সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুটবলে আমি গোল ছাড়া আর কিছুই সেভাবে বুঝি না। তবে এটা জানি যে দু’দলে ১১ জন করে ফুটবল প্লেয়ার খেলে। আমি যেহেতু একেবারে পাড়া কালচারে মানুষ হয়েছি তাই কোথাও গিয়ে ছোটবেলা থেকেই আমি ব্রাজিলের সমর্থক হয়ে গিয়েছি। আমি নিজেও ঠিক জানি না কেন হয়েছি। তবে ওই পরিবেশে বড় হয়ে আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার হয়ে গিয়েছি। আমাদের পাড়াটা যেহেতু বাঙাল পাড়া, সেজন্য আমাদের ওখানে ইস্টবেঙ্গল আর ব্রাজিল সমর্থকদের ছড়াছড়ি। ওই দেখাদেখি আমিও এই দু’টো দলের সমর্থক হয়ে গিয়েছি। সেজন্য ব্রাজিল জিতলে মনটা ভাল লাগে। কেন ভাল লাগে সেটা বলে বোঝাতে পারব না। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ব্রাজিলের প্রতি ওই ভাললাগা, ভালবাসাটা তৈরি হয়ে গিয়েছে।
[ট্রেলারের বদলে আপলোড হল গোটা ছবি, সমস্যায় সোনি]
আর আমার ছোটবেলায় দেখতাম দিদিরা, কাজিন সিস্টাররা মারাদোনাকে খুব পছন্দ করত। আমিও তাই দেখে ওদের মতোই মারাদোনাকে পছন্দ করতাম। এখন সেই জায়গাটা নিয়েছে মেসি। মেসিকে আমার খুবই ভাল লাগে। আমার মনে হয় সব মেয়েরাই মেসির জন্য পাগল। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। তবে এবারে আমরা যখন মুসৌরিতে ‘ব্যোমকেশ গোত্র’র শুটিং করছিলাম তখন ওখানে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখাটা একটা প্রায় পাগলামোর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। রাহুলদা, আবিরদা, ঋষি(অর্জুন) প্রত্যেকেই যাকে বলে খেলা দেখার জন্য পাগল।
[এবার ইভানের শহরে সৃজিতের ‘উমা’, হবে স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং ]
ওদের সঙ্গে বসে খেলা দেখতে দেখতে আমার মধ্যেও ফুটবল নিয়ে উন্মাদনাটা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। একা একা আমি কোনওদিনও খেলা দেখতে পারি না। তাই বাড়িতেও সেভাবে খেলা দেখি না। বাজি ফাটলে বুঝতে পারি আমার প্রিয় দল জিতেছে। তবে মুসৌরিতে একটা ঘরে ১০ থেকে ১২ জন মিলে একসঙ্গে বসে খেলা দেখার মজাটাই আলাদা। নিজের অজান্তে কখন যেন ওই ফুটবল উন্মাদনাটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিলাম বুঝতে পারিনি। বেশ ভাল লেগেছে। ওই অনুভূতিটাই অন্যরকমের। ঠিক বলে বোঝাতে পারব না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.