Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাঘা-হীন গুপীর গল্প নিয়ে ছোটপর্দার ছবি ‘গুপীগাএন’, মুখ্য চরিত্রে ঋতব্রত-সব্যসাচী

মধ্যবিত্তর ইচ্ছেপূরণের গল্প ছবির মুখ্য বিষয়৷

Tollywood movie Gupi Gayen depicts a singer's life
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 23, 2019 10:01 pm
  • Updated:March 24, 2019 8:39 am  

এই গুপির সঙ্গে বাঘা নেই। তবে ভূত আছে। মধ্যবিত্তের ইচ্ছাপূরণের কাহিনী। ছোটপর্দায় নতুন ছবি। লিখছেন সোমনাথ লাহা।

গুপী গায়েন নামটার সঙ্গে বাঙালির নস্টালজিয়া ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে। গুপী নামটা কোথাও যেন বাঙালিদের মনের মণিকোঠায় অমলিন ভাবে গেঁথে রয়েছে। সেই কারণে হয়তো গুপী গায়েন নামটা শুনলেই আনমনা হয়ে গুনগুন করে ওঠে বাঙালি মন।

Advertisement

এবার ছোটপর্দায় আবার গুপীর গল্প। তবে এ গুপীর সঙ্গে কোনও বাঘা নেই। কিন্তু এই গুপীও গান গাইতে ভালবাসে। হাজার বাধা, প্রতিকূলতাকে অর্জন করে সেও একজন গায়েন হয়ে উঠতে চায়। জি-বাংলা সিনেমা অরিজিন্যালসে এবার এমনই এক গুপীর গল্প নিয়ে আসছে অপেরা মুভিজ। অপেরার ব্যানারেই নির্মিত হয়েছে ছবি ‘গুপীগাএন’। যেটির পরিচালনা করেছেন রাজদীপ ঘোষ। প্রযোজনায় সুপর্ণকান্তি করাতি।প্রসঙ্গত, এর আগে সুপর্ণকান্তি-রাজদীপ জুটি জি-বাংলা সিনেমা অরিজিন্যালসে ‘শুভ শারদীয়া’-র মতো ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এবার তাঁরা নিয়ে এসেছেন এক মধ্যবিত্তের স্বপ্নপূরণের কাহিনিকে। অপেরা মুভিজের প্রযোজনায় ইতিমধ্যেই বড় পর্দায় ‘বিসর্জন’,  ‘বিজয়া’-র মতো ছবি দেখেছেন দর্শকরা। আপাদমস্তক  মিউজিক্যাল ‘গুপীগাএন’-র মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়,  অপরাজিতা আঢ্য,  শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও সব্যসাচী চক্রবর্তী।

[বিদ্যা নয়, জয়ললিতার বায়োপিকে মূখ্য চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনাকে]

কাহিনি আবর্তিত হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলে সপ্তক,  যার ডাক নাম গুপী (ঋতব্রত)-কে কেন্দ্র করে। পিতৃহীন গুপীর পরিবার বলতে সে আর তার মা (অপরাজিতা)। গুপী গান গাইতে ভালবাসে। সে গায়ক হতে চায়। কিন্তু তার মা তা চান না। কারণ তিনি মনে করেন, গুপী যদি গান গায় তাহলে পরিবারে অভিশাপ লাগবে। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু গুপীর রক্তে গান রয়েছে। গান তাদের বংশ পরম্পরায়। গুপীর দাদু (সব্যসাচী) গান গাইতেন, এমনকী তার বাবাও (শাশ্বত) গান করতেন। একদিন গানের জলসা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান গুপীর বাবা। মায়ের বারণ মেনে গান গাওয়া বন্ধ করে গুপী। এমতাবস্থায় উপস্থিত হয় সংসারের মায়া না কাটাতে পারা ও গুপী দুঃখ দেখে কাতর তার দাদুর প্রেতাত্মা। তিনিই পথ দেখান গুপীকে। তারপর কী হয়?  গুপী কি আদৌ গায়ক হয়ে উঠতে পারে? নিজেকে কি সে প্রতিষ্ঠিত করতে পারল গানের দুনিয়ায়? তারই উত্তর মিলবে এই ছবিতেই।

ছবির কাহিনি লিখেছেন অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিচালক স্বয়ং। চিত্রনাট্য রচয়িতা কল্লোল লাহিড়ী ও সায়ক চক্রবর্তী। সংগীত পরিচালনায় সৈকত চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে রয়েছে মোট ১১টি গান। তার মধ্যে ৫টি অরিজিন্যাল এবং বাকি গানগুলির মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি ও কনটেম্পোরারি গান। সিনেমাটোগ্রাফার চিত্রভানু বসু। শুটিং হয়েছে নিউ বারাকপুর, গড়বেতা ও গনগনিতে।

২৪ মার্চ দুপুর ১টায় জি-বাংলা সিনেমা অরিজিন্যালসে দেখা যাবে ‘গুপীগাএন’। সম্প্রতি ‘দ্য পার্ক’  হোটেলের সামপ্লেস এলসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছবির প্রযোজক, পরিচালক সহ অভিনেতা ও কলাকুশলীরা। প্রযোজক সুপর্ণকান্তির মতে, “এই ছবির নামটার মধ্যেই অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে। এটা একজন গায়কের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে সাফল্যে পৌঁছনোর একটা গল্প।”

[মোদির বায়োপিকে ‘গীতিকার’! ক্রেডিটে নাম দেখে অবাক জাভেদ আখতার]

পরিচালক রাজদীপের কথায় ‘গুপীগাএন’  ইচ্ছে পুরণের গল্প। আমরা যে মাধ্যমের জন্য ছবিটা বানিয়েছি সেই ভাবনা ও দর্শকের কথা মাথায় রেখেই এই ছবি। নামটার মধ্যে একটা নস্টালজিয়ার ছোঁয়াও রয়েছে। সব দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই ছবিটা তৈরি করেছি,  আর পাঁচটা সাধারণ মানুষেরই গল্প এটা। মনে ইচ্ছে,  লক্ষ্য এগুলো সকলের মধ্যেই থাকে। এই ছবি দেখে যদি মানুষের মনে লুকিয়ে থাকা ইচ্ছে আবার নতুন করে মনোবল ফিরে পায় তাহলেই বুঝব আমাদের প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে।”  ঋতব্রতর মন্তব্য,  “এই ছবি আসলে গুপী কী করে গায়েন হয়ে উঠল সেই গল্পই বলেছে। আমাদের চারপাশে দেখা চরিত্রদেরই এই ছবিতে ক্যামেরার সামনে দেখতে পাবেন দর্শকরা। এটা আসলে নিজের ইচ্ছেটাকে পূরণ করার গল্প। এককথায় মজার গল্প, আনন্দের গল্প, আমাদের সবার গল্প। ছবি প্রসঙ্গে ঋতব্রত বলেন, অপা পিসির সঙ্গে ‘কিশোরকুমার জুনিয়র’ ‘জেনারেশন আমি’—র পর এই ছবিতে মা আর ছেলের ভূমিকায় আমরা, অপা পিসি আমায় জন্মাতে দেখেছে। তাই আমাদের বন্ডিংটা একদম শুরু থেকেই ছিল। আলাদা করে কোনও কেমিস্ট্রি তৈরি করতে হয়নি।”

[চূর্ণীর ছবির সঙ্গে সংঘাত, পিছিয়ে গেল কৌশিকের ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ মুক্তির দিন]

অপরাজিতা জানান “এই ছবির নামটার মধ্যে একটা নস্টালজিয়া রয়েছে। আসলে এই ছবি মূলত মধ্যবিত্ত পরিবারের কতকগুলো কুসংস্কার থেকে মুক্ত হওয়ার গল্প। যেটা আমাদের সমাজকে একটা বার্তা দেয়। এই ছবিতে গুপী গায়ক হতে চায়। কিন্তু আমি মানে গুপীর মা সেটা চায় না। কেন চায় না সেটা জানতে হলে ছবিটা দেখাতে হবে।” সব্যসাচীর কথায়,  “এই ছবিতে আমি গুপীর ঠাকুরদা, যিনি ভূত। তিনিই ফিরে এসে বলেন গুপীকে গান শেখানোর জন্য। পুরনো ছবির সঙ্গে এই ছবির কোনও মিল নেই। শুধুমাত্র আইডিয়াটুকুই নেওয়া হয়েছে। আমি এই ছবিতেও ভূত হিসাবেই রয়েছি। ভূতের চরিত্র হলেই আমাকে ডাকা হয়। সেজন্য আনন্দই হচ্ছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement