সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুনিশাকে (Tunisha Sharma) ইসলাম ধর্মের নিয়ম মানতে বাধ্য করেছিল অভিযুক্ত শিজান খান (Sheezan Khan)। এমনই অভিযোগ ছিল অভিনেত্রীর মায়ের। তাঁকে পালটা জবাব দিল শিজানের পরিবার। বিশেষ করে অভিনেতার মা। “কী চান আমার ছেলেটাও আত্মহত্যা করুক?” সাংবাদিক বৈঠকে পালটা প্রশ্ন করলেন তিনি।
‘আলিবাবা: দাস্তান এ কাবুল’ সিরিয়ালের সেটে গত ২৪ ডিসেম্বর তুনিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই সিরিয়ালেরই নায়ক শিজান মহম্মদ খান। তুনিশার মৃত্যুর পরই শিজানকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন অভিনেতা। মেয়ের মৃত্যুর জন্য শিজানকেই দায়ী করেছেন বণিতা শর্মা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি অভিযোগ জানান, তুনিশার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও সিজান অন্য মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তুনিশা নাকি দু’জনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও দেখে ফেলছিলেন।
বণিতা শর্মার অভিযোগ, মেকআপ রুমের ভিতরে তুনিশার গায়ে হাতও তুলেছিলেন শিজান। তাঁকে ইসলাম ধর্মের নিয়ম মানতে বাধ্য করতেন। সেই সমস্ত অভিযোগের জবাব সাংবাদিক বৈঠকে দেয় শিজান খানের মা ও দুই বোন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিজানের আইনজীবী। তাঁর দাবি, যে পবন শর্মা শিজান ও তাঁর পরিবারের নামে কুকথা বলছেন তিনি আসলে তুনিশার ম্যানেজার ছিলেন। পবন শর্মার কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না তুনিশা। সেই কারণেই তাঁকে বরখাস্ত করেন।
শিজানের বোন ফলক জানান, তুনিশার সঙ্গে তাঁর লাদাখের শুটিংয়ে দেখা হয়েছিল। ছোট বোনের মতো তাঁকে ভালবাসতেন। এই ঘটনায় লাভ জেহাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানান তিনি। অভিনেত্রীকে কখনও ইসলাম ধর্ম মানতে জোর করা হয়নি। হিজাব পরা যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তা আসলে শুটিংয়ের। আর কোনও ঐতিহাসিক সিরিয়ালে অভিনয় করলে কথায় উর্দু ভাষার প্রভাব থাকা স্বাভাবিক। “ভাষার সঙ্গে ধর্মের কী যোগ? আমরা তো ভারতীয়!” বলেন ফলক।
এরপরই শিজানের মা বণিতা শর্মার উদ্দেশে বলেন, “আপনি যত বাজে ব্যবহার করুন না কেন আমরা ভদ্রতা বজায় রাখব। ফলক তুনিশাকে দরগায় নিয়ে গিয়েছিল সেটা আগে প্রমাণ করুন। আপনি দাবি করছেন শিজান তুনিশাকে থাপ্পড় মেরেছে, তাহলে সেকথাটা আমাকে এসে বললেন না কেন? আপনিও তো পালটা থাপ্পড় দিয়ে শিক্ষা দিতে পারেননি। আমার বাড়িতে তো যাতায়াত ছিল। তখন বললেন না কেন একবার।” এরপরই সাংবাদিকদের তিনি জানান, মেয়ের মামলার পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি উকিলকে দিয়ে বণিতা শর্মা মুম্বই ছাড়ছেন। কোন মা এমনটা করতে পারে? প্রশ্ন করেন তিনি। বলেন, “তুনিশা আমার মেয়ে ছিল। পরিবারের সবচেয়ে ছোট মেয়ে। একদিকে মেয়েটা চলে গেল, অন্যদিকে ছেলেটা জেলে। কী চান আপনি ছেলেটাও আত্মহত্যা করুক?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.