Advertisement
Advertisement

এবারের বার্লিনালেতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই প্রতিযোগিতা বিভাগে

১৭ ফেব্রুয়ারি বার্লিনালের ফলপ্রকাশ।

Tough fight in Berlinale 2019
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 11, 2019 4:57 pm
  • Updated:February 11, 2019 4:57 pm  

নির্মল ধর: যে উৎসবে চিনের ওয়াও জিয়াও, পোল্যান্ডের আগানিয়েস্কা হল্যান্ড, নরওয়ের হানস পিটার মোল্যান্ড, ফ্রান্সের ডেনিস কোটে ও ফ্রাঁসোয়া ওজোন, জার্মানির ফতেহ আকিনদের ছবি থাকে প্রতিযোগিতায়, সেখানে গোল্ডেন লায়ন মূর্তিটা হাতে তোলার জন্য প্রতিযোগিতা যে হাড্ডাহাড্ডি হবে – এটা বলাই বাহুল্য। ৬৯তম বার্লিনের চলচ্চিত্র উৎসব এই মুহূর্তে ঠিক সেই পথে। প্রায় অর্ধেক ছবি দেখা হয়েছে। সুতরাং একটু খতিয়ে দেখা যেতেই পারে, কার দিকে পাল্লা ভারি। মজার ঘটনা, এবার ১৭টির মধ্যে ৮টি ছবির পরিচালক মহিলা। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেকই বলা যায়। এই তো গতকালই উৎসবের বিদায়ী পরিচালক জেন্ডার ইক্যুয়ালিটির এক বিবৃতিতে সই করে জানিয়ে দিয়েছেন বার্লিন উৎসবের পরিচালকের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশীদারি তিনি স্থাপন করেছেন। এসব ছবি পরিচালনাতেও জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি আসছে।

প্রথম নাম প্রবীণা অ্যাগানিয়েস্তার। গত তিন,চারটি ছবি থেকেই তিনি রাশিয়ার স্ট্যালিনের কট্টর সমালোচক। এবারের ছবি ‘মিস্টার জোনস’-এও তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে রাশিয়ার শস্যভাণ্ডার ইউক্রেন-সহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রদেশগুলোয় দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ ও কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা দেখালেন। অনেকেই মনে করছেন সাম্প্রতিক সময়ে রুশ-ইউক্রেনের সংঘাতকে উসকে দিতেই এই ছবি। জার্মানির পরিচালক ফতেহ আকিন বিতর্কিত পরিচালক। তাঁর ছবি ‘গোল্ডেন গ্লোভস’ ভয়ংকর ভায়োলেন্সে ভরা এক বিকৃত মস্তিষ্ক সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে। প্রায় কারোরই তেমন পছন্দ হয়নি। তবে প্রধান চরিত্রে মাত্র ২২ বছর বয়সের তরুণ অভিনেতা জোনাস অ্যাডলার ও জুলিয়েট বিনোশে বঙ্গতনয় রাজেন্দ্র রায়-সহ জুরিদের মন জয় করতেই পারে। জার্মান ছবি। তায় ফতেহ আকিন পরিচালক। একবারে খালি হাতে এই ছবি ফিরবে বলে মনে হয় না।

Advertisement

পর্দায় মোদির সহধর্মিনীর ভূমিকায় বাঙালি অভিনেতার স্ত্রী ]

এবছরের দুই আন্ডারডগ ম্যাসিডোনিয়ার টিওনা শুগার মিতেভস্কা, মঙ্গোলিয়ার ওয়াং ফেয়ানন ও তুরস্কের তরুণ এমিন আলপের ছবি ভালোই টক্কর দেবে বলে আশা করা যায়। মঙ্গোলিয়ার ওয়াং আগে ‘টুয়াজ ম্যারেজ’ ছবি দিয়ে কুয়ানান সোনার ভল্লুক জিতেছিলেন। তাঁর ভাবনায় এবং ছবি বানানোর কৌশলে কিন্তু রীতিমতো পুরস্কারের হকদার। আর ম্যাসিডোনিয়ার টিওনা শুগারের ছবি ‘গড এক্সিস্ট: হার নেম ইজ পেত্রুনিয়া’ শহরে নয়, গ্রামে ঘটে যাওয়া একটি অতি তুচ্ছ ঘটনার মধ্যে দিয়ে ওখানকার সামাজিক পরিবেশ, চার্চের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক এবং অতি সাধারণ এক তরুণীর রুখে দাঁড়ানোর মধ্যে সত্যিই যেমন এক সোশ্যাল রিয়্যালিটির মুখোমুখি করে, তেমনই সংবেদনশীল এক মানবিক বোধেও উত্তীর্ণ করে দেয়। এই ছবি নিশ্চয়ই জুরি বোর্ড সরিয়ে রাখতে পারবে না। তবে এখনও ওয়াং জিয়াওসুয়াই ও ইসাবেল কোয়েস্কেটের ছবি দেখা বাকি। দেখা হয়নি এমিন আলপের ছবিও। সুতরাং ১৭ তারিখ পর্যন্ত ফিঙ্গার ক্রসড।

ভারতীয় ছবি তো প্রতিযোগিতা বিভাগেই নেই। একমাত্র সলতে জেনারেশন বিভাগে রিমা দাশের ‘বুলবুল ক্যান সিং’। ওঁর হাবভাবে তো মনে হল, বার্লিনে আসতে পারাটাই যথেষ্ট পুরস্কার।

#MeToo নিয়ে প্রতিবাদ, তনুশ্রীকে ডাকল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement