সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিক তার মনের মানুষের জন্য তাজমহল তৈরি করতে পারে। আর কেশব জয়ার জন্য একটা শৌচালয় তৈরি করতে পারবে না! বাস্তব বলবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আসল জীবনের কেশবরা তা তৈরি করে উঠতে পারে না। আর তাই সমাজের সে চিত্র বদলাতে চলচ্চিত্রে হাজির অক্ষয় কুমার ও ভূমি পেড়নিকর। তাঁদের ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’-র ট্রেলার রিলিজ হল ওভালে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের বিরতিতে।
[ কেমন হবে শেফ ঋত্বিকের ‘মাছের ঝোল’-এর রেসিপি? ]
ইউনিসেফের তথ্য বলছে দেশের অধিকাংশ ধর্ষণের মূলেই আছে শৌচালয় না থাকা। বাড়িতে শৌচের সুযোগ না থাকায়, কাকভোরে উঠে মা-বোনেদের হাজিরা দিতে হয় লোটা পার্টিতে। সেখানে হাজারও বিপদ ওঁত পেতে থাকে। ধর্ষণের শিকার হতে হয় মহিলাদের। কিন্তু টনক নড়ে না পুরুষশাসিত সমাজের। সত্যিই তো গেরস্থালির যে মাটি তুলসী ছুঁয়ে থাকে সেখানে শৌচালয় থাকতে পারে কোন হিসেবে? যে দেশে নারী নিয়তই নির্যাতনের শিকার, এমনকী কন্যাজন্মের হারও পড়তির দিকে বিভিন্ন রাজ্যে, সেখানে মেয়েরা এর বিরুদ্ধে আওয়াজই বা তুলবেন কী করে? অগত্যা ওই ভোরের ‘লোটা পার্টিকে’ই দস্তুর মেনে দশকের পর দশক কাটিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় মহিলারা। তবু কেউ কেউ ব্যতিক্রমী হয়ে উঠতে পারেন। যেমন এ ছবির জয়া। কেশবের সঙ্গে প্রেম-পরিণয় যতটা রোম্যান্টিক, ঠিক ততটাই খারাপ এই শৌচের রেওয়াজ, ফলে এই একটা জায়গাতে এসেই তাল কাটল। দাম্পত্যের ললাটলিখন যে শৌচালয়ের দেওয়ালেই লেখা, বুঝল কেশব। অতএব শুরু লড়াই। জয়াও মহিলাদের শেখাল যে, অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। তার জন্য নিজের দাবি নিজেকেই জোর গলায় জানাতে হয়। বাস্তবেও এরকম ব্যতিক্রমী চরিত্রের দেখা মিলেছে। সংবাদের শিরোনামে এসেছেন তাঁরা। বাস্তব থেকে সেই চরিত্রের আদল ছেনে নিয়েই এ ছবিতে জয়াকে তৈরি করেছেন শ্রী নারায়ণ সিং। ফলে কাহিনির নানা অলিগলি বেঁকে শেষমেশ ছবি পৌঁছায় সমাজবদলের বাঁকে। ট্রেলারেই থাকল সেই ইঙ্গিত।
[ বিয়ের আগে সহবাসে কোনও আপত্তি নেই: সায়নী ঘোষ ]
এ ছবির বিষয়বস্তু এরকম যে ট্রেলারকে যেন অনেকটা প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারতের এভিও বলে মনে হয়। আর অক্ষয়-ভূমিকে অ্যাম্বাসাডর মনে হলেও অত্যুক্তি করা হয় না। পরপর বেশ কয়েকটি ছবি করছেন অক্ষয়, যা কাল্পনিক হলেও দেশের সমসময়ের বাস্তবতাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। সে গোপন গোয়েন্দার কাজ হোক কিংবা অতীতের নৌসেনার কোনও ঐতিহাসিক কাহিনি। এ ছবিতেও সামাজিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। তাই স্বচ্ছ ভারত বা শৌচালয় তৈরির মতো বিষয় বেছে নিয়েছেন। কিন্তু সিনেমা তো সমাজসেবক নন। সমাজ বদল করা তার কাজ নয়। তবু ছবির একটি চরিত্র হয়ে ট্রেলারেই অনুপম খের বলেন, ইফ ইউ চেঞ্জ নাথিং, নাথিং উইল চেঞ্জ। এই বার্তাটাই যদি একটা লোটা পার্টি বন্ধ করে তাইবা মন্দ কী। ট্রেলার অন্তত ইঙ্গিত দিল, সে ক্ষমতা আছে এ ছবির।
[ জানেন, কেন শাড়ি পরা ছবির জন্যও ট্রোলড হতে হল রবিনাকে? ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.