Advertisement
Advertisement

পোষ্যদের কথা ভেবে এবছর বাজি ফাটাবেন না এঁরা

ভাইফোঁটার প্ল্যানও জানালেন তিন অভিনেত্রী।

Tollywood actresses shun cracker on Diwali
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:November 3, 2018 7:52 pm
  • Updated:November 3, 2018 9:17 pm  

কালী পুজো, দেওয়ালি, ভাইফোঁটা। বাজি পোড়ানো থেকে গৃহসজ্জা। উপহার থেকে খাওয়াদাওয়া। তিন অভিনেত্রী জানালেন তিন উৎসবের প্ল্যানিং। কথা বললেন সোমনাথ লাহা

মিমি চক্রবর্তী

Advertisement

এবারে যদিও শুটিংয়ের ভীষণ টাইট সিডিউল রয়েছে তাও কালীপুজো/দেওয়ালির দিন আমি বাড়িতে থাকব। আমার দুই প্রিয় পোষ্য চিকু ও ম্যাক্সের সঙ্গে সময় কাটাব। কারণ ওরা বাজির শব্দে খুব ভয় পায়। তবে বাড়ি অবশ্যই প্রদীপ আর বিভিন্ন লাইট দিয়ে সাজাব। কাজের যতই চাপ থাকুক না কেন কালীপুজোর দিন সন্ধেবেলাটা আমি বাড়িতেই কাটাব। ঘর সুন্দর করে আলো দিয়ে সাজাব। তবে কাজের চাপ থাকায় রঙ্গোলি আর দেওয়া হয়ে ওঠে না। জলপাইগুড়ি থেকে আত্মীয়-পরিজনেরা এলে ওরাই রঙ্গোলিটা দেয়। কালীপুজোয় আমি শব্দবাজি পোড়ানো একদমই পছন্দ করি না। তবে ফুলঝুরি, রংমশাল এগুলো অবশ্যই পোড়াব। আর এখন তো আকাশ জুড়ে দেওয়ালির দিন ফানুস ওড়ে। পরিবেশবান্ধব, দূষণহীন এই ফানুস ওড়ানো দেখতে ভাল লাগে। তবে এবারে কালীপুজোর দিন বাডিতে যদি বন্ধুবান্ধবরা আসে তাহলে সকলে মিলে জমিয়ে আড্ডা দেব। ইচ্ছে রয়েছে সেরকমই। যদিও কোনও প্ল্যানিং এখনও হয়নি। তবে বন্ধুরা এলে কালীপুজোর সন্ধেয় জমাটি আড্ডা দিতে বেশ লাগবে।

ভাইফোঁটার প্ল্যানিং: আমি প্রতিবছর অরূপদাকে (মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস) ভাইফোঁটা দিই। এবারেও তাই দেব। তবে কী উপহার দেব সেটা বলছি না। ওটা সারপ্রাইজই থাক। তাছাড়া ওই দিন আবার আমার শুটিংও রয়েছে। ভাইফোঁটা দিয়েই সোজা নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ব।

বিয়ের তোড়জোড় শুরু দীপিকার, এ ছবি দেখলেই বুঝবেন ]

প্রিয়াঙ্কা সরকার

এবার আমার বেশ কয়েকটা কালীপুজোর উদ্বোধনে যেতে হবে। তাই পুজোর দু’তিনদিন আগে থেকেই বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ব। তবেই যত ব্যস্ততা থাকুক না কেন আমি আমার কমপ্লেক্সে হওয়া কালীপুজোয় থাকবই। এখনও কালীপুজোয় উপোস করে পুজোটা দিয়ে থাকি। এবারেও দেব।এমন পারস্পরিক ঐতিহ্য মেনে চোদ্দো প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালাই। তবে দেওয়ালির দিন এবারে এলইডি আলো দিয়েও ঘর সাজাব। আমার ছেলে সহজ খুব ছোট এখনও আর বাড়িতে পোষ্য রয়েছে। তাই যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে যায় সেটা মাথায় রেখেই এবার বেশি লাইট দিয়ে ঘর সাজাবো। এবারে পুজোয় বাড়িতে বন্ধুবান্ধবরা আসবে। এবার ঠিক করেছি সকলে মিলে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা বলতে পারো একটা ছোটখাটো ফিস্টের প্ল্যানিং রয়েছে। কিছু রান্নাবান্না করে, কিছু খাবার বাইরে থেকে অর্ডার দিয়ে আনিয়ে সকলে মিলে খাওয়া-দাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কালীপুজোয় আমি শব্দবাজি পোড়াব না। তবে ফুলঝুরি, চরকি, তুবড়ি পোড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে। সহজ বাজি পোড়াতে ভাল না বাসলেও বাজি পোড়ানো দেখতে খুব ভালবাসে। ইচ্ছে আছে ফানুস ওড়ানোর। তিন-চারজন একসঙ্গে মিলে ফানুস ওড়ায়। আকাশ জুড়ে রংবেরংয়ের ফানুস উড়ছে কালীপুজোয়/দেওয়ালিতে দেখতে খুব ভাল লাগে। তাছাড়া এটা একদম ইকো ফ্রেন্ডলি। এবার আমাদের কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে রঙ্গোলি কম্পিটিশান রয়েছে। আমি প্রতিযোগিতায় অংশ না নিলেও সকলকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অবশ্যই থাকব। আমার এই রঙ্গোলি দেওয়া বিষয়টাও খুব ভাল লাগে।

ভাইফোঁটার প্ল্যানিং: আমার ভাইফোঁটার কোনও প্ল্যান নেই, ভাইফোঁটা এলেই আমার মন খারাপ হয়ে যায়। আমার নিজের কোনও ভাই নেই। আর আমার কাজিনরা সকলে কাজের সুবাদে কেউ হায়দরাবাদ, কেউ বেঙ্গালুরুতে থাকে। সেইজন্য কেউই আসতে পারে না। কাজেই ভাইফোঁটার দিনটা আমার নিজের কাজকর্মের মধ্যে দিয়েই কেটে যায় প্রতিবছর। সেই কারণে ভাইফোঁটাটা আমি খুবই মিস করি।

ক্যানসারকে দূরে সরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন সোনালি বেন্দ্রে ]

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

ছোটবেলা থেকেই আমি কালীপুজোয় নির্জলা উপোস দিয়ে পাড়ার কালীমন্দিরে পুজো দিই। এবারেও সেটাই দেব। তবে এবার আমার বেশ কয়েকটা কালীপুজোর উদ্বোধন রয়েছে। এমনকী পুজোর দিনও ইভেন্টস রয়েছে। তা সত্ত্বেও উপোস করেই পুজোটা দেব। আমি বরাবর কাজ ও পরিবার দু’টোকে ব্যাল্যান্স করে চলি। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে পাড়ায় কালীপুজো হয়। আলোকমালায় আমাদের বাড়ি ও চারপাশটা ঝলমল করে ওঠে। দেখতে ভাল লাগে। আমি কালীপুজো ও তার আগের দিন বাড়িতে প্রদীপ/মোমবাতি জ্বালাই। এবারেও সেটা করব। তবে পাশাপাশি এলইডি আলো দিয়েও ঘর সাজাব। ইচ্ছে আছে রঙ্গোলি দেওয়ার। আর সন্ধেবেলা কাজ সেরে ফিরে পুজো দিয়ে কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেব। কারণ ওদের সঙ্গেও সেভাবে কথাবার্তা হয়েও ওঠে না কাজ থাকায়। এবার ইচ্ছে রয়েছে বাড়িতে রঙ্গোলি দেওয়ার। আর কালীপুজোয় শব্দবাজি ফাটানোয় আমি পক্ষপাতী নই। কারণ এতে আমাদের চারপাশে থাকা কুকুর-বিড়ালের মতো অবলা প্রাণীদের অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়। আমি চাইব কেউ যেন শব্দবাজি না ফাটান। তবে এই আলোর উৎসবে আমি তুবড়ি, চরকি, তারাবাজি বা ফুলঝুরি পোড়াই, তবে আমার সবথেকে ভাল লাগে ফানুস ওড়াতে। দূষণহীন এই ফানুসগুলো যখন আকাশে ওড়ে দেখতে ভারি সুন্দর লাগে। আমিও গতবার ফানুস উড়িয়েছি। এবারেও ফানুস ওড়া।

ভাইফোঁটার  প্ল্যানিং: আমার কাজিন ছাড়াও দু’তিনজন ভাই রয়েছে। তাদের আমি প্রতিবছর ফোঁটা দিই। এবারেও দেব। আর ওইদিন আমার মামারাও আমাদের বাড়িতে আসেন ফোঁটা নিতে মায়ের কাছে। জমজমাট আড্ডা-খাওয়া-দাওয়া হয়। বাড়ির পরিবেশটাও অন্যরকম হয়। আমি প্রতিবার ওদের পছন্দটা জেনে নিয়ে সেই মতো গিফট দিই। তবে দেওয়ার থেকেও ফোঁটা দিয়ে গিফট নেওয়ার আনন্দটাই আলাদা। ওইদিনের যাবতীয় রান্নাবান্নার দায়িত্বটা মা-ই সামলান। আমি ফোঁটা দেওয়া প্লেট সাজানো-গোছানো, সকলকে পরিবেশনের দায়িত্বটা পালন করি। তবে, হ্যাঁ, সবকিছু সামলে ওইদিন কাজ থাকলে সেটাও করব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement