Advertisement
Advertisement

Breaking News

কেমন হল ‘টাইগার’ সলমনের প্রত্যাবর্তন, দর্শকদের মন জয় করল কি?

‘টাইগার’ কি সত্যিই বাঁচল?

Tiger Zinda Hai review: does Salman Khan's magice alive
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 22, 2017 3:34 pm
  • Updated:July 11, 2018 2:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আছে আছে! টেলিপ্যাথির জোর আছে! বিশেষ করে সলমন খানের তো আছেই। আর সে কারণেই বলিউডের ‘সুলতান’ তিনি। বছরের শেষে বক্স অফিসের ময়দানে ফের একবার সে কথা জানান দিয়ে গেলেন বলিউড খানদানের এই বিন্দাস খান। শুক্রবারের বক্স অফিসে যেন সগর্বে ঘোষণা করলেন ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়‘।

[তফসিলিদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, ছবিমুক্তির দিনই বিপাকে সলমন]

Advertisement

প্রথমেই কাহিনির কথায় আসা যাক। সন্ত্রাসের বিষ সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। জীবন্ত সেই বিষয়টিকেই পর্দায় তুলে এনে প্রাথমিক কাজটি বেশ ভালই সেরেছেন পরিচালক আলি আব্বাস জাফর। স্থান হিসেবে বেছেছেন ইকৃতের মতো প্রায় অজানা একটি শহরকে। যেখানে মানুষের সেবায় রত ভারত ও পাকিস্তানের নার্সরা। আর তাঁদেরই অপহৃত হতে হয় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে। কে বাঁচাবে তাঁদের? একমাত্র একজনই এ কাজ করতে পারে। সেই ‘টাইগার’ ওরফে অবিনাশ সিং রাঠোর। যিনি ‘র’ এজেন্ট হিসেবে ‘এক থা টাইগার’-এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। পাকিস্তানি এজেন্ট জোয়ার প্রেমে পাগল হয়েও যে আজও দেশপ্রেমকেই এগিয়ে রেখেছে। স্ত্রী ছেলে নিয়ে সংসার পেতেছে সুদূর অস্ট্রিয়ায়। কিন্তু মন পড়ে সেই নিজের জন্মভূমিতে। তাই দেশের মানুষের সাহায্যের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারেনি সে। কতগুলো নিরপরাধের প্রাণের প্রশ্ন যে! অতএব ‘টাইগার’ ফের স্বমহিমায় হাজির। কিন্তু জোয়ার সঙ্গে সংসারী হয়ে ওঠা টাইগারের সেই আগের মতো তাকত কি আর আছে? উদ্ধার করতে পারবে সে জঙ্গিদের ডেরায় বন্দি নার্সদের? তা জানতে সিনেমা হলে আপনাকে যেতেই হবে। টাইগার-জোয়া জুটি অর্থাৎ হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান হাতে হাত মিলিয়ে কীভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাল তা বড়পর্দায় উপভোগ করবেনই।

[বিনামূল্যে দেওয়া হোক স্যানিটারি ন্যাপকিন, আরজি ‘প্যাডম্যান’ অক্ষয়ের]

কাহিনির বুনন বেশ ভাল। একের পর এক ঘটনাকে সুন্দর সুতোয় বেঁধেছেন পরিচালক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে শক্তি ও বুদ্ধি দুই প্রয়োজন, তা পদে পদে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ফিট এবং ট্রেনড ক্যাটরিনা অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলিতে বেশ সাবলীল। নায়কের সঙ্গে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে নিজের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিলেন জোয়া রূপী ক্যাট। আর বাকি কাজটা তো টাইগার একাই করলেন। রোম্যান্টিসিজম থেকে রাফ অ্যান্ড টাফ অবতারে অনবদ্য ৫১ বছরের সুপারস্টার। ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে এ ছবিতেও সিক্স প্যাক দেখাতে ভোলেননি তিনি। তবে আরেকজনের নাম বিশেষ উল্লেখ্য। তিনি খলনায়ক সাজ্জাদ দেলফ্রুজ ওরফে আবু উসমান। জঙ্গি নেতা হিসেবে তাঁকে দেখে বেশ রাগই হবে দর্শকদের।

ছবির লোকেশনও দুর্দান্ত। ইতিমধ্যেই অবশ্য তার কিছুটা দর্শকরা গানে দেখে ফেলেছেন। তবে এমন লোকেশনের জন্য বড় স্ক্রিনই যোগ্য। কবীর খানের ‘টিউবলাইট’ বেশ হতাশ করেছিল সলমন ভক্তদের। তবে এ ছবি যে ভাইজানের কামব্যাক, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

 

বড়দিন এবার পড়েছে সোমবার। তার আগে লম্বা উইকএন্ড। তথ্য নিয়ে ততটা মাথা না ঘামিয়ে প্রিয়জনকে নিয়ে ‘টাইগার’-এর দর্শন করে আসাই যায়। যুক্তি-তর্ক সরিয়ে ‘মশালা মুভি’র খিদে যাঁদের রয়েছে, তাঁদের অন্তত এ ছবি নিরাশ করবে না। সলমনের ছবি দেখতে যাঁরা অভ্যস্ত তাঁদের কাছে টাইগারের সিক্যুয়েল নিঃসন্দেহে পয়সা উসুল ছবি।

[বাল ঠাকরে হয়ে হাজির নওয়াজউদ্দিন, নস্ট্যালজিয়ায় ভাসলেন মুম্বইকররা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement