সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একান্নবর্তী পরিবার? বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে সেই চল আজ লুপ্ত হতে চলেছে একপ্রকার। পরিবারের সদস্যদের একে অপরের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করা, মিলেমিশে ভাগাভাগি করে কাজকর্ম, খাওয়া-দাওয়া তো দূরের কথা, বরং আজকাল তা গেট টুগেদারে এসে ঠেকছে। কালের নিয়মে বদলেছে সবই, কিন্তু তাই বলে কি, মনুষ্যত্বও লোপ পেয়েছে? এমনই এক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে অভিনেত্রী মিশমি দাসের শেয়ার করা এক ফেসবুক পোস্ট। যেখানে তিনি প্রবীন দাদু-দিদাকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর মামার পরিবারের বিরুদ্ধে।
টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু মারধরই নয়, এমনকী সম্প্রতি প্রবীণ দুই নাগরিককে তাঁদের ঘর থেকে রাস্তায় বের করে দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন মিশমি। ১ নম্বর কালী কুমার মুখার্জী লেন হাওড়া, শিবপুরের ঘটনা।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক তাঁর দাদু হরিদাস চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী মানে দিদা, ওই বাড়িতে প্রায় ৭৫ বছর যাবৎ বাস করেন। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৯০ এবং ৮২ বছর। দাদু-দিদা ছাড়াও ওই বাড়িতে থাকেন তাঁদের বড় ছেলে অর্থাৎ অভিনেত্রীর মামা, মামি এবং তাঁদের একমাত্র ছেলে। হরিদাস চক্রবর্তী যেহেতু রেলের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন এবং সেই সুবাদে বর্তমানেও ভাল পেনশন পান। সেই টাকা-পয়সা তাঁর ছেলে পূত্রবধূ এবং নাতি প্রতি মাসে তাঁদের কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নেন। এখানেই শেষ নয় মিশমির অভিযোগ। তিনি আরও জানান যে, পেনশনের টাকা মামা-মামির হাতে তুলে না দিলে দাদু-দিদার প্রতি অকথ্য অত্যাচার করেন তাঁরা।
মিশমির কথায়, “দাদু-দিদার প্রতি এই অত্যাচার নতুন নয়! দীর্ঘদিন ধরেই এই অত্যাচারের শিকার তাঁরা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে অসহায় দুই বয়স্ক মানুষকে শারীরিকভাবে অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩ আগস্ট সন্ধে থেকে ওই অত্যাচার এতটাই চরম আকার ধারণ করে যে, হরিদাস চক্রবর্তীকে আমানবিকভাবে বেল্ট, জুতো দিয়ে মারধর শুরু করে তার নাতি ছেলে এবং পুত্রবধূ। সারা রাত তাণ্ডবের পর ৪ আগস্ট বাড়ি থেকে দাদু-দিদাকে বের করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.