সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না ‘ইন্দু সরকার’ ছবির। পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের এই রাজনৈতিক ছবির প্রেক্ষাপট থেকেই শুরু যত বিপত্তির। ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম কালো অধ্যায় জরুরি অবস্থাকে ঘিরেই ছবির চিত্রনাট্য। ইতিমধ্যেই ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে সেই সময় ক্ষমতায় থাকা শাসকদল। ছবির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ড। পলিটিক্যাল পার্টির ধরনায় বিভিন্ন জায়গায় বাতিল করতে হয়েছে ছবির সাংবাদিক সম্মেলন। সঞ্জয় গান্ধীর মেয়ে প্রিয়া পাল ইতিমধ্যেই এই ছবির কিছু অংশ বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারই মাঝে এগিয়ে আসছে ছবি মুক্তির দিন। রাজনৈতিক দলের এত বাধা, বিবাদ, ধরনায় কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছেন হলমালিকরা। ছবি মুক্তি পেলে সিনেমা হল ভাঙচুরের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা চেয়েছেন পুণের বেশ কিছু হলমালিক।
[২৫ জুলাইয়ের বনধ প্রত্যাহার করল ইম্পা]
সিনেমা ওনার্স অ্যান্ড এগজিবিটর অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট নীতিন দাতার জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন, দেশের বিভিন্ন শহরে যে যে হলে মুক্তি পাবে ‘ইন্দু সরকার’, সেখানে যেন সরকারের তরফ থেকে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। আর যদি নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করতে পারে তাহলে হলের যেকোনও ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে, এমনটাই দাবি তাঁর। ছবি মুক্তির পরই বোঝা যাবে পরিস্থিতি কি হয়, তবে দর্শকদের ও হলের নিরাপত্তাই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
[মেলবোর্ন চলচ্চিত্র উৎসব কেন ঐশ্বর্যর জন্য স্পেশ্যাল হতে চলেছে জানেন?]
সম্প্রতি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ মুক্তির পরও নানা ঝামেলায় পরতে হয়েছিল হলমালিকদের। পাকিস্তানি অভিনেতার ছবিতে উপস্থিতিতে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দর্শক। সেইসময় ভাঙচুর করা হয় অনেক হল। সেই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি চান না COEAI-এর প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যেই এই ছবির জন্য পরিচালক মধুর ভান্ডারকরকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়েছে সরকার। তাহলে কেন সিনেমাহলগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে না, এটাই প্রশ্ন। প্রথম থেকেই এই ছবিকে ঘিরে এত বিতর্ক, তাই সবার অপেক্ষা এখন ২৮ জুলাইয়ের, কারণ সেদিনই সারা ভারতে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ইন্দু সরকার’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.