Advertisement
Advertisement

নির্মল ধরের ‘উর্বশীদের দিনরাত্রি’-র সৌজন্যে ফিরে দেখা সিনে সুন্দরীদের

হলিউড সুন্দরীদের নিয়ে নানা অজানা কথা রয়েছে এই বইয়ে।

Urvashider Dinratri: Nirmal Dhar’s book on Hollywood beauties
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 16, 2019 12:44 pm
  • Updated:January 16, 2019 4:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ পেল সাংবাদিক নির্মল ধরের বই ‘উর্বশীদের দিনরাত্রি’। যে সময় ইন্টারনেট ছিল না, হলিউডি নায়িকাদের জীবন নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল ছিল। কিন্তু তা নিরসনের উপায় সহজ ছিল না। সেইসব দিনে হাতে কলম তুলে নিয়েছিলেন সাংবাদিক নির্মল ধর। তথ্যে ভর করে ফ্যান্টাসি ডানা মেলেছিল তাঁর একের পর এক লেখায়। ‘প্রসাদ’, ‘উল্টোরথ’-এর পাতায় ছাপা হয়েছিল সেই উপন্যাসধর্মী সিনে-কাহিনি। সেরকমই পাঁচ নায়িকার জীবন ও গল্পকথার সংকলন ‘উর্বশীদের দিনরাত্রি’। সাংবাদিকের বইয়ের সেইসব উর্বশীরা হলেন মেরিলিন মনরো, অড্রে হেপবার্ন, এলিজাবেথ টেলর, সোফিয়া লোরেন, আভা গার্ডনার। সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে বইটি।

মঙ্গলবার নন্দনে এই বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একসময় নির্মলদা সিনেমার কী রিভিউ লিখবেন, তা নিয়ে আমরা ভয়ে ভয়ে থাকতাম। নির্মলদার সেই লেখা পড়ে আমরা উপকৃতও হতাম। ভুল-ত্রুটিগুলো আমরা রেক্টিফাই করার চেষ্টা করতাম। পরে আবার নির্মলদা সেটা অ্যাপ্রিসিয়েটও করতেন। এইভাবে সিনেমার অভিনেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নির্মলদার এই বইপ্রকাশ মুহূর্ত তাই সত্যিই আনন্দের। বিশেষত বইয়ের গন্ধ যখন হারিয়ে যাচ্ছে, তখন এরকম কিছু লেখাকে যে বই আকারে প্রকাশ করা গেল, তার জন্য প্রকাশকের সাধুবাদ প্রাপ্য। এই বইয়ের একটা আর্কাইভাল ভ্যালু আছে। আমার আশা এই লেখা সকলের ভালো লাগবে, সকলে বইটি পড়বেন।”

Advertisement

লম্বা সফরে সবাই ব্যস্ত ফোনে! বিরক্ত আশা ভোঁসলে ]

এখানেই থেমে থাকেননি প্রসেনজিৎ। তিনি আরও বলেছেন, এখন তিনি শোনেন কোনও সাংবাদিক ভালমন্দ কিছু লিখলে অভিনেতা অভিনেত্রীরা ফোন ধরেন না। এগুলো একেবারেই সমর্থন করেন না অভিনেতা। এসব আগে ছিল না। পরিস্থিতি এখন এমন হয়ে গিয়েছে যে পারস্পরিক আদানপ্রদানের জায়গাটাই চলে গিয়েছে। যখন এই ঘটনা শোনেন, অবাক লাগে তাঁর। আবার সব দোষ যে শিল্পীদের নয়, তাও বলেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, একটি অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে জিজ্ঞাসা করেন ওই ছবিটি তাঁর কততম ছবি। এমন প্রশ্ন সাংবাদিকদের থেকেও কাম্য নয়।

এ বই একদিকে যেমন নস্ট্যালজিয়া উসকে দেয়, যে কথা জানালেন প্রকাশনার কর্ণধার রোহণ কুদ্দুস, তেমনই সিনে-সাংবাদিকতার ভাষা ও তার বিবর্তন নিয়েও কৌতূহলীদের চাহিদা পূরণ করবে।

‘অসহিষ্ণুতারই বহিঃপ্রকাশ দেখলাম শিলচরে’, শহরে ফিরে বললেন শ্রীজাত ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement