Advertisement
Advertisement

স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুনের শেষেই শুরু শুটিং, শীঘ্রই জারি হবে নয়া নির্দেশিকা

নতুন নির্দেশিকাগুলি কী কী? জেনে নিন।

TV show shoots to begin by end-June with new guidelines
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 13, 2020 3:55 pm
  • Updated:May 13, 2020 4:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি ধারাবাহিকপ্রেমীদের জন্য সুখবর। শীঘ্রই আসছে সম্প্রচারিত হতে চলেছে নতুন এপিসোড। জুনের শেষের দিক থেকে শুরু হবে শুটিং। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই টেলিভিশনে আসবে ধারাবাহিকের নতুন পর্ব।

লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে বলিউডের সমস্ত শুটিং। সিনেমা তো বটেই, ধারাবাহিকের শুটিংও বন্ধ। লকডাউনের মধ্যে তাঁই পুরনো ধারাবাহিক দেখেই মন ভরাতে হচ্ছে দর্শকদের। কিন্তু জুন মাসের শেষের দিক থেকে শুটিং ফের শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সবকিছুই হবে স্বাস্থ্যবিধি ও নতুন নির্দেশিকা মেনে। একতা কাপুরের শো, ‘কউন বনেগা ক্রোড়পতি’ এবং ‘ভাবিজি ঘর পর হ্যায়’ ধারাবহিক খুব কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে শুটিং শুরু করবে বলে খবর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিন এমপ্লয়ির (FWICE) প্রেসিডেন্ট বি এন তিওয়ারি একথা জানিয়েছেন। নতুন নির্দেশিকাগুলিও স্পষ্ট করেছেন তিনি।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ফের টলিউডে খুশির খবর, মা হচ্ছেন টেলি অভিনেত্রী অঙ্কিতা ]

নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, FWICE ইতিমধ্যেই সবাইকে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, প্রতি সেটে একজন করে পরিদর্শক থাকবেন। কে মাস্ক পরেছেন এবং কে পরেননি তা খতিয়ে দেখবেন তিনি। শ্রমিকরা এতে অভ্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত পরিদর্শক সেখানে থাকবে। কোনও শ্রমিক যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তবে চ্যানেল এবং প্রযোজক তার পরিবারের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে। এছাড়া ওই কর্মীর পরিবারের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে। দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর জন্য, প্রযোজকরা ৪০-৪২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলেছে। তবে FWICE ন্যূনতম ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা করে রেখেছে। এনিয়ে স্থির কোনও সিদ্ধান্তে এখনও আসা সম্ভব হয়নি এর ফলে শ্রমিকদের আস্থা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রমিকরা যদি জানতে পারেন প্রযোজকরা তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন তবে তাঁদের কাজে উৎসাহ বাড়বে।

সাধারণত শুটিংয়ের সময় সেটে কমপক্ষে ১০০ বা তার বেশি লোক থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্মাতাদের ইউনিটে ৫০ শতাংশ লোক রাখতে হবে। নির্মাতাদেরও নিশ্চিত করতে হবে যে বাকী ৫০ শতাংশ যেন অন্য শিফটে কাজ করেন। কেউ যাতে কর্মহীন না থাকেন। ৫০ বছরের বেশি যাঁদের বয়স, তাঁদের পরবর্তী তিন মাসের জন্য ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। কারণ অন্যদের তুলনায় তাঁদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি এছাড়া শুটিং সেটে সবসময় অ্যাম্বুল্যান্স রাখতে হবে। যাতে জরুরি অবস্থায় সেগুলি ব্যবহার করা যায়। FWICE নতুন নির্দেশিকাগুলি নিয়ে প্রযোজক এবং চ্যানেল প্রধানদের সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনা করবে।

[ আরও পড়ুন: লকডাউনে বন্ধ কাজ, আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন মুম্বইয়ের বাঙালি অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement