন্ধু মিলে একসঙ্গে নেমেছিলে। মঞ্চে গান গাইত নচিকেতা। কিন্তু নেপথ্যে ছিল আরও তিন জন। তারা আজ কোথায়?
(কিছুটা চুপ) তারা একে একে যে যার জায়গায় চলে গেছে। জয় তো মারাই গেল। প্রদীপ ছিল। ঋত্বিক ছিল।
চার বন্ধু এত ইমোশনাল কানেক্ট। অপরিসীম স্ট্রাগল থেকে উঠে দাঁড়ানো। তাহলে এই বন্ধুত্ব নিয়ে কোনও গান লেখোনি কেন?
লেখা হয়নি। কোনওদিন নিশ্চয়ই লিখব।
একটা সময় শোনা যেত তুমি ভাড়া করা কিছু ছেলে নিয়ে প্রোগ্রাম করতে। দু’একটা গান শুরু হতে এরা হলের নানা জায়গায় নাচতে শুরু করত। ইনফ্লুয়েন্স করত গোটা অডিয়েন্সকে।
একদম সত্যি।
বলছ কী? রটনা নয়?
একেবারেই না। তখন আমার ধারণা ছিল বাঙালি শ্রোতা এ ধরনের গানের জন্য অভ্যস্ত হয়নি। তাদের অভ্যস্ত করানোর জন্য একটা ডিজাইনার হাইপের দরকার ছিল। তাই এই ব্যবস্থা করতাম। তবে এরা কেউ ভাড়া করা ছেলে নয়। আশুতোষ কলেজে আমার ফ্যানরা। বিক্রম ছিল। নীলাঞ্জন ছিল। সৌরভ ছিল। ওদের একটা গ্রুপ ছিল। তারাই তোড়টা শুরু করত।
আর যারা মেলোডি-তে যেত, সিমফোনি-তে যেত, জিজ্ঞেস করত নচিকেতার ক্যাসেট পাওয়া যাবে কি না, তারা কারা?
তারা এরাই (হাসি)। আমার তখন একটা আর্টিফিশিয়াল ডিমান্ড তৈরি করার প্রয়োজন ছিল। আমায় সে সময় কেউ চিনত না। জানত না।
তাহলে তো এই স্ট্র্যাটেজিটা খুব এফেক্টিভ হয়েছিল?
দারুণ এফেক্টিভ হয়েছিল। ওই হাইপ ছাড়া হত না।
জীবনমুখী আন্দোলন এক কথায় সফল না ব্যর্থ?
আমার মনে হয় অনেকটাই সফল। বাংলা গানকে তা আধুনিক সময়ে পৌঁছে দিয়েছে। লতা-পাতা-পূর্ণিমা থেকে যে ভাষায় মানুষ কথা বলে, রিঅ্যাক্ট করে, সেই ভাষায় নিয়ে এসেছে।
নীলাঞ্জন শুনে মনে পড়ল তোমার নীলাঞ্জনার কথা। নীলাঞ্জনা কি শতাব্দী রায়?
আরে না না (হাসি)।
সে রকমই জনশ্রুতি আছে।
না না, শতাব্দীকে নিয়ে আমার অন্য গান আছে। নীলাঞ্জনা আরও কেউ।
এত বছর পর নামটা বলছ না কেন?
বলছি না কারণ সে আশপাশে আছে বলে।
সেই প্রেম কি ব্যর্থ?
নিশ্চয়ই ব্যর্থ। আর মনে রেখো, ব্যর্থ প্রেমই ইতিহাস হয়।
কিন্তু তার নাম নীলাঞ্জনা নয়?
না।
সে কি কোনও অভিনেত্রী? না কি হাউসওয়াইফ? কলকাতায় থাকে? না বাইরে?
অভিনেত্রী নয়। কলকাতায় থাকে।
এখনকার নীলাঞ্জনা কে?
বলতেই হবে?
হ্যাঁ, বলো না।
রাজশ্রী।
আচ্ছা, আগে তুমি প্রায়ই বলতে সেই একই গান গেয়ে বড্ড বোর হয়ে যাচ্ছি।
এখনও বোর হচ্ছি। তাই চেষ্টা করি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিজেকে ফেলতে। বই পড়তে। বোরডম কাটানোর জন্য নানা চেষ্টা করতে হয়।
যেমন?
এই যেমন এখন বাণী বসু পড়ছি। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বই পড়ছিলাম ‘শ্রীকৃষ্ণের শেষ ক’টা দিন’। সিডনি শেলডন পড়ি। প্রচুর সিনেমা দেখি।
পঁচিশ বছর পরে নিজেকে মোটিভেট করো কী করে?
নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিজেকে ফেলি। যখন নতুন চ্যালেঞ্জ খুঁজে পাই, নিজেকে চাগাড় দিই। মনে করো অন্য কারও দারুণ গান শুনলাম। বা একটা কবিতা পড়লাম। শ্রীজাত-র একটা কবিতা পড়লাম ‘তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়’। পড়ে ভীষণ ইন্সপায়ার্ড হলাম।
অন্য কোনও শিল্পীর যখন ভাল গান শোনো, তখন ইন্সপায়ারিং লাগে না?
অবশ্যই লাগে। মনে হয় ফের উঠে দাঁড়াই। বোরডম কেটে যায়।
রূপঙ্কর এক সময় তোমার খুব স্নেহাস্পদ ছিল। আমার মনে আছে দিল্লিতে একবার অর্গানাইজাররা রূপঙ্করকে কোনও একটা ফালতু কারণে আটকে রেখেছিল। তুমি নিজের ফাংশন ছেড়ে ওকে বাঁচাতে ছুটে গেছিলে।
মনে আছে তোমার? হ্যাঁ, রূপঙ্কর এখনও আমার স্নেহাস্পদ।
সেই স্নেহাস্পদ যখন ‘এ তুমি কেমন তুমি’ গায়, চ্যালেঞ্জিং লাগে না?
অবশ্যই লাগে। কোনও কোনও সময় হিংসে হয়। রূপঙ্করের দু’একটা কম্পোজিশন আমার দুর্ধর্ষ লেগেছে। রূপম ইসলাম আর একজন। দুর্ধর্ষ একটা কম্পোজিশন করেছে আমার জন্য। ‘তোর চোখ জ্বলে’। সামনের রেকর্ডিংয়ে গাইব ভাবছি।
তুমি লেখো কখন?
সকালে।
সকালে তো ক্যাচরম্যাচর চলে। সাধারণত ক্রিয়েটিভ লোকেরা রাত্তিরে লেখে।
না আমি সকালে লিখি। অ্যাকচুয়ালি অদ্ভুত একটা ব্যাপার হয়। আমার মধ্যে লেখা থাকলে আপনাই ভোরবেলা ঘুম ভেঙে যায়। আর সেটাই লিখিয়ে নেয়।
যে লোকটা পঁচিশ বছর আগে লিখেছিল ‘স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন’, তার আজ এ সব লাইন লেখার ক্ষমতা আছে?
কেন থাকবে না?
তার তো দেখার চোখটাই বদলে গেছে। তার অবস্থান বদলে গেছে।
দেখো এটা লিখেছিলাম অনেক আগে। নব্বইয়ের শুরুতে। তখন সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছিলাম। আশপাশে পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। তখন প্রচণ্ড স্ট্রাগলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। ভীষণ অনিশ্চয়তা। সেটাই লিখিয়ে নিয়েছিল ‘যখন আমার ক্লান্ত চরণ/অবিরত বুকে রক্তক্ষরণ’।
এগজ্যাক্টলি সেটাই বলছি। আজ তো তোমার স্ট্রাগলটাই চলে গেছে। আজকের নচিকেতা সফল লোক। দামি গাড়িতে চড়ে। দামি ফ্ল্যাটে থাকে। সে কী করে লিখবে ‘যখন সময় থমকে দাঁড়ায়’?
কী বলছ গৌতম? আজ স্ট্রাগল বেড়ে গেছে। তখন কিছু ছিল না। কারও কোনও প্রত্যাশা ছিল না। কেউ চিনত না। জানত না। আজ অনেক কিছু আছে। তাই সেটা বাঁচিয়ে রাখার আর্তিও আছে। এটাও কী অমানুষিক লড়াই। প্রতি মুহূর্তে নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই।
নিজের খ্যাতির সঙ্গে যুদ্ধ?
খ্যাতির সঙ্গে যুদ্ধ। সারাক্ষণই কিছু না কিছু করে যেতে হয়। যাতে চলে না যায়, হারিয়ে না যায়।
তাহলে কি তোমার স্বপ্নের সমাধি হয়ে গেছে?
পুরোটা হয়নি। হতাশ মনেও আমি সেই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।
কিন্তু সেই দামাল ছেলেটা কোথায় গেল যে উদাত্ত ভাবে ভাবত? বুক ফুলিয়ে লিখত?
সেই দামাল ছেলেটা আজও আছে। ভেতরে ভেতরে আছে। দরকারে ঠিকই বেরোয়।
তুমি তাহলে এখনও নিজের কাছে প্রতিবাদী নায়ক? কিন্তু প্রতিবাদ কোথায় নচিকেতা?
প্রতিবাদী ঠিকই আছি। জায়গা খুঁজছি নতুন আধারের জন্য। দেশ জুড়ে চারপাশে যা হচ্ছে তাতে প্রতিবাদ না করে থাকা সম্ভব নয়। গানের মধ্যে সেই প্রতিবাদ করে যাচ্ছি।
তুমি তো নিজেই বলছ গান দিয়ে বদলানো যায় না?
যায় না ঠিক। কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।
আবার জিজ্ঞেস করছি, বদলানোর জন্য তো রাজনীতি সেরা মাধ্যম। তোমার কাছে অফারও রয়েছে এত।
আমার দ্বারা এই পরিকাঠামোয় রাজনীতি হবে না। আমি দুমদাম যে কোনও লোককে যে কোনও কিছু বলে দিতে পারি। রাজনীতি করতে গেলে অনেক ডিপ্লোম্যাটিক হতে হয়। আমার মধ্যে সেটা নেই।
সে তো অনেক ফাংশন অর্গানাইজারও তোমাকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকে। আজ এত বছর পরেও লোকে বলে নচিকেতাকে হ্যান্ডল করা মুশকিল।
দ্যাখো আমি যে যেমন, তার সঙ্গে তেমন। তোমাকে এত বছর চিনি। পঁচিশ বছরে কখনও কোনও গন্ডগোল হয়েছে? বহু লোকের কথা আমি বলতে পারি যারা সহজভাবে আমার সঙ্গে মিশেছে। আমিও তাদের সঙ্গে সহজ ভাবে মিশেছি। আমার প্রবলেম হয় লোকে যখন আমাকে সন্দেহের চোখে দেখে। ওই সন্দেহটা আমি সহ্য করতে পারি না।
আর একটা কথা বলি। কিছু মনে কোরো না। মাঝখানে রটে গেল তোমার একটা দুরারোগ্য রোগ হয়েছে।
দুরারোগ্য বলছ কেন? স্ট্রেট বলো না ক্যানসার হয়েছে।
হ্যাঁ সে রকমই রটেছিল। বা রটে রয়েছে।
আমার মনে হয় বাঙালিদের একটা ক্যানসার ফিক্সেশন আছে। ক্যানসারের প্রতি দুর্বলতা আছে। জটিল কোনও কিছু ঘটলেই লোকে সেটা ক্যানসার মনে করে।
কিন্তু তোমার কঠিন রোগ হয়েছিল সেটা তো সত্যি?
আমার বারবার জন্ডিস হচ্ছিল। কিছুতেই সারছিল না। পরীক্ষা করে দেখা যায় কোলনে অপারেশন করতে হবে। কমন বাইল ডাক্ট সরু হয়ে গেছিল। তখন আমি দিল্লি গিয়ে গঙ্গারাম হসপিটালে অপারেশন করাই।
সেটা থেকেই নিশ্চয়ই খবরটা ছড়ায়?
অপারেশনটা কে করেছিলেন একটু খোঁজ নিয়ে দ্যাখো। ওটা করেছিলেন গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট ডক্টর সমীরণ নন্দী। আমার যদি ক্যানসার হত তাহলে অঙ্কোসার্জনকে দিয়ে করাতে হত। কিন্তু এ সব কথা কে শুনছে?
তাহলে রটল কেন?
আমি দু’মাস তার পর প্রোগ্রাম করতে পারিনি। বোধহয় সেটা থেকে হয়েছে। এক-এক সময় কানে আসত লোকে বলছে নচিকেতা কী করে গাইবে? ও তো ভাল করে দাঁড়াতেই পারে না।
এটা তার মানে ক্ষতি হয়েছে?
ক্ষতি তো হয়েছেই।
অসুখের পরে মদ ছেড়েছ?
ছাড়িনি। তবে কমিয়ে দিয়েছি অনেক।
আগে তোমার বাড়ি গিয়ে দেখেছি মাটিতে বসে ভাঁড়ে করে মদ খাওয়া হচ্ছে। আমি ঢোকামাত্র আমার দিকে একটা ভাঁড়ে হুইস্কি এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও চলে মদের আড্ডাটা?
না, এখন অনেক কমে গেছে। কালেভদ্রে। গৌতম, এখন সব বদলে গেছে।
সে কী! অসুখ জীবন বদলে দিয়েছে?
জীবনের নীতিটাই বদলে দিয়েছে। আগে ঘোর নাস্তিক ছিলাম। এখন আস্তিক হয়েছি।
ধর্মে ভক্তি হয়েছে?
ভক্তি ঠিক বলব না। তবে একটা সুপারন্যাচারাল পাওয়ারের প্রতি বিশ্বাস জন্মেছে।
কেন? মৃত্যুভয় হয়েছিল?
অস্বীকার করব না। হয়েছিল। তিন বছর ধরে কলকাতার ডাক্তারদের কাছে ঘুরেছি। কেউ কিছু করতে পারেনি। সারাতে পারেনি। শেষে সেই দিল্লি গিয়ে অপারেশন করিয়ে ঠিক হলাম। তখন মনে হয়েছিল ডাক্তারদের নিয়ে আমার গানটা ঠিকই আছে।
পঁচিশ বছর আগে জীবনমুখী আন্দোলনের শুরুতে তোমার কিন্তু একজন সহযোদ্ধা ছিল।
হুঁ।
সেই কবীর সুমনের সঙ্গে নচিকেতার পরবর্তীকালে আমরা লাভ অ্যান্ড হেট রিলেশনশিপ দেখেছি। এখন কোনটা চলছে? লাভ, না হেট?
ঠিক বলতে পারব না। বহুদিন যোগাযোগ নেই।
‘তোমাকে চাই’-কে কি আধুনিক সময়ের সেরা বাংলা গান বলা যায়?
আমি প্রথম দশে অবশ্যই রাখব। দারুণ গান।
দু’জনেরই ভক্ত এমন কেউ যদি মঞ্চে চিৎকার করে বলে, নচিদা ‘তোমাকে চাই’ একটু গান না।
আমার কোনও আপত্তি নেই।
তুমি বা সুমন যখন শুরু করেছিলে, দুটো গোষ্ঠী মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মতো দু’দিকে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এরা ফাংশনে লড়ালড়ি করত। কাগজে আক্রমণাত্মক চিঠি লিখত। এখন যে বস্তুটা আবির্ভূত হয়েছে তার নাম সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে ভক্তদের হাইপ তোলা, বিপক্ষের ট্রোলিং, এগুলো কেমন লাগে?
আমি এগুলো বুঝিও না। আমি ফেস বুঝি। ফেসবুক বুঝি না।
ফেসবুকে নেই তুমি?
না নেই।
ওকে। সুমন আর তুমি মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল-তাহলে সেই যুদ্ধের কী হল? এখন কি ভরপুর শান্তি?
কী আবার হবে। থেকে গেল তো সেই নচিকেতাই।
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.