সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাখির নাম লাভ বার্ডস৷ সেই ভালবাসার পাখি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন মেলানি নামে এক তরুণী৷ কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷ জমাট বাঁধে রহস্য৷ অবশেষে অন্তিমপর্বে নানা অঘটন৷
ছবি– ‘দ্য বার্ডস’৷ পরিচালক অ্যালফ্রেড হিচকক৷ ৫৩ বছর পর পরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সেই ‘মেলানি’৷ স্মৃতিকথায় বললেন পরিচালক তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন৷ আজই মেলানির চরিত্রাভিনেত্রী অভিনেত্রীর আত্মজীবনী ‘টিপ্পি’ প্রকাশিত হচ্ছে৷ এই বইতেই টিপ্পি হেড্রেন লিখেছেন অ্যালফ্রেড তাঁকে রীতিমতো নজরে রাখতেন৷ হিচককের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগও এনেছেন অভিনেত্রী৷ উল্লেখ্য, ২০১২ সালে এইচবিও-তে ‘দ্য গার্ল’ ছবিতে নিজের যৌন হেনস্তার কথা বলেন হেড্রেন৷
ষাটের দশকে অভিনেত্রী হেড্রেন হিচককের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন৷ হিচকক জোর করে তাঁকে চুম্বন করতে চেয়েছিলেন, পরিচালকের ব্যবহারের প্রসঙ্গে এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য অভিনেত্রীর৷ প্রাক্তন স্বামী পিটার গ্রিফিথের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউ ইয়র্কে আসেন হেড্রেন৷ সেই সময়ই হিচককের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বইতে লিখেছেন অভিনেত্রী৷
আটের দশকে মারা গিয়েছেন হিচকক৷ ‘মিল রিপ্লেসমেন্ট শেক’-এর বিজ্ঞাপন দেখে হেড্রেনকে মনে ধরে হিচককের৷ হেড্রেনের সঙ্গে পাঁচ বছরের অভিনয়ের চুক্তিও করেন৷ হেড্রেনের বক্তব্য, ১৯৬৩ সালে যখন ‘দ্য বার্ডস’-এর শুটিং চলছে, তখন হিচকক টিপ্পিকে নিজের সম্পত্তি মনে করতেন৷ সহ-অভিনেতাদের হুমকিও দিতেন৷ রড টেলর যাতে অভিনয়ের সময় হেড্রেনকে স্পর্শ না করেন, এমনও বলতেন৷ অন্য পুরুষ হেড্রেনের সঙ্গে কথা বললেও সন্দেহ করতেন৷ হেড্রেনের ভাষায়, ‘‘অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বললেই সাদা একটা চাহনি নিয়ে উনি তাকাতেন৷ একদল লোকের সঙ্গে কথা বলাও পছন্দ করতেন না৷’’
নিজের চালককে দিয়ে হেড্রেনকে বাড়ি পৌঁছে দিতেন ‘সাইকো’-র পরিচালক৷ হেড্রেন লিখেছেন, “লিমো গাড়ির পিছনের সিটে জোর করে আমাকে চুম্বন করতেও চেয়েছিলেন হিচকক৷ খুব অস্বস্তিকর মুহূর্ত৷” পরের ছবি ‘মারনি’-তে হিচককের সঙ্গে ফের কাজ করেন হেড্রেন৷ তাঁর দাবি, সেখানেও একইরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হন তিনি৷
বইয়ে হেড্রেন লিখেছেন, হিচককের অফিসের সঙ্গে তাঁর সাজপোশাক ও মেক-আপ রুমের মধ্যবর্তী একটি দরজা ছিল৷ সেটটাই এমন করে বানান হিচকক৷ হিচকক তাঁর গায়ে হাত দিতে চেষ্টা করেন বলে স্মৃতিকথায় লিখেছেন অভিনেত্রী৷ ঘটনাটি কুরুচিপূর্ণ ও নিন্দনীয় বলেই উল্লেখ করেছেন টিপ্পি৷ বেশি প্রতিবাদ করলে আরও বেশি হিংস্র হয়ে উঠতেন হিচকক, হেড্রেনের এমনটাই দাবি৷ এই যৌন হেনস্তার কথা হেড্রেন কাউকে বলেননি, কারণ এই বিষয়গুলির অস্তিত্ব আলাদা করে কেউ জানত না৷ উল্লেখ্য, টিপ্পি হেড্রেনের কন্যা মেলানি গ্রিফিথ কিংবা তাঁর জামাতা আন্তোনিও বান্দেরাস এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.