সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বপ্ন ঘুমিয়ে নয়, জেগেও দেখো। এই প্রবাদটা কিন্তু বেশ বাস্তব। সানি, পাঞ্জাবের এক ছোট্ট শহরের ছেলে। জুতো পালিশ করেন। কখনও বাস টার্মিনাসে আবার কখনও বা রেলস্টেশনে। ব্যস্ত পথে সবাই যখন অফিসের দিকে রওনা হয়, তখন ওই পথচলতি মানুষগুলোর জুতো পালিশ করে দেওয়াই তাঁর কাজ। নিতান্তই পেটের দায়ে! অভাবে পড়ে। এতে করে সারাদিনে কটা টাকা তো কামানো যায়! তবে শুধু জুতো পালিশই করেন না সানি। হাত চালানোর পাশাপাশি চলতে থাকে গুনগুন করে গানও। তাতে জুতো ঝকঝকে করতে আসা খদ্দেরদের মুখেও ফোটে হাসি। সেই ছেলেই গান গেয়ে মাত করলেন ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ।
রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে পাঞ্জাবের এই প্রতিভাধর ছেলের গান শুনে ধন্য ধন্য করলেন বিশাল দাদলানি, নেহা কক্কর এবং অনু মালিকের মতো সংগীত জগতের তারকারা। সানির বয়স ২১। পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার বাসিন্দা। সংসারের অভাব মেটানোর জন্য সানির মা বেলুন বিক্রি করেন। কিন্তু একসময়ে সেই টাকাতেও মিটত না অর্থাভাব। অতঃপর দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড় করতে তাঁর মাকে আঁচল পাততে হত প্রতিবেশীদের কাছে। আশেপাশের মানুষের কাছে মাথা নত করে মায়ের হাত পাতা মেনে নিতে পারেননি সানি। তাই নিজেই জুতো পালিশের বাক্স নিয়ে বেরিয়ে পড়ে একদিন ঘর থেকে। তবে এতকিছুর মাঝেও তাঁকে স্বপ্ন দেখাত গান। জীবনের সব দুঃখ-কষ্টের মাঝে ওটাই ওঁর কাছে মোক্ষলাভের মতো মনে হত। তাই নিজের তাগিদেই গান নিয়ে চর্চা শুরু করেন সানি।
কোনও রকম প্রথাগত তালিম ছাড়াও যে কেউ এরকম সুরেলা গাইতে পারে, তা বোধহয় না শুনলে আপনারও বিশ্বাস হবে না। তাও আবার কিংবদন্তী গায়ক নুসরত ফতেহ আলি খানের ‘আফরি আফরি’র মতো কঠিন একটি গান গাওয়া। রিয়ালিটি শোয়ের বিচারকরাও হতবাক হয়ে যান সানির কণ্ঠ শুনে। মুগ্ধ হয়ে শোয়ের নিয়মানুযায়ী ‘গোল্ডেন মাইক’ দিয়েছেন সানিকে। যার দৌলতে কয়েক ধাপ এগিয়ে এরপর সরাসরি ‘থিয়েটার রাউন্ড’-এ পারফর্ম করতে পারবেন সানি।
সানির কণ্ঠ ওবং জীবনকাহিনি শুনে নিন নিজেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.