সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে শেষ কাজ। তারপর করোনা, লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ। বছর খানেকের মধ্যে যদিও পৃথিবী আবার পূর্বাবস্থায় ফিরেছে। ছন্দে ফিরেছে সমস্ত কর্মক্ষেত্র। মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে ফের দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা। হারিয়েও গিয়েছেন অনেকে। নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু সত্যিই কি স্বেচ্ছায় সেলুলয়েডের রঙিন দুনিয়া থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন তাঁরা? নাকি বিশেষ কোনও কারণ? বাংলা ধারাবাহিকে জনপ্রিয় মুখ ‘গুড়িয়া’ ওরফে অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল এবার এনিয়ে মুখ খুললেন। চার বছর কাজ না করার কারণ হিসেবে তিনি স্বজন বিচ্ছেদের কথা বললেন। সেও বড় কম মর্মান্তিক নয়।
২০২২ সালের মে মাসে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে ‘আমি সিরাজের বেগম’ খ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তা নিয়ে তোলপাড় পড়ে টলিপাড়ায়। পল্লবীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এই মৃত্যুতে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, খুন হয়েছেন প্রতিভাবান অভিনেত্রী। লিভ-ইন সঙ্গীর ভূমিকাকেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখেননি তাঁরা।
পল্লবীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজন প্রত্যুষা পাল। বাংলা ধারাবাহিক ‘এসো মা লক্ষ্মী’ দিয়ে যাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল। টলি ইন্ডাস্ট্রিতে যে ক’জনের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্কের বাইরেও ব্যক্তিগত স্তরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যে একজন পল্লবী। তাঁরই অকালমৃত্যু প্রত্যুষাকে এতটাই মর্মাহত করে দিয়েছিল যে নিজেকে সামলাতে অনেকটা সময় লেগেছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে নিজের অজ্ঞাতবাস সম্পর্কে এমনই জানালেন ছোটপর্দার ‘মা লক্ষ্মী’।
প্রত্যুষার কথায়, ”ওর (পল্লবী) মৃত্যুটা মেনে নিতে পারিনি। তারপর থেকে নিজের কাজ করতে সমস্যা হতো। এতটাই বিষাদগ্রস্ত হয়ে থাকতাম যে বুঝতাম তার প্রভাব পড়ছে কাজে। অভিনয় তো সহজ নয়। চরিত্রের মধ্যে ঢুকে যেতে হয়। কিন্তু আমার মন এত খারাপ থাকত, আমি কাজে মন দিতে পারতাম না। ফলে ধীরে ধীরে পারফরম্যান্স খারাপ হচ্ছিল। তাই কাজ থেকে সরে যাই।” প্রত্যুষার প্রথম কাজ এসো ‘এসো মা লক্ষ্মী’ পুনঃসম্প্রচারিত হচ্ছে। সেই আবহেই সিরিয়ালের মিষ্টি মেয়ে মনের কথা খুলে বলায় তাঁর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন অনুরাগীরা। বলছেন, ‘ফিরে এসো, তোমার অভিনয় দেখতে চাই।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.