পরপর ভিলেনের চরিত্র আর ভাল লাগছে না তাঁর। বললেন বাঙালিরাই বাঙালির সবচেয়ে বড় শত্রু। খোলামেলা আড্ডায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। কথা বললেন সোমনাথ লাহা।
টলিউডের প্রতিভাবান অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সিরিয়াস চরিত্র হোক বা কমেডি, সবেতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন এই অভিনেতা। টলিউডের পাশাপাশি বলিউডে নিজের অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন শাশ্বত। নবারুণ সেন পরিচালিত ‘দ্বিখণ্ডিত’-তে এক মনোরোগী, যিনি ডিআইডি তথা ডিস অ্যাসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিসঅর্ডারের শিকার এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
আমরা সকলেই জানি যে তুমি ছবির চিত্রনাট্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভীষণই খুঁতখুঁতে। ‘দ্বিখণ্ডিত’-র চিত্রনাট্যের মধ্যে কোন বিষয়টা তোমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে? যে কারণে তুমি এই ছবিটায় কাজ করতে রাজি হয়েছ?
শাশ্বত: এই ছবিটা এমন একটা রোগকে ঘিরে যেটার নাম ডিআইডি (ডিস অ্যাসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিসঅর্ডার), সেটা আমার বেশ অদ্ভুত মনে হয়েছিল। একজন মানুষ, যিনি সাহিত্যচর্চা করেন, গল্প লেখেন। অথচ সেই মানুষটাই যখন খবরের কাগজে কোনও হেডলাইন দেখেন, কোনও ঘটনার বিবরণ পড়েন, তিনি তখন তার মধ্যের কোনও চরিত্রে ঢুকে পড়ে সেই চরিত্রের মতো আচরণ শুরু করেন। এমনকী ছবির চিত্রনাট্যে এটাও ছিল যে লোকটি একই সঙ্গে বাবা ও মেয়ে হয়ে বাড়িতে বসে কথোপোকথন করছে। এই বিষয়টাই আমার ভীষণ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল, কারণ একটা ছবিতে বিভিন্ন চরিত্র করার সুযোগ সাধারণত পাওয়া যায় না।
তাহলে তো বলতেই হয় যে কৌশিক চরিত্রটা তোমার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ তুমি তো এর আগে কোনও মনোরোগীর চরিত্রে কখনও অভিনয় করোনি।
শাশ্বত: না। আমি এর আগে এইরকম মনোরোগীর চরিত্র করিনি। কাজেই চরিত্রটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার কাছে।
তুমি কি এই ছবি করার আগে ডিআইডি আক্রান্ত রোগী বা তার বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করেছিলে? সেরকম কোনও সুযোগ পেয়েছ কি?
শাশ্বত: আমাদের এখানে সে সুযোগটা থাকে না, আমরা যে পরিকাঠামোর মধ্যে কাজ করি তাতে আমাদের হাতে সেই সময়টাও থাকে না প্রস্তুতি নেওয়ার মতো। যখন চিত্রনাট্য হাতে আসে বলা হয় যে সামনের মাস থেকেই যদি শুটিংটা শুরু করে দেওয়া যায়। তখন আমি হয়তো অন্য একটা ছবি নিয়ে ব্যস্ত। এই ধরনের প্রস্তুতি হলিউডে সম্ভব। এমনকী বলিউডেও সম্ভব। কারণ তারা বছরে একটা দুটো ছবি করে। আমাদের পক্ষে এই ধরনের প্রস্তুতিপর্বের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সুযোগ সব সময় হয় না।
তার মানে এখানে প্রস্তুতির সুযোগ সেভাবে নেই বলা যায়।
শাশ্বত: আমি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ‘মেঘে ঢাকা তারা’-র আগে। সেই সময় ঋত্বিক ঘটকের বিভিন্ন ছবি দেখেছিলাম; সিনেমাগুলো আরেকবার করে দেখেছিলাম। ওঁকে যে ছবিতে দেখা গিয়েছে সেই ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ বার বার দেখেছিলাম। রামকিঙ্কর বেজকে নিয়ে উনি একটা তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন। সেখানে মাঝে মধে্যই উনি ঢুকে পড়েন। সেইগুলো দেখে আমি ওঁর অ্যাটিটিউড বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। এই ছবিটার জন্য আমি সবচেয়ে বেশি এখনও অবধি খেটেছি। এর বাইরে কোনও ছবির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ সেভাবে পাইনি।
তাহলে কি পুরোটাই পরিচালকের ব্রিফিংয়ের উপর নির্ভর করে…
শাশ্বত: চিত্রনাট্যর উপর নির্ভর করে, চিত্রনাট্য যা চাইছে সেই অনুযায়ী কাজটা করেছি।
‘দ্বিখণ্ডিত’-তে তোমার পার্শ্ব চরিত্রাভিনেতারাও তো গুরুত্বপূর্ণ। অঞ্জনা বসু, সায়নী ঘোষ, কৌশিক কর…
শাশ্বত: (প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই) ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ছবির পার্শ্ব চরিত্রাভিনেতা বলি ঠিকই কিন্তু তাঁরাই হচ্ছেন ছবির অন্যতম মেরুদণ্ড তথা পিলার। এঁরা না থাকলে ছবি দাঁড়াবে না। আজকে সবাই উত্তম-সুচিত্রা জুটির ছবির কথা বলেন। কিন্তু তাঁদের আশপাশে ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ী সান্যাল, কমল মিত্র, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, ছায়া দেবীর মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রত্যেকটি ছবিতে ছিলেন।
তুলসী চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাও তো ছিলেন সেইসময়?
শাশ্বত: তুলসী চক্রবর্তীর কথা ছেড়েই দিলাম। ছোটখাট যে সব চরিত্র করেছেন তাতে ওর থেকে কেউ চোখ সরাতে পারেনি। আর মুখ্য যে চরিত্রগুলো করেছেন সেখানে ওর থেকে কেউ ভাল করতে পারেনি।
[ আরও পড়ুন: শাহরুখকে ‘আঙ্কল’ বলে নেটিজেনদের হাসির খোরাক সারা ]
সেই সময়কার চরিত্রাভিনেতারা…
শাশ্বত: (প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই) আমি বলছি। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, তুলসি চক্রবর্তী, রবি ঘোষ এঁরা তো শুধু কমেডিয়ান ছিলেন না। মুখ্য চরিত্রাভিনেতা হয়ে ছবি করেছেন। সেটা ক’জন মনে রেখেছে। আমার বিশ্বাস সেটা একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। কারণ তাঁরা প্রত্যেকই স্বনামধন্য কৌতুকাভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের মুখ্য চরিত্রে রেখে ছবি তৈরি হয়েছে। ‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘ভানু পেল লটারি’, ‘আশিতে আসিও না’, ‘ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট’, ‘যমালয়ে জীবন্ত ‘মানুষ’-এর মতো ছবিই তার প্রমাণ।
তোমার কি মনে হয় বাংলা ছবিতে চিত্রনাট্যর মান পড়ে গিয়েছে? যাঁরা চিত্রনাট্য লেখেন তাঁরা আর সেভাবে লিখতে পারছেন না?
শাশ্বত: ফরমাইশি লেখার মান সব সময় পড়তে বাধ্য। আমার এতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি যে একটা কাজ আমার করতে ভাল লাগছে না। কিন্তু পয়সা দিচ্ছে। বলছে তুমি করে দাও। সেই কাজ কখনওই ভাল হতে পারে না। যতক্ষণ না আমি যে কাজটা করব সেটা আমি ভালবেসে করি। এটা আমার সৃষ্টি। সেই কাজটার মধ্যে একটা সততা থাকে। কিন্তু যেটা হচ্ছে যে যারা চিত্রনাট্য লিখছেন তারাও চাপে রয়েছেন। যাঁরা পরিচালনা করছেন তাঁরাও চাপে রয়েছেন। তাঁদের বছরে ৩-৪টে ছবি করতে হবে। প্রযোজনা সংস্থা সেভাবেই প্ল্যানিং করেছে। ছবিগুলো সাপ্লাই না দিলে হবে না। কারণ সিনেমা হল আগে থেকে ধরে রাখতে হবে। তাছাড়া চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। এত চাপ থাকলে ছবির সংখ্যা বেশি হলে যা হওয়ার তাই হবে। ছবির মান পড়ে যাবে। আর সেটাই হয়েছে।
তুমি তো বলিউডেও কাজ করেছ। টলিউডের সঙ্গে বলিউডের কাজের তফাতটা ঠিক কোথায় বলে তোমার মনে হয়?
শাশ্বত: কাজের মধ্যে খুব একটা তফাত নেই। বলিউডের ছবির বাজেট অনেক বেশি। কিন্তু সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। বলিউডে লোকসংখ্যা বেশি। আমাদের এখানে ছবির বাজেট কম হওয়ায় লোকসংখ্যাও কম। তবে তাতেও অনেক লোককে নিতে হয়। আমাদের এখানে ট্যালেন্ট অনেক বেশি। আমাদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে, অল্প বাজেটের মধ্যে, খুব কম পরিকাঠামোর মধ্যে একটা ভাল বা কোয়ালিটি প্রোডাক্ট দাঁড় করাতে হয়। এখানে ট্যালেন্ট অনেক বেশি। ওখানে ওরা সুযোগটা বেশি পায়। ওখানে অনেক বেশি ভাবনা-চিন্তা করার সুযোগ রয়েছে। যেটা আমাদের এখানে নেই। এত প্রিপারেশন নেওয়ার সুযোগ নেই। একটা বড় বাজেটের হিন্দি ছবি সাড়ে তিন বছর ধরে করা যায়। সেটা কঠিন ব্যাপার। কারণ কন্টিনিউটি মেনটেন করতে হয়। পরিকাঠামো বা বাজেটের কথা ধরলে আমরা আমাদের এই স্বল্প পরিকাঠামোয়, অল্প বাজেটে অনেক ভাল বা বেশি কাজ করছি, দিচ্ছিও বলতে পারো।
কিন্তু আমাদের এখানে ট্যালেন্ট থাকলেও তার মূল্যায়ন সেভাবে হয় না।
শাশ্বত: আসলে বাঙালির সবচেয়ে বড় শত্রু বাঙালি। আজকে একটা বাংলা ছবি ভাল হলে আরেকজন বাঙালি সেটা দেখে প্রথমেই বলবে যে ওটা একদমই কিছু হয়নি। এটা কেন হবে বলতে পারো। আজকে একজন মা আমার ছেলে/মেয়ে একদম ভাল বাংলা বলতে পারে না বলে গর্ব করেন। এটা কেন? তাঁদের বলতে শুনি আমার ছেলে/মেয়ে সারাক্ষণ ইংরেজিতে কথা বলছে। আমরা আসলে আমাদের ভাষাটাকেই শ্রদ্ধার চোখে দেখি না। তাহলে ভাল জিনিস আশা করছি কী করে?
এগুলি তো কোথাও গিয়ে একটা ধাক্কা দেয়?
শাশ্বত: ধাক্কা তো দেয়ই। কষ্টও হয়। এই যে আমরা আমেরিকাতে বঙ্গ সম্মেলনে যাই এটাই হচ্ছে প্রবাসী বাঙালির শেষ প্রজন্ম। এর পরের প্রজন্ম আর বাংলা ছবি নিয়ে ভাবতে রাজি নয়। আমি তো এই নিয়ে তিনবার আমেরিকা গেলাম, যারা এই অনুষ্ঠান করে তাঁরা উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, অনিল চট্টোপাধ্যায় দেখে বড় হয়েছেন। তারপর তাঁরা কাজের সূত্রে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছেন। তারা বাংলা, বাংলা ছবি নিয়ে আগ্রহী হলেও তাঁদের পরের প্রজন্ম বাংলা ছবি নিয়ে একদমই আগ্রহী নয়।
তাহলে তো বিদেশের বাজারেও বাংলা ছবি…
শাশ্বত: (প্রশ্ন শেষের আগেই) বিদেশে বাংলা ছবির বাজার কমবে। এটা দুঃখের বিষয়। তবে এখনও সুযোগ রয়েছে যদি আমরা তরুণ প্রজন্মকে মোটিভেট করে আনতে পারি। যেটা খেলার জগতে হয়েছে। আমরা পারছি না কেন জানি না।
তুমি কি ক্রিকেট, আইএসএল, আইপিএল-র কথা বলছ?
শাশ্বত: হ্যাঁ। ক্রিকেট ম্যাচ, আইএসএল বা আইপিএলে দু’দলের ক্রিকেটার, ফুটবলাররা যখন মাঠে নামে তখন একজন বাচ্চাকে হাতে করে ধরে নিয়ে মাঠে ঢোকে। কিন্তু আমাদের এখানে কেউ বাচ্চাদের নিয়ে একটা ছবি তৈরি করে অন্তত স্কুলের বাচ্চাদের জন্য একটা শো দেওয়ার কথাও ভেবে দেখি না। বাচ্চারা এসে ছবিটা দেখুক। আনন্দ করুক। সেরকম ছবি করার কথাও কেউ ভাবছেন না। বাচ্চাদের ছবি করে একটা স্কুলের বাচ্চাদের জন্য শো স্পনসর করার কথা এখানে কেউ ভেবেও দেখেন না। মার্কেটিংয়ের দিকটায় আমরা এখনও পিছিয়ে রয়েছি। কোথাও গিয়ে তালগোল পাকিয়ে আছে। অন্যের ছবিকে প্রশংসা করব না মনে করে যদি আমি তার দিকে কাদা ছুঁড়ি তাহলে সেই কাদা কিন্তু একদিন আমার দিকেও ছিটকে আসবে।
তোমার কোন ধরনের চরিত্র করতে বেশি ভাল লাগে? কমেডি নাকি সিরিয়াস?
শাশ্বত: আমার কমেডিটাই বরাবর টানে। আজকাল কেউ কমেডি ছবি দিচ্ছে না। পরপর ভিলেনের চরিত্রের অফার আসছে। ভাল লাগছে না।
[ আরও পড়ুন: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবিতে ফের প্রসেনজিৎ, নজর কাড়ছে ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র পোস্টার ]
তুমি তো ওয়েব সিরিজে কাজও করেছ?
শাশ্বত: ওয়েব সিরিজ হল ভবিষ্যৎ। হলে আমি আমার পছন্দের সময় অনুযায়ী সব সময় ছবি দেখতে পাই না। মাল্টিপ্লেক্সের সময়, টিকিটের যা দাম তাতে বারবার সময় বের করে যাওয়া সম্ভব নয়। সিঙ্গল স্ক্রিন কালচারটাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এই যে প্রিয়া আবার নতুন করে খুলল আমি খুব খুশি। প্রিয়ার একটা বাঙালি দর্শক রয়েছে। টিকিটের দাম অত নয়। আর সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে যে সমস্ত ছবি, পোস্টার, আর যা যা রয়েছে দেখলে নস্ট্যালজিক লাগে। এখন রেনোভেশনের পর আরও অসাধারণ হয়ে উঠেছে।
‘দ্বিখণ্ডিত’ নিয়ে তুমি কতটা অশাবাদী?
শাশ্বত: আশাবাদী বলেই ছবিটা করেছি। সব ছবিতেই আশা রাখি কিন্তু সব আশা পূর্ণ হয় না। আসলে এখন ছবি তৈরি করাটা কঠিন ব্যাপার নয়। ছবি রিলিজ করাটা, মার্কেটিং, হলে ছবি রাখতে পারাটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আজকে তুমি নিজের চেষ্টায় তোমায় একটা জায়গা তৈরি করেছ। কিন্তু কোথায় গিয়ে কি মনে হয় তোমার আজকের এই জায়গাটা তোমার বাবা দেখে যেতে পারলেন না? সেই আক্ষেপটা কি রয়ে গিয়েছে?
শাশ্বত: সেটা রয়েছে, আর থাকবেও। তবে বাবা সবে আমার গ্রোথটা দেখতে শুরু করেছিলেন। অসুস্থ থাকায় উনি ‘চলো লেটস গো’ হলে গিয়ে দেখতে পারেননি। পুরোটা দেখার আগেই উনি চলে গেলেন। কিছু করার নেই। তবে আমি অভিনয়টা যে চালিয়ে যেতে পারছি এটা ভেবে ভাল লাগছে। বাবা যে কাজটা রেখে গিয়েছেন তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম হিসাবে একদমই যে ফেল করে যায়নি এটাই যা আশার কথা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.